Pages

Sunday, 18 April 2021

চীনের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অন্ধকারের শহর

27 বছর আগের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা পরিতক্ত হওয়া এই শহরটিকে নিয়ে প্রচুর অসাধারণ কাহিনী রয়েছে যাতে এই শহরের বাস্তব গুলি আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিতে পারে। শহরটি প্রায় 213 মিটার/126 মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত যাতে প্রায় 33 হাজার মানুষের বসতি ছিল, যা এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্ব পূর্ণ স্থান বানিয়েছিল। এই শহরের কষ্টকর, ময়লা এবং থাকার পক্ষে অযোগ্য অবস্থার জন্য কলুন শহরটিকে অন্ধকারের শহর বলা হতো যেখানে কোন আইন চলতো না।



এই শহরটি 1810 স্থল সালে হংকংয়ে একটি দুর্গ শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় যেটি হল চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তৎকালীন জটিল সম্পর্কের ফলাফল। 1898 সাল থেকে ক্লুন শহর ব্রিটিশাধীন হংকং এলাকায় ঘেরা একটি ছোট চাইনিজ ভূমি হিসাবে থেকে গিয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবে এই স্থানটি ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে আরও মানুষ এখানে বসবাস করতে শুরু করেছিল। এই স্থানটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল তার কারণ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন এবং গ্রেট ব্রিটেন কারো কাছেই এই শহরটির উপর প্রভাব বিস্তার করার মত শক্তি বা ইচ্ছা কোনটি ছিল না; তাই চাইনিজ শরণার্থী যারা হংকংয়ে বসবাস করতে সমর্থ ছিলনা তারা এখানে বসবাস করতে শুরু করল।




কলুন শহরে পূর্বে বিদ্যমান বিল্ডিংগুলোর সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে আরো নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। ফলে একসময় দেখা গেছে প্রায় 15 তলা উঁচু বিল্ডিংগুলির মাঝামাঝি দূরত্ব 2 মিটারের বেশি ছিল না। যার ফলে রাস্তা গুলিতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতোনা এবং ঝুলন্ত বিভিন্ন তারের বান্ডিলের তলা দিয়ে মানুষকে ঝুকে ঝুকে চলতে হতো। 1990 সালে এই শহরে 500 টি বিল্ডিং পাওয়া গিয়েছিল যাতে মাত্র দুটি এলিভেটর ছিল এবং বিল্ডিং গুলির উপরের তলা গুলির মধ্যে একপ্রকার ব্রিজের মত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল ফলে বসবাসকারীদের পাশের বিল্ডিং গুলোর মধ্যে যাওয়ার জন্য নিচের তলায় নামতে হতো না।



এই শহরটি কোন পরিকল্পনা ও নিয়ম ছাড়া তৈরি করা হয়েছিল এবং পর্যাপ্ত জানালা এবং কোন প্রকার ভেন্টিলেশন সিস্টেম পরিকল্পনা করা হয়নি। কোন যুক্তি ছাড়া এ বিস্ময়কর স্থাপত্যটি এখনো নির্মাতা এবং স্থাপত্যবিদ্দের মনে কৌতূহল জাগায়। এখানকার অ্যাপার্টমেন্ট গুলির আয়তন 4 বর্গমিটার থেকে 16 বর্গ মিটার পর্যন্ত আয়তনের ছিল এবং একই সাথে বাসস্থান এবং কর্মস্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো।




Sunday, 11 April 2021

রহস্যময় গোপন দস্তাবেজ যখন সরকারের সংগ্রহ থেকে হারিয়ে যায় ---

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে কিভাবে কিছু কিছু বিশেষ ধরনের সরকারি ফাইল বা দস্তাবেজ হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তা কখনো আর খুঁজে পাওয়া যায় না।  এই ধরনের ঘটনা অনেকবার ঘটেছে, এর একটি নিখুঁত উদাহরণ হল রসঅয়েলের ঘটনা সংক্রান্ত যা 1947 সালের জুলাই মাসে ঘটেছিল। এমনকি ইউ এস এয়ার ফোর্স এখনো স্বীকার করে যে রসওয়েল আর্মি এয়ার ফিল্ডের থেকে বেরোনো ফাইলগুলি যেগুলো সংগ্রহ করে রাখা দরকার ছিল সেগুলো আর কখনো পাওয়া যায়নি। 



ঠিক এরকমটাই ঘটেছিল 1980 সালের 'রেন্দেলসম ফরেস্ট ইউএফও ল্যান্ডিং' সংক্রান্ত ফাইলের ক্ষেত্রে; এই ঘটনা সংক্রান্ত বহু ফাইলের অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সেগুলো কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।  এরকমই বিভিন্ন বিতর্কিত হারিয়ে যাওয়া ফাইলের ঘটনার একটি ঘটেছিলো  1970 সালে। এর সাথে আমেরিকান সরকারের ক্ষমতাশালী কিছু ব্যক্তিত্ব জড়িয়ে পড়ে এবং যেই ফাইলটি একসময় সকলের চোখের সামনে ছিল সেটি খুব দ্রুত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাটি যে এডগার হুভার কে কেন্দ্র করে সে বেশ কয়েক দশক ধরে এফ বি আই এর হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। 1972 সাল পর্যন্ত সে পালিয়ে বেরিয়েছিল এবং এরপর তার মৃত্যু ঘটে এবং এফবিআই ও পাল্টে যায়। 



77 বছর বয়সের হুবারের মৃত্যুর ঘটনা যখন পাওয়া যায়, তার কাছের বন্ধু এবং অ্যাসোসিয়েট ডাইরেক্টর টলসন এবং সেক্রেটারি গ্যন্ডী খুব দ্রুত উবারের গোপন ফাইল গুলি নিয়ে নেয়। হ্যাঁ, এগুলি কোন সাধারন ফাইল না যা হুবার এবং তার স্পেশাল এজেন্টরা সংগ্রহ করে রেখেছিল, এগুলি কোন সাধারন সংগ্রহের অংশ নয়-- এগুলি এফ বি আই এর হেডকোয়ার্টারে এমন গোপনীয়তার সাথে রাখা ছিল যা বেশিরভাগ কর্মকর্তাদের হাতের বাইরে ছিল। হুভারের প্ল্যান ছিল তার মৃত্যু ঘটলে, এই স্পর্শ কাতর ফাইলগুলি হয় ধ্বংস করে দেওয়া হবে অথবা এফবিআইয়ের কোন বিশ্বস্ত কর্মকর্তার হাতে দেওয়া হবে।  

অবাক করা বিষয় হলো এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিতদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এম নিক্সন। এফ বি আই এর তখনকার ডাইরেক্টর লুইস প্যাট্রিক গ্রে খুব দ্রুত এই গোপন ফাইল গুলি কব্জা করে এবং সেগুলিকে হোয়াইট হাউসে তার বসের কাছে পাঠিয়ে দিতে উদ্যত হন। কিন্তু গ্যন্ডী এবং টলসন খুব দক্ষতার সহকারে এই দস্তাবেজ গুলো গ্রে এর হাত থেকে দূরে রাখেন এবং বলতে গেলে সকলের থেকেই সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেন কিন্তু সেটা পুরোপুরি সফল হয়নি। 



টলসন এবং গ্যন্ডী গোপনে দস্তাবেজগুলি হুভারের ঘর থেকে নিয়ে এসে ভূগর্ভস্থ একস্থানে লুকিয়ে রাখে। ঠিক সেই সময় একটি প্রসেস শুরু করা হয় যার উদ্দেশ্য হলো গোপনীয়তায় ভরা ক্ষতিকারক অথবা গুরুত্বপূর্ণ এই দস্তাবেজ গুলির সবকটিকে ধ্বংস করে দেওয়া যদিও বহু জিনিসপত্র অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। অবাক করা বিষয় হল, এই দস্তাবেজ ধ্বংস করার জন্য জেমস জেসাস অংলেন্টন সহায়ক হিসেবে এসেছিলেন, যিনি বছরের পর বছর জুড়ে সি আই এ তে 'চিফ অফ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স' পদাধিকারী ছিলেন তিনি হুবারের বাড়িতে এসেছিলেন; সম্ভবত তার ভয় ছিল এই দস্তাবেজ গুলির মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোন তথ্য থাকতে পারে। কানাঘুষো তে শোনা যায়, হুবারের ফাইলগুলি নষ্ট করার প্রক্রিয়া চলাকালীন একসময় অংলেনটন বেশকিছু বিশালাকৃতির ফাইলের বাক্স নিয়ে কোন এক অজ্ঞাত স্থানে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিনি এই ফাইলগুলি কোথাও সুরক্ষিত করে রেখেছেন অথবা নষ্ট করে দিয়েছেন তা হয়তো আমরা কোনদিনও জানতে পারবো না। 



এর মধ্যে একটি কানাঘুষো শোনা যায় যে অংলেনটন মার্লিন মনরোর গোপনীয় ফাইলের হদিশ পেয়েছিলেন। অবশ্যই মার্লিন সংক্রান্ত ফাইলগুলি এফবিআই প্রকাশ করে একটি অসাধারণ কাজ করেছিল, কিন্তু এফবিআইয়ের ওয়েবসাইটে এই হলিউড কিংবদন্তি সম্পর্কে যে ফাইল গুলি পাওয়া যায় তা হুবারের সংগ্রহের মধ্যে থেকে খুবই সাধারণ কতগুলি; কিন্তু গোপন মারলিনের ফাইলগুলি 1972 সালে হুবারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে এবং এটি আরেকটি রহস্য যা অমীমাংসিত হয়ে রয়েছে।



প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বহু সময় ধরে হুবারের এই গোপনীয় ফাইল গুলি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। কারণ, গ্যন্ডী এবং টলসন আদতে ফাইলগুলি ধ্বংস করেছে অথবা কোথাও লুকিয়ে রেখেছে তা সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত সন্দিহান ছিলেন এবং এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপদজনক ও স্পর্শ কাতর কিছু তথ্য থাকতে পারতো, যাই হোক না কেন এই ফাইল গুলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন সেগুলি কি ধ্বংস করা হয়েছিল, নাকি এখনো সেগুলো কোনো গোপন জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে, হয়তো কোন একদিন প্রকাশ্যে আসবে সেদিন কি আমেরিকা সম্পর্কে আমাদের অবাক করা কিছু ধারনার সৃষ্টি হবে? দেখা যাক....


Saturday, 3 April 2021

মানুষ কি ভবিষ্যতে কোন বিষাক্ত প্রাণী তে বিবর্ধিত হবে?

একটি নতুন গবেষণায় তথ্য পাওয়া গেছে যে, মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে একটি বিষাক্ত প্রজাতিতে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। যদিও এর সম্ভাবনা খুবই কম; এই গবেষণা দেখা গেছে স্তন্যপায়ী এবং সরীসৃপদের সালিভারি গ্ল্যান্ডে বিষ তৈরি করার উপাদান আছে এবং এই ভাবেই একশটির ওপরে বিষহিন প্রজাতি বিষাক্ত প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। 




মজার ব্যাপার হলো স্তন্যপায়ীরা তাদের বিষ অন্য ভাবে ব্যবহার করে।
যেমন রক্তচোষা বাঁদরেরা তাদের বিষাক্ত লালা ব্যবহার করে ক্ষতস্থানের রক্ত তঞ্চন বা ব্লাড ক্লট হওয়া রোধ করে সেখান থেকে ক্রমাগত রক্ত পান করার জন্য।
বিষাক্ত ইঁদুরজাতীয় প্রাণীরা তাদের বিষ তাদের থেকে বিশাল আকৃতির প্রাণীদের হাত থেকে বাঁচতে এবং কিছু ক্ষেত্রে তাদের শিকারকে অসার বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত করতে ব্যবহার করে, যাতে শিকারকে তারা পরে ফিরে এসে খেতে পারে। 

আবার প্লাটিপাস জাতীয় প্রাণীদের স্যালাইভা বা লালারসে বিষ থাকে না, তাদের পায়ের পেছনদিকে বিষাক্ত স্পার থেকে নির্গত হয় যা আত্মরক্ষার কাজে আসে। 



প্রাইমেট অর্থাৎ বানর ও মানুষ জাতীয় উন্নত প্রজাতির মধ্যে একমাত্র 'স্লো লরিস' হল একটি বিষাক্ত প্রজাতি যাদের বিষ এতটা শক্তিশালী যা মাংসে পচন ঘটাতে পারে কিন্তু তারা অন্য কোন প্রাণীর উপর এগুলি প্রয়োগ করে না। কেবলমাত্র নিজেদের উপরই প্রয়োগ করে। 
তাহলে মানুষ কি এই স্লো লোরিস এর মত বিষাক্ত হবে নাকি তার থেকেও বেশি অর্থাৎ সাপ বা মাকড়সার মতো?

জাপানের 'ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির' এভলিউশনারি জেনেটিক্স এর ডক্টরাল স্টুডেন্ট এবং এই গবেষণার সহ-সম্পাদক অগ্নিশ বড়ুয়ার মতে, মূলত আমাদের শরীরে এর জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম উপাদানই উপস্থিত আছে। এখন এটা কেবল বিবর্তনের উপর নির্ভর করে, যে সে আমাদের কখন ও কোথায় নিয়ে যাবে।




এই গবেষণার অপর সহ-সম্পাদক 'অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটির' এভলিউশনারি বায়োলজিস্ট আলেকজান্ডার মিখায়েভ এবং বড়ুয়া দুজনে মিলে কেবলমাত্র বিষ নয় বরং এই সম্পর্কিত জিন গুলি নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। তারা এক ধরনের 'ব্রাউন পিট' প্রজাতির সর্প যাকে 'তাইওয়ান হাবু' বলা হয় তাকে নিয়ে পরীক্ষায় দেখেছেন, এমনিওট (যে সকল প্রজাতির প্রাণীরা তাদের ডিম ভিতরে বহন করে অথবা বাইরে প্রসব করে) জাতীয় প্রজাতির মধ্যে অনেকগুলি জিনের মিল আছে এবং সেই সকল জিনের মধ্যে ফোল্ডিং প্রোটিন আছে।

মানুষের লালারসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, বিশেষ করে 'কালীক্রেইন' যেই প্রোটিনগুলি অন্য প্রোটিনগুলির পচন ঘটায়। এই প্রোটিন গুলিকে লালারসে পাওয়া যায় এবং এগুলি বিভিন্ন বিষের মধ্যে বর্তমান থাকে। 'অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের' বায়োকেমিস্ট এবং ভেনোম বা বিষ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ফ্রাই এই গবেষণার অংশ না হলেও তিনি দাবি করেছেন, সকল প্রাণিকুল জুড়ে যে কোন বিষের মধ্যে এইভাবে এই কালীক্রেইন এর উপস্থিতি কোন আকস্মিক ঘটনা হতে পারেনা। এটি যেকোনো পরিস্থিতিতেই একটি অত্যন্ত সক্রিয় উৎসেচক এবং এটি কিছু একটা ঘটাতে চলেছে।




তবে গবেষকদের মতে আপাতত আমাদের বিষাক্ত প্রাণীতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম, যদি না এমন কিছু ঘটে যা আমাদের ভবিষ্যতে বিষাক্ত প্রাণীতে বিবর্তিত হতে বাধ্য করে। লন্ডনের 'ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম'এর বিষ বা ভেনম সংক্রান্তঃ গবেষক রোনাল্ড জেনার এই গবেষণার অংশ না হলেও তিনি 'লাইভ সাইন্স' কে একটি ইন্টারভিউতে এই সংক্রান্ত একটি পুনরুক্তি করেন যে, কোন প্রাণী আত্মরক্ষার্থে অথবা শিকার করার প্রয়োজনে বিষাক্ত প্রাণীতে বিবর্তিত হয়।

এই গবেষণাটি 'প্রসিডিংস অফ দা ন্যাশনাল একাডেমী অফ সাইন্সেস' জার্নালে প্রকাশিত হয় এখানে আপনারা বিস্তারে এ সম্পর্কিত তথ্য পড়তে পারেন।