27 বছর আগের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা পরিতক্ত হওয়া এই শহরটিকে নিয়ে প্রচুর অসাধারণ কাহিনী রয়েছে যাতে এই শহরের বাস্তব গুলি আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিতে পারে। শহরটি প্রায় 213 মিটার/126 মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত যাতে প্রায় 33 হাজার মানুষের বসতি ছিল, যা এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্ব পূর্ণ স্থান বানিয়েছিল। এই শহরের কষ্টকর, ময়লা এবং থাকার পক্ষে অযোগ্য অবস্থার জন্য কলুন শহরটিকে অন্ধকারের শহর বলা হতো যেখানে কোন আইন চলতো না।
Pages
Sunday, 18 April 2021
চীনের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অন্ধকারের শহর
Sunday, 11 April 2021
রহস্যময় গোপন দস্তাবেজ যখন সরকারের সংগ্রহ থেকে হারিয়ে যায় ---
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে কিভাবে কিছু কিছু বিশেষ ধরনের সরকারি ফাইল বা দস্তাবেজ হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তা কখনো আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ধরনের ঘটনা অনেকবার ঘটেছে, এর একটি নিখুঁত উদাহরণ হল রসঅয়েলের ঘটনা সংক্রান্ত যা 1947 সালের জুলাই মাসে ঘটেছিল। এমনকি ইউ এস এয়ার ফোর্স এখনো স্বীকার করে যে রসওয়েল আর্মি এয়ার ফিল্ডের থেকে বেরোনো ফাইলগুলি যেগুলো সংগ্রহ করে রাখা দরকার ছিল সেগুলো আর কখনো পাওয়া যায়নি।
ঠিক এরকমটাই ঘটেছিল 1980 সালের 'রেন্দেলসম ফরেস্ট ইউএফও ল্যান্ডিং' সংক্রান্ত ফাইলের ক্ষেত্রে; এই ঘটনা সংক্রান্ত বহু ফাইলের অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সেগুলো কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরকমই বিভিন্ন বিতর্কিত হারিয়ে যাওয়া ফাইলের ঘটনার একটি ঘটেছিলো 1970 সালে। এর সাথে আমেরিকান সরকারের ক্ষমতাশালী কিছু ব্যক্তিত্ব জড়িয়ে পড়ে এবং যেই ফাইলটি একসময় সকলের চোখের সামনে ছিল সেটি খুব দ্রুত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটি যে এডগার হুভার কে কেন্দ্র করে সে বেশ কয়েক দশক ধরে এফ বি আই এর হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। 1972 সাল পর্যন্ত সে পালিয়ে বেরিয়েছিল এবং এরপর তার মৃত্যু ঘটে এবং এফবিআই ও পাল্টে যায়।
77 বছর বয়সের হুবারের মৃত্যুর ঘটনা যখন পাওয়া যায়, তার কাছের বন্ধু এবং অ্যাসোসিয়েট ডাইরেক্টর টলসন এবং সেক্রেটারি গ্যন্ডী খুব দ্রুত উবারের গোপন ফাইল গুলি নিয়ে নেয়। হ্যাঁ, এগুলি কোন সাধারন ফাইল না যা হুবার এবং তার স্পেশাল এজেন্টরা সংগ্রহ করে রেখেছিল, এগুলি কোন সাধারন সংগ্রহের অংশ নয়-- এগুলি এফ বি আই এর হেডকোয়ার্টারে এমন গোপনীয়তার সাথে রাখা ছিল যা বেশিরভাগ কর্মকর্তাদের হাতের বাইরে ছিল। হুভারের প্ল্যান ছিল তার মৃত্যু ঘটলে, এই স্পর্শ কাতর ফাইলগুলি হয় ধ্বংস করে দেওয়া হবে অথবা এফবিআইয়ের কোন বিশ্বস্ত কর্মকর্তার হাতে দেওয়া হবে।
অবাক করা বিষয় হলো এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিতদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এম নিক্সন। এফ বি আই এর তখনকার ডাইরেক্টর লুইস প্যাট্রিক গ্রে খুব দ্রুত এই গোপন ফাইল গুলি কব্জা করে এবং সেগুলিকে হোয়াইট হাউসে তার বসের কাছে পাঠিয়ে দিতে উদ্যত হন। কিন্তু গ্যন্ডী এবং টলসন খুব দক্ষতার সহকারে এই দস্তাবেজ গুলো গ্রে এর হাত থেকে দূরে রাখেন এবং বলতে গেলে সকলের থেকেই সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন কিন্তু সেটা পুরোপুরি সফল হয়নি।
টলসন এবং গ্যন্ডী গোপনে দস্তাবেজগুলি হুভারের ঘর থেকে নিয়ে এসে ভূগর্ভস্থ একস্থানে লুকিয়ে রাখে। ঠিক সেই সময় একটি প্রসেস শুরু করা হয় যার উদ্দেশ্য হলো গোপনীয়তায় ভরা ক্ষতিকারক অথবা গুরুত্বপূর্ণ এই দস্তাবেজ গুলির সবকটিকে ধ্বংস করে দেওয়া যদিও বহু জিনিসপত্র অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। অবাক করা বিষয় হল, এই দস্তাবেজ ধ্বংস করার জন্য জেমস জেসাস অংলেন্টন সহায়ক হিসেবে এসেছিলেন, যিনি বছরের পর বছর জুড়ে সি আই এ তে 'চিফ অফ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স' পদাধিকারী ছিলেন তিনি হুবারের বাড়িতে এসেছিলেন; সম্ভবত তার ভয় ছিল এই দস্তাবেজ গুলির মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোন তথ্য থাকতে পারে। কানাঘুষো তে শোনা যায়, হুবারের ফাইলগুলি নষ্ট করার প্রক্রিয়া চলাকালীন একসময় অংলেনটন বেশকিছু বিশালাকৃতির ফাইলের বাক্স নিয়ে কোন এক অজ্ঞাত স্থানে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিনি এই ফাইলগুলি কোথাও সুরক্ষিত করে রেখেছেন অথবা নষ্ট করে দিয়েছেন তা হয়তো আমরা কোনদিনও জানতে পারবো না।
এর মধ্যে একটি কানাঘুষো শোনা যায় যে অংলেনটন মার্লিন মনরোর গোপনীয় ফাইলের হদিশ পেয়েছিলেন। অবশ্যই মার্লিন সংক্রান্ত ফাইলগুলি এফবিআই প্রকাশ করে একটি অসাধারণ কাজ করেছিল, কিন্তু এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটে এই হলিউড কিংবদন্তি সম্পর্কে যে ফাইল গুলি পাওয়া যায় তা হুবারের সংগ্রহের মধ্যে থেকে খুবই সাধারণ কতগুলি; কিন্তু গোপন মারলিনের ফাইলগুলি 1972 সালে হুবারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে এবং এটি আরেকটি রহস্য যা অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বহু সময় ধরে হুবারের এই গোপনীয় ফাইল গুলি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। কারণ, গ্যন্ডী এবং টলসন আদতে ফাইলগুলি ধ্বংস করেছে অথবা কোথাও লুকিয়ে রেখেছে তা সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সন্দিহান ছিলেন এবং এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপদজনক ও স্পর্শ কাতর কিছু তথ্য থাকতে পারতো, যাই হোক না কেন এই ফাইল গুলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন সেগুলি কি ধ্বংস করা হয়েছিল, নাকি এখনো সেগুলো কোনো গোপন জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে, হয়তো কোন একদিন প্রকাশ্যে আসবে সেদিন কি আমেরিকা সম্পর্কে আমাদের অবাক করা কিছু ধারনার সৃষ্টি হবে? দেখা যাক....