Pages

Sunday, 22 August 2021

হিমালয়ের হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় শহর

বহু প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ইতিহাস এবং সভ্যতায় বহু জাদুকরী ও রহস্যময় বিভিন্ন স্থানের গল্প প্রচলিত হয়ে এসেছে।  আমরা এমন একটি প্রাণী যারা হয়তো সত্যিই এই ধরনের শ্রুতি, যেমন হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা, গুপ্ত রহস্যময় শহর ইত্যাদিতে রোমাঞ্চ অনুভব করি যা বিভিন্ন কিংবদন্তি ও কাহিনীর সৃষ্টি করেছে; যেগুলি জাতি-স্থান-দেশ বিশেষে কোনরকম ব্যতিক্রম হয়নি। এরকমই একটি কাল্পনিক গুপ্ত শহরের কথা বহু যুগ ধরে হিমালয় পর্বতে ছড়িয়ে আছে যে স্থানটি জাদুকরী, রহস্যময় এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।



বহু প্রাচীন কাল থেকেই (ঠিক কতটা প্রাচীন কেউ বলতে পারে না) 'সাম্ভালা' নামক একটি রহস্যময় স্থান বা জগতের কথা শ্রুতি হয়ে ছড়িয়ে আছে। এই সাম্ভালা নামটি সংস্কৃত থেকে এসেছে যার অর্থ 'শান্তির স্থান' বা 'নিঃশব্দের স্থান' জাতীয় হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকম নামকরণ করা হয়েছে এমনকি কোথাও 'নিষিদ্ধ নগরী', 'সাদা জলের দেশ', 'বিশুদ্ধ দেশ', 'প্রভাবশালী আত্মাদের দেশ', 'রহস্যের দেশ' এবং আরো অনেক রকমের অতিরঞ্জিত নামে তিব্বতে এবং আশেপাশের শ্রুতি কথা হাজার হাজার বছর ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। 

এই শহরটি হিমালয় পর্বতমালা ও গোবি মরুভূমি মধ্যে কোন এক স্থানে অবস্থিত বলে মনে করা হয়। এটি পৃথিবীতে এক ধরনের স্বর্গের মত যেখানে রহস্যময়তা এবং চিরস্থায়ী শান্তি, ভালবাসা এবং আনন্দ অবস্থান করে। এখানে কোন যুদ্ধ নেই, দারিদ্রতা নেই, রোগ নেই, খিদে নেই; এখানে অবিচ্ছিন্ন সম্প্রীতি রয়েছে এবং কোন দুঃখ-রাগ বা যন্ত্রণা নেই। এই স্থানটি প্রচুর পরিমাণে ঐশ্বর্যশালী এবং সুন্দর স্থান যেখানে সকলে সর্বদা তরুণ, স্বাস্থ্যবান থাকে। এখানে যে সকল প্রাণী থাকে তাদের নিজস্ব এক পবিত্র ভাষা আছে। এটি এমন একটি রাজত্ব যেখানে কখনো ঠান্ডা বা রাত্রি আসেনা, এখানকার বাসিন্দারা অনন্তকাল ধরে স্বর্গসুখের অধিকারী হয়ে আছে। প্রায়শই বলা হয় এই শহরটি ও 'valley of  blue moon"  শহরটি একই স্থান। বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথিতে, ভবিষ্যত বাণীতে সাম্ভালা স্থানটির উল্লেখ পাওয়া গেছে।  প্রায়শই উল্লেখ করা হয়েছে, "এই স্থানটিতে একদিন অন্ধকার এবং আলোর একটি অন্তিম যুদ্ধ হবে যেখান থেকে আলো জয়ী হবে এবং একটি স্বর্ণযুগের সূচনা করবে ও পৃথিবীকে বিশেষ জ্ঞান প্রদান করবে।"



 হরেক রকমের প্রবাদে বলা হয়েছে যে একদিন পৃথিবী এক ভয়ঙ্কর বিপর্যয় পূর্ণ যুদ্ধ এবং হিংসায় ধ্বংস হবে এবং কেবলমাত্র সাম্ভালা এর থেকে রেহাই পাবে। এই বিনাশ কালে এই স্থানটি একমাত্র আশ্রয়স্থল থাকবে এবং এরপর এখান থেকে এক আলোকিত বা জ্ঞানদীপ্ত সম্রাটের উদয় হবে যে পৃথিবী কে আবার দৈব আলো প্রদর্শন করবে।

এডউইন বেরনবাম নামক একজন সাম্ভালা বিশেষজ্ঞ 1920 সালে লিখেছিলেন যুগ যুগ ধরে তিব্বত এবং মঙ্গোলিয়ার মানুষরা সাম্ভালায় বিশ্বাস করতেন; তারা মনে করতেন, সেখানে "এনলাইটেনড" বা "সর্ব জ্ঞানী" রাজা অবস্থান করছেন এবং  সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানকে রক্ষা করে চলেছেন এবং যখন বাইরের পৃথিবীর সমস্ত রকম আধ্যাত্বিক মূল্য ধ্বংস হয়ে যাবে বা হারিয়ে যাবে, তখন ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী এই রাজা তার পবিত্র স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করবেন এবং একটি স্বর্ণযুগের প্রতিষ্ঠা করবেন।



এই কথাগুলো শুনতে হয়তো খুবই ভালো লাগে কিন্তু বিষয়টি হলো সাম্ভালা নিয়ে একটি বিশেষ কিংবদন্তি শোনা যায় যেটি হল, এখানে যে কেউ যেতে পারবেনা। শ্রুতি অনুযায়ী এই ভূমি এবং এর শহর পার্থিব জগতের থেকে লুক্কায়িত হয়ে আছে এবং এখানে আমাদের মত সাধারন মানুষের পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। বলা হয় এটি পৃথিবীতে অবস্থিত থাকলেও আমাদের শারীরিক বা ভৌত জগতের মধ্যে পুরোপুরি পড়ে না; এটি কিছুটা এই জগত এবং পরবর্তী জগতের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে, যেখানে কেবলমাত্র পবিত্র হৃদয়, ধ্যান, আধ্যাত্মিক অগ্রগতি, অত্যন্ত ভালো কর্মফল অথবা এনলাইটমেন্ট ইত্যাদি না প্রাপ্ত হলে কেউ খুঁজে পাবেনা। কেবলমাত্র শারীরিকভাবে সেই স্থানে যাত্রা করতে চাইলে এর ফলাফল ব্যর্থতা। শারীরিকের থেকে আধ্যাত্মিক শক্তি এই স্থানে প্রবেশ করতে মুখ্য ভূমিকা নেবে এবং কেবলমাত্র তখনই এই স্থানটিকে ভৌত জগতের মত আপনি দেখতে এবং অনুভব করতে পারবেন।  যদিও সাম্ভালা সম্পর্কে যে বিশ্বাস কেউ এখানে শারীরিকভাবে পৌঁছতে পারবে না তবুও মানুষ চেষ্টা না করে থেমে থাকেনি এই নিয়ে প্রচুর কাহিনী ছড়িয়ে আছে এরমধ্যে অনেক স্থানে মানুষ সফল হয়েছে বলেও শোনা গেছে।



এরকমই একটি কাহিনী পাওয়া গিয়েছে এনথ্রপলজিস্ট হেলেন ভালবর্গ এর লেখায় তার বইটির নাম ছিল "সিম্বলস অফ এটার্নাল ডকট্রিন ফর্ম সাম্ভালা টু প্যারাডাইস" যেখানে একটি চ্যাপ্টারে তিনি এক শিকারির বিবরণ দিয়েছেন যে এই স্থানটিকে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছিল।

একটি গোপন পার্বত্য অঞ্চলের বরফে মোড়া স্থান থেকে এই একাকী শিকারী এক রহস্যময় মন্ত্র ধ্বনি ও ড্রামের আওয়াজ শুনতে পায়। তিব্বতের বাসিন্দাদের থেকে এই কাহিনীটি পাওয়া গেছে, যেখানে তারা বলেন খুব সহজেই এই সুরেলা ধ্বনিকে অনুসরণ করে সেই শিকারি সেই মহান স্থানের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং এটা অতিক্রম করে সে নিজেকে একটি খুবই সুন্দর উপত্যকায় খুঁজে পেল যা শস্য-শ্যামলা ধানের ক্ষেতে আবৃত এবং সেখানে গ্রামবাসী এবং সুন্দর মনেস্ট্রি ছিল। এইখানকার বাসিন্দারা খুবই শান্তিপ্রিয় এবং খুশি ছিল এবং তারা সেই শিকারীকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তাকে থাকতে বলেছিল। তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন তাদেরকে দেখতে পেয়ে কিন্তু খুব দ্রুতই তিনি নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং তিনি চেয়েছিলেন তাদেরকেও সেই সুন্দর উপত্যকায় নিয়ে আসার জন্য কিন্তু এখানকার বাসিন্দারা তাকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে তিনি এখানে ফিরে আসার রাস্তা আর খুঁজে পাবেনা কিন্তু সেও দৃঢ় হয়েছিল, বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য। এরপর যখন সে সেই দরজাটি অতিক্রম করে, সেইসময়  তার পাশে নিজের বন্দুক এবং জুতো ঝুলিয়ে রেখেছিল সেই দরজাটি চিহ্নিত করে রাখার জন্য। খুব নিশ্চিন্তভাবে সে তার স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে ফিরে গিয়েছিল কিন্তু যখন সে সেই স্থানটিতে ফিরে এসেছিল, সে তার বন্দুক এবং জুতোজোড়াকে একটি পাহাড়ের দেওয়ালের  ফাটলে ঝুলতে দেখেছিল।

পাশ্চাত্য দেশের মানুষেরাও এই স্থানটি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন। 1833 সালে হাঙ্গেরীয়ান পন্ডিত স্যান্দর করসল দাবি করেছিলেন, তিনি ৪৫ ডিগ্রী এবং ৫০ ডিগ্রী নর্থ ল্যাটিচিউড এর মাঝামাঝি স্থানে একটি অসাধারণ দেশ খুঁজে পেয়েছিলেন, যাকে 'হারিয়ে যাওয়া শহর' বলা হয়। 

বিখ্যাত মনস্তাত্ত্বিক এবং 'থিওসফিক্যাল সোসাইটি'র সহ স্থাপক হেলেনা ব্লভাটসকি দাবি করেছিলেন, তিনি সেখানে গিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন স্থানীয় রহস্যময় বিশ্বাসগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং সেখান থেকে বিস্ময়কর জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়েছেন। 

 1920 সালে নিকোলাস রোরিখ নামক এক অভিযাত্রী তিব্বত এবং হিমালয়ে পাঁচ বছর ধরে এক্সকার্শন করেছিলেন- আপাতদৃষ্টিতে কেবলমাত্র স্থান গুলিকে জরিখ করার জন্য কিন্তু গুজবে শোনা যায় এটি আসলে সাম্ভালাকে খুঁজে বের করার জন্য করা হয়েছিল। তার ভ্রমণকালে নিকোলাস খুব প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন যা সেই সময় অন্য কোনো পাশ্চাত্য দেশের মানুষ পৌঁছাতে পারেনি। যে স্থানটি অন্যান্য সভ্যতা থেকে অনেক দূরে আলাদা ছিল, এই ঠান্ডা দুর্গম প্রান্তে তিনি প্রাচীন বইয়ের এক সংগ্রহ অথবা পুথি খুঁজে পেয়েছিলেন যা এক দুর্গম অঞ্চলের মনস্ট্রিতে ছিল। পুঁথিগুলো মনে করা হয় সেই রহস্যময় শহরের পৌঁছনোর পথ দেখাতে পারত এবং তিনি এর প্রতিটি গুজব এবং নির্দেশনাকে অনুসরণ করেছিলেন। তারা বিশ্বাস করতেন যে, আলতাই পর্বতমালার মধ্যে বেলু খা পরবর্তী হল সাম্ভালার প্রবেশদ্বার কিন্তু এটা জানা যায়নি তিনি আসলে সেটা খুঁজে পেয়েছিলেন নাকি।



সাম্ভালাকে নিয়ে আরো একটি বিখ্যাত এক্সপিডিশন হয়েছিল 1920 সালে 'বলশেভিক ক্রিপ্টোগ্রাফি' এবং 'সোভিয়েত সিক্রেট পুলিশের' অন্যতম প্রধান গ্লেব বকি ও তার লেখক বন্ধু আলেকজান্ডার বার্চেনকোর প্রচেষ্টায়। তারা কমিউনিজমের আরো দৃঢ় ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করার উদ্দেশ্যে সেই শহরটির খুঁজে বার করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তারা আশা করেছিলেন যে এই হারিয়ে যাওয়া শহরের রহস্যময় জাদুকরী বিদ্যা তাদেরকে পারফেক্ট কমিউনিস্ট হওয়ার রহস্য সমাধান করতে সাহায্য করবে। কিন্তু এক্সপিডিশনটি নিষ্ফল হয় এবং এর পরবর্তীকালে আরেকটি ফলোআপ প্ল্যান তৈরি করা হলেও সেটিকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, বরঞ্চ এটি সোভিয়েতের দ্বারা 1924 সালে একটি ব্যর্থ মিশন হিসাবে আখ্যায়িত হয়ে গিয়েছিল। 

সম্ভালা কে নিয়ে আরো অনেক এক্সপিডিশন হয়েছিল। যেমন, পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল কিন্তু যতদূর শোনা যায় এগুলি ফলপ্রসূ হয়নি এবং আসলে কি সাম্ভালার অস্তিত্ব আছে কিনা তা পরিস্কার না হলেও বহু লোক এখনো প্রচেষ্টায় লেগে আছে,  সেই আধ্যাত্মিক যাত্রা সফল না হলেও বহু মানুষ দাবি করেছেন তারা সেখানে পৌছতে পেরেছিলেন কিন্তু কেউ এর পক্ষে কোন প্রমাণ প্রদর্শন করতে পারেননি। মানচিত্রে এর অবস্থান এর স্বপক্ষে একচিলতে স্থান দেখানো সম্ভব হয়নি। এমনকি এই স্থানটি যেটি নিয়ে বহু যুগ ধরে প্রবাদ চলে আসছে এমনকি প্রাচীন বিভিন্ন পুথিগুলির থেকেও এর সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে এই হারিয়ে যাওয়া দেশ বা শহর সাম্ভালা কেবলমাত্র হেঁয়ালিপূর্ণ এবং অনতিক্রম্য রয়ে গিয়েছে হয়তো ভবিষ্যতেও থেকে যাবে।.......

Monday, 2 August 2021

সূর্যের ধ্বংসের পর কি পৃথিবীতে প্রাণ থাকবে? নতুন গবেষণায় আশার আলো ---

বেশির ভাগ মানুষের ধারণা ছিল যখন আমাদের সূর্য ধ্বংস হবে তখন পৃথিবীতে তার ক্যাটাস্ত্রফিক প্রভাবে কোন কিছু টিকে থাকতে পারবে না কিন্তু নতুন গবেষণায় একটি আশার আলো পাওয়া গিয়েছে যাতে সূর্যের নিভে যাওয়ার পর পরই আমাদের গ্রহে আবার নতুন করে প্রাণের উৎপত্তি হতে পারে।

পৃথিবীর ম্যাগনেটিক শিল্ড বা চুম্বক বলয় সোলার উইন্ড বা সৌর ঝড়ের উত্তপ্ত চার্জড পার্টিকেল বা কণাগুলি থেকে পৃথিবী কে রক্ষা করে চলেছে।  এই পার্টিক্যাল গুলি ঘন্টায় প্রায় 1 মিলিয়ন মাইল বা 1.6 মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে আমাদের গ্রহের দিকে ধেয়ে আসে যদিও 5 বিলিয়ন বছর পরে আমরা এখনকার মতো এতটা সৌভাগ্যবান থাকবো না, কারণ তখন এই সোলার উইন্ড সূর্যের মৃত্যুর প্রাক্কাল থেকে অতীব শক্তিশালী হয়ে উঠবে। 



সূর্যের ধ্বংসের শেষ ধাপে এটির হাইড্রোজেন জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে এবং এটি একটি লাল দানবে পরিণত হবে। এই সময় সৌর ঝড় এত শক্তিশালী হবে যে, এটি পৃথিবীর ম্যাগনেটিক শিল্ডকে ধ্বংস করে দেবে যার ফলে আমাদের বায়ুমণ্ডলের বেশিরভাগ অংশই মহাকাশে বিলীন হয়ে যাবে। 

যার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের গ্রহে সূর্যের বিরুদ্ধে কোন প্রতিরক্ষা কবচ থাকবে না এবং জীবন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।



এক বিলিয়ন বছরের কাছাকাছি সময় বাদে সূর্য একটি শ্বেত বামনে পরিণত হবে এবং তার কয়েক বিলিয়ন বছরে এটি সম্পূর্ণ মৃত হয়ে যাবে যা কোন রকমের আলো উৎপন্ন করতে পারবে না। এছাড়া সূর্যের আকর্ষণ ক্ষমতা এত দুর্বল হয়ে যাবে যে আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলি এখনকার অবস্থান থেকে প্রায় দ্বিগুণ দূরত্বে চলে যাবে।

গবেষকরা সোলার উইন্ড 'radiating' করা আমাদের সূর্যের থেকে 1 থেকে 7 গুণ বেশি ঘনত্ব সম্পন্ন বিভিন্ন নক্ষত্রের মডেল তৈরি করে উপলব্ধি করেছে যে, সূর্যের এই বিবর্তন চলাকালীন আমাদের ম্যাগনেটিক ফিল্ডকে অক্ষত থাকতে হলে বর্তমানের থেকে এটিকে অন্তত 1000 গুন বেশী শক্তিশালী হতে হবে।



দিমিত্রি ভেরাস যিনি ইউ. কে এর 'ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির' এস্ট্রোফিজিসিস্ট, দাবি করেছেন, এই গবেষণাটি প্রদর্শন করছে স্টেলার এভলিউশনের জায়েন্ট ব্রাঞ্চ ফেসগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে চলাকালে একটি গ্রহের নিজস্ব প্রটেক্টিভ ম্যাগনেটোস্ফিয়ার মেন্টেন করার সমস্যা গুলিকে।



যদিও এটি শুনে যতটাই ধ্বংসাত্মক মনে হয় তবুও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ জীবনের পক্ষে একটি আশার ছোট আলো পাওয়া যায়। যেহেতু শ্বেত বামনের থেকে কোন সৌর ঝড় বা সোলার উইন্ড নির্গত হতে পারে না, তাই একটি সম্ভাবনা থাকে যে আমাদের গ্রহ আবার বসবাসযোগ্য হতে পারে। তাই লাল দানবের থেকে আসা শক্তিশালী ঝড়ের বোমা বর্ষণের শেষ হওয়ার পর আবার নতুন করে প্রাণের বিবর্ধন শুরু হতে পারে। এটা সেই সকল গ্রহ যারা শ্বেত বামনকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে তাদের পক্ষেও প্রাণের সূচনার পক্ষে একটি ভালো খবর। এই গবেষণাটি " monthly notices of the the royal astronomical society"  নামক জার্নালে প্রকাশিত করা হয়েছে যেখানে আপনারা এটিকে সম্পূর্ণরূপে পড়তে পারেন।