Pages

Sunday, 31 March 2019

কোডেক্স গিগাস বা শয়তানের ধর্মগ্রন্থ


জ্ঞানের আঁধার বই রহস্যের জট খুলে দেয়। সামনে নিয়ে আসে জানা অজানা তথ্য। তবে কোডেক্স গিগাস নামক বইটি কয়েক শতাব্দী ধরে বিশ্ববাসীকে রহস্যের মায়াজালে ডুবিয়ে রেখেছে । বইটি মধ্যযুগীয় বৃহত্তম পাণ্ডুলিপি হিসেবে পরিচিত।

ল্যাটিন শব্দ কোডেক্স গিগাজ। যার অর্থ: বিশাল আকারের বই। হ্যা, আকারের দিক থেকেও এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বই, অন্য কথায় একে “শয়তানের বাইবেল” বলা হয় এটি ৩৬.২ ইঞ্চি লম্বা, ১৯.৭ ইঞ্চি চওড়া এবং ৮.৬ ইঞ্চি পুরু। ১৩শ শতাব্দীর প্রথম অংশে হারম্যান রিকুলাস নামক চেকোশ্লাভাকিয়ার এক সন্ন্যাসী এই কোডেক্স গিগাস লিখেছেন।

১৬৫ পাউন্ড ওজনের শয়তানের বাইবেলের যা কমপক্ষে ১৬০টি গাধা বা খচ্চড়ের চামড়ার ওপর লিখিত। বইটিতে ৬০০ পৃষ্টা আছে। আর তিন ফুট লম্বা। কমপক্ষে ২ জন মানুষ লাগে এই বই কে স্থানান্তারিত করতে, জোর করে কেউ চেষ্টা করলে গুরুতর আহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বইটির শেষদিকের অনেকগুলো পৃষ্ঠার হদিস মেলেনি। ইতিহাসবিদদের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবে পৃষ্ঠাগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

স্রষ্টার বিপক্ষতার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতির বর্ননা দেয়া আছে বইটিতে কিভাবে কালাজ্বর, মৃগী রোগ ভালো হবে সে ব্যাপারে লেখা আছে আরো এর পাশাপাশি কিভাবে চোর ধরতে হবে ডাইনি কিভাবে চেনা যাবে সে সবও লেখা আছে।। ভয়ঙ্কর রোগের অভিশাপ ও মুক্তি, আত্মাকে বশীকরণ ও লালন-পালন, কালা জাদুর মন্ত্র সহ নানান বিষয়ে সমাধান দেওয়া আছে এতে।

ইতিহাসবিদরা ইতিমধ্যে পুরো পাণ্ডুলিপির লেখা উদ্ধার করে ফেলেছেন। তাদের মতে, কোডেক্স গিগাস একটি মধ্যযুগীয় জ্বলজ্যান্ত বিশ্বকোষ। পুরো বাইবেলটি লেখা হয়েছে ল্যাটিন ভাষায়। পাণ্ডুলিপির শুরুতে পবিত্র ওল্ড টেস্টামেন্ট সংযুক্ত আছে। ধর্মগ্রন্থ বাইবেল ছাড়াও ফ্লেভিয়াস জোসেফাস নামক এক পণ্ডিত রচিত The Jewish War and Jewish Antiquities গ্রন্থ, সেইন্ট ইসিডোর রচিত একটি বিশ্বকোষ (Encyclopedia), যাজক কোমাক রচিত The Chronicle of Bohemia গ্রন্থ এবং বাইবেলের নতুন টেস্টামেন্ট সংযোজিত রয়েছে।

কিছু ছোট রচনাও এতে রয়েছে। প্রথমটি অনুশোচনা বা প্রায়শ্চিত্তের উপর লেখা আর এটা রয়েছে স্বর্গচিত্রের ঠিক আগে। দ্বিতীয়টি জ্বিন ছাড়ানোর উপর, আর এর অবস্থান শয়তানের প্রতিকৃতির ঠিক পরে। ছোট রচনার সবশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে একটা বর্ষপঞ্জিকা, যাতে রয়েছে সাধু ও স্থানীয় বোহেমিয়ান ব্যক্তির তালিকা যাদেরকে ঐ সময় স্মরণ (স্মরণার্থে উৎসব পালন) করা হত। কিছু হারিয়ে যাওয়া বা পান্ডুলিপি থেকে সরিয়ে ফেলা কাজও রয়েছে। সম্ভবত: সেগুলো ছিল ৬ষ্ঠ শতকে লেখা সাধু বেনেডিক্টের আইন, সন্যাস জীবন-যাপনের জন্যে অত্যাবশ্যকীয় পথ নির্দেশিকা।

বইটির এমন নামকরণের পেছনে রয়েছে অদ্ভুত এক পৌরানিক কাহিনী। হারম্যান নামে বোহেমিয়ার (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র) বেনেডিক্ট পোডলাজাইসের আশ্রমে একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। একদিন তিনি আশ্রমের নিয়ম ভঙ্গ করে বসেন। নিয়ম ভঙ্গের পাপ হিসেবে তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হয়। শাস্তি হল একটা বদ্ধ কুঠুরীতে তাকে আজীবন নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটাতে হবে। হারম্যান মেনে নেয় এই শাস্তি।

এক পর্যায়ে সে মঠাধক্ষ্য কে তার পাপের শাস্তি লাগবের জন্য প্রস্তাব দেয় সে এক রাতের মধ্যে তার অর্জিত জ্ঞান যা আছে মানুষের কল্যানে তা নিয়ে সে একটা বই লিখবে। যে বইতে সৃষ্টিকর্তা আর মঠের গুনগান থাকবে থাকবে মানুষের বিভিন্ন উপকার কিভাবে হয় সেব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য। মঠাধক্ষ্য হারম্যান এর আর্জি কবুল করে।

তিনি মাঝ রাত আবধি এসে দেখতে পান মাত্র অর্ধেক পাতা লিখতে পেরেছেন। হতাশায় হারম্যান ওই মাঝ রাতে নিজের রক্ত দিয়ে শয়তান কে একটা চিঠি লিখে বসেন। চিঠিতে তিনি শয়তানের কাছে এই বলে সাহায্য কামনা করেন যে, শয়তান যদি তাকে এই বই লিখে দেয় তবে তিনি তার আত্মা শয়তান কে সপে দেবেন। সাড়া দেয় শয়তান। স্ব-শরীরে হাজির হয় শয়তান। শুরু হয় কোডেক্স গিগাস লেখা।

উষার আগেই লেখা শেষ হয়ে যায় এই বিশাল বইটি। নিজেকে প্রমান দেবার জন্য নিজ হাতে শয়তান তার ছবি বইটির ২৯০ নং পৃষ্ঠায় এঁকে রেখে যায়। শয়তানের সাহায্যে লিখা বলেই একে শয়তানের বাইবেল বলা হয়।

কোডেক্স গিগাস নিয়ে প্রচুর গবেষনা চলছে। সুইডেন জাতীয় গ্রন্থাগারের গবেষকদের মতে, যদি লেখক পুরো সপ্তাহ জুড়ে প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে লিখে থাকেন, তাহলেও বইটি শেষ করতে তার লেগে যাবে প্রায় ত্রিশ বছর। তবে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে এই কোডেক্স গিগাস এক জন মানুষের হাতে লেখা। যা আধুনিক হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমান করেছে। তবে এর লেখার ব্যাপ্তি কাল নিয়ে মতভেদ আছে, তবে বলা হয় খুব কম সময়ে এটি লেখা। সময় যত ই লাগুক এটা একজনের হাতে লিখিত এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। সেই একজন কি হারম্যান না কি শয়তান নিজে সেটা এখনো কেউ জানে না।

পাণ্ডুলিপিতে ব্যবহার করা হয়েছে একই ধরনের কালি, যা তৈরি হয়েছে পোকামাকড়ের ঝুলকালি দিয়ে। আর রং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন কীটের শরীরের নানান রং এর তরল। এতে প্রমানিত হয় যে, লেখকের কীট-পতঙ্গ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা ছিল, আর তাই সে তাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় রংগুলো সংগ্রহ করে নিতে পেরেছে।

বইর হিসাব অনুযায়ী এই বই ১২২৯ সালের শেষের কোন এক রাতে এটা লেখা শেষ হয়। কোডেক্স গিগাস যে মঠে লিখিত হয়েছিল সে মঠ “হুসাইত বিদ্রোহ” র যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যায় ১৫ শতকে। এর পর এই বই ১৪৭৭-১৫৯৩ পর্যন্ত ব্রোমভ মনাষ্টরিতে ছিল। বইটির প্রতি মোহ দেখে সম্মানস্বরুপ প্রাগের সন্ন্যাসীরা প্যারাগুয়ের রাজা রুডলফদ্বিতীয়কে বইটি কিছুদিনের জন্য উপহার দেয়। রাজাও  বইটি ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধার নেন ১৬৯৪ সালে।


বইটি ১৪৭৭-১৫৯৩ পর্যন্ত ব্রোমভ মনাষ্টরিতে ছিল। বইটির প্রতি মোহ দেখে সম্মানস্বরুপ প্রাগের সন্ন্যাসীরা প্রাগ সম্রাট রুডলফ কে বইটি উপহার দেয়। তিনি প্রাগ শহরে নিয়ে আসেন বাইবেলখানা। কিন্তু তার সেই প্রতিশ্রুতির কথা বেমালুম ভুলে যান তিনি। ১৬১৮ সালের দিকে চেক প্রজাতন্ত্রে যুদ্ধ বেঁধে যায়। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চলা যুদ্ধে চেকরা অনেক কিছুই হারিয়েছে।

এই পুস্তকটি নিয়ে নানা কুসংস্কার চালু রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, যারা এটিকে নিজেদের অধিকারে এনেছে, তাদের উপর ভর করেছে অশুভ শক্তি। হয় তাদের মস্তিস্ক বিকার ঘটেছে অথবা তারা ধ্বংস হয়েছে যুদ্ধে, অপঘাতে অথবা মড়কে।সম্রাট রুডলফই তো জলজ্যান্ত প্রমান।

১৬৪৮ সালে প্রাগের সাথে ৩০ বছরের যুদ্ধ শেষে বিজয়ী সুইডিশ সৈন্যরা এই বই লুঠ করে ১৬৪৮ সাথে ষ্টকহোমে সুইডিশ রয়াল লাইব্রেরীতে নিয়ে যায়। ৭ ই মে ১৬৯৭ সালে সুইডেনের রাজ প্রাসাদের লাইব্রেরীতে এক মারাত্মক আগুন লাগে। এই বই রক্ষিত ছিল। আগুনে বইটির পুরা পুড়ে যাবার আগেই জানালা দিয়ে এটাকে উদ্ধার কর্মীরা নীচে ফেলে দিতে সমর্থ হয়। কিন্তু ক্ষতি ততক্ষনে অনেক হয়ে গেছে। কিছু পাতা পুড়ে গেছে। কিছু পাতা নীচে পড়ার সময় বতাসে উড়ে যায়। এই পৃষ্টাগুলো এখনো পাওয়া যায় নাই।  বর্তমানে এটি সুইডেনের জাতীয় গ্রন্থাগার স্টকহোমে সংরক্ষিত রয়েছে।

৩৫৯ বছর পর এই কোডেক্স গিগাস সুইডেন থেকে আবার প্যারাগুয়ে আনা হয় এক বছরের চুক্তিতে প্রদর্শনীর জন্য ২০০৭ সালে। পরে ২০০৮ সালে আবার সুইডেন কর্তৃপক্ষ আবার তাদের বই ফিরিয়ে নেয়.

Saturday, 16 March 2019

পায়ের গন্ধ দুর করার কয়েকটা সহজ উপায় --

পায়ে দুর্গন্ধ হওয়া খুবই বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর একটা ব্যক্তিগত শারীরিক সমস্যা। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে যে কারোরই এই বিব্রতকর শারীরিক সমস্যাটি হতে পারে।
অনেকে এটাকেই রোগ ভেবে ভুলও করে থাকেন। পা ঘামা কোনো রোগ নয় বরং এ থেকে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে থাকে। অনেকের শুষ্ক আবহাওয়ায় পা ঘামে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বছরজুড়ে। এ কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।

শরীরের যেকোন অংশের চেয়ে এমনকি বগলের চেয়েও বেশি ঘর্ম গ্রন্থি থাকে পায়ের পাতায়। যখন পায়ের পাতার ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নির্গত হয় তখন পুরো স্থানটি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে (যেমন-বয়ঃসন্ধি কালে অথবা প্রেগনেন্সির সময়), স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে, ব্যায়াম করলে বা গরমের কারণে পা ঘামতে পারে।

অনেকেই অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পড়েন পায়ের গন্ধের জন্য। পা-ঢাকা জুতো পরে কিছু বিশেষ জায়গায় যেতেই হয় অনেককে। আর সেখানেই বাধে সমস্যা। এই জুতোর গন্ধে অনেকেই কাছে ঘেঁসে না। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি লজ্জারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূলত যাঁদের পা ঘামে তাদেরই বেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু এর থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজেই। কি করবেন পায়ের গন্ধ দূর করতে দেখে নিন তার কিছু কৌশল।


---পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার মতো অংশগুলো বাদ দিন
ঘামের সাথে সাথে পায়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াও দায়ী দূর্গন্ধ তৈরি করার জন্য। তাই পায়ের আঙ্গুলের নখ একেবারেই বড় করবেন না। কারণ এই সকল ব্যাকটেরিয়া নখ, নখের নীচের মোটা চামড়া এবং নখের আশেপাশেই বেশী জন্মে থাকে। নিয়মিতভাবে পায়ের নখ, নখের চারপাশের মোটা চামড়া কেটে ফেলুন। এরই সাথে পায়ের গোড়ালি নিয়মিত এক্সফলিয়েট করুন।

--জুতো পরার সময় অবশ্যই মোজা ব্যবহার করুন। কারণ পাতলা সুতির মোজা পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে এবং তা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়ক। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। সিনথেটিকের বা উলের মোজাও ঘাম-রোধক। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে।

---বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে পায়ের ঘাম বেরোতে পারেনা। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। চামড়ার জুতায় গন্ধ ছড়ায় না। জুতা কেনার আগে এর শুকতলাটা দেখে নেবেন যেন তা ভালো হয়। জুতার এই অংশই ঘাম টেনে নেয়। মোজা কেনার ক্ষেত্রে দেখে নিন যেন সুতির তৈরি হয়, প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য কয়েক জোড়া মোজা রাখুন। ১দিন ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলুন।যাদের পা ঘামে মাত্রাতিরিক্ত এবং গন্ধও ছড়ায় তারা পায়ের জন্য ফ্রেড লোশন লাগাতে পারেন। জুতা পরার ১ঘণ্টা আগে পায়ে মাখতে হবে। এরপর জুতা পরুন। পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।জুতা/মোজা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।চর্মরোগে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন l

--সাধারণত পা ধোয়ার পরে আমরা কিন্তু পা ভালোমতো মোছার দিকে একেবারেই খেয়াল রাখি না। পোডোলজিস্টদের মতে পা ধোয়ার পরে পায়ের আঙ্গুলের মাঝেও ভালোমতো মুছে নিন তোয়ালে অথবা নরম কাপড় দিয়ে। কারণ, অনেক সময় পায়ে য সকল ফাংগাল ইনফেকশন হয়, তার জন্যে পায়ের এমন ভেজাভাবও অনেকাংশে দায়ী।


-- ঘাম ও দুর্গন্ধ দূর করার জন্য পায়ের পাতার নীচের দিকে আন্ডারআর্ম ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। এরপর কিছুটা ফুট পাউডার পায়ের পাতার উপর ছিটিয়ে দিন। এটি অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নিবে এবং দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করবে।


--পায়ের বাজে ব্যাকটেরিয়া সমূলে বিনষ্ট করার জন্যে এবং পায়ের ঘাম কমানোর জন্যে চায়ে থাকা ট্যানিন খুবই উপকারী। আপনি চাইলে পায়ের যত্নে প্রতিদিন চা ব্যবহার করতে পারেন গোসলের সময়ে। 

যেভাবে ব্যবহার করবেন: এক লিটার গরম পানিতে তিন চা চামচ চা ভিজিয়ে দিন। এর সাথে দুই লিটার ঠান্ডা পানি যোগ করুন। এখন এই মিশ্রণে দুই পা ১৫-২০ মিনিটের জন্যে ভিজিয়ে রেখে দিন।


--- নুন জল পায়ে ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। নিয়মিত নুন জলের ব্যবহারে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই কমে আসে।

রোজ বাড়িতে ফিরে সামান্য উষ্ণ গরম জলেতে নুন মিশিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট। পা ঘামার সমস্যা দূর হবে, সেই সঙ্গে আপনার পা ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও রেহাই পাবে।

--একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম শুকনোর সময় পায় না। সেই জুতোই আবার পরলে জীবাণু বাসা বাঁধে পায়ে। তার থেকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া ‍জুতো পরুন।


--জুতার ধরণও অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। অনেক বেশি আঁটসাঁট জুতা যেমন- বুট জুতা সম্ভবত গন্ধের সৃষ্টি হয়। কারণ এই ধরণের জুতায় বায়ু চলাচল করতে পারেনা। যদি সম্ভব হয় তাহলে সামনের দিকে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। অ্যাথলেটিক জুতা ব্যবহার করতে পারেন যার পাশ দিয়ে জালের মত অংশ থাকে যা দিয়ে ভেন্টিলেশনের সুবিধা থাকে।


--পায়ের বাজে গন্ধ দূর করার জন্যে তো বটেই পায়ে জন্ম নেওয়া বাজে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও দারুণ সাহায্য করবে অ্যারোমাথেরাপি অয়েল। এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার অয়েল সবচেয়ে বেশী কার্যকরি এবং উপযোগী হবে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন: ৪-৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে দুই পায়ের পাতা খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। অথবা, ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ৩-৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে দুই পা ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন।


---বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পা পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা সৃষ্টি করে।

এতে করে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এবং পায়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা আর থাকে না।

পা খুব ভাল করে পরিষ্কার করে, হাতে সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে পায়ে ভালো করে ঘষে নিন। এর ফলে পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বন্ধ হবে। চাইলে বন্ধ জুতোর ভেতরেও ছিটিয়ে নিতে পারেন খানিকটা বেকিং সোডা, এতেও অনেক উপকার পাবেন।

--জুতা পরার আগে পায়ে পাউডার লাগিয়ে নিন। জুতার ভেতরেও পাউডার ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে পা কম ঘামাবে।

---অনেকেই ঘরেও জুতা অথবা স্যান্ডেল পরে থাকতে পছন্দ করেন। তবে ঘরে থাকাকালীন অবস্থায় কোন স্যান্ডেল অথবা জুতা না পরাটাই সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে করে পায়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বেশী হয়ে থাকে।

---এসব একেবারেই সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি মেনে চললে পায়ের দুর্গন্ধ কমে যাবে অনেকটাই। এছাড়া বাইরে ব্যবহৃত জুতা এবং মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং শুকাতে হবে। কিন্তু, পায়ের দুর্গন্ধ যদি অতিরিক্ত হয় এবং পায়ে চুলকানির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে হবে।

--সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার করে নিন পা। অথবা হালকা গরমপানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে।


Saturday, 2 March 2019

লাদাখের কংকা পাস এবং এলিয়েন / ভিনগ্রহী কার্যকলাপ --


আমরা ভিনগ্রহী প্রাণী এবং তাদের অবস্থানের সম্পর্কে সর্বদা উন্মুখ হয়ে থাকি। অতএব, কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে এলিয়েন এবং ইউএফও সম্পর্কিত খবর খুব হিট ও ট্রেন্ডিং বিষয়  , এটি গল্প, কার্টুন বা সিনেমাও হতে পারে। কিন্তু আমি যদি বলি আপনি তাদের সাক্ষাৎ পাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন? হ্যাঁ, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান রয়েছে যেখানে লোকেরা ইউএফওগুলিকে বায়ুতে উড়তে দেখেছে এবং অসংখ্য অস্বাভাবিক প্রাণীর মুখোমু খি হয়েছে। এ ধরনের একটি স্থান ভারতে অবস্থিত। হ্যাঁ, আপনি ঠিক  পড়েছেন।

হিমালয়, পাহাড় ও পর্বতে ভরা এক জগৎ, এটি ভারতের সবচেয়ে শান্ত এবং সুন্দর গন্তব্যগুলির মধ্যে  উল্লেখ্য। অনেক মানুষ তাদের ক্লান্ত জীবন থেকে এই পৃথিবীর ভেতরে এসে সুখের কয়েক সপ্তাহ উপভোগ করে প্রাণবন্ত করতে চায়। তারা অদ্ভুত এবং অতিপ্রাকৃত কিছু মুহুর্তের আবিষ্কার এবং ক্যাপচার করতে চায় যা তারা সমগ্র জীবনকালের জন্য স্মরণীয় হতে পারে। কিন্তু, এই  যাত্রায় যদি  খুব অভূতপূর্ব কিছু হতে পারে? হতে পারে কিংবা না ও হতে পারে!

এই মহান মহাবিশ্বের অগণিত সংখ্যক ছায়াপথ রয়েছে, এক আমাদের মিল্কি ওয়ে। একা এই গ্যালাক্সিটিতে 200 বিলিয়ন তারারও বেশি আছে। এর মধ্যে বুধ্ধিমান প্রাণী হিসাবে কি কেবল আমরাই  বেঁচে আছি?

কঙ্গকা হিমালয়এর নিচের প্রান্তের একটি পাস। এটা লাদাখে বিতর্কিত ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। মানচিত্রের কিছু অংশ এখনও আক্সাই চিন এলাকার চীনা নিয়ন্ত্রণাধীন বিতর্কিত এলাকা। উত্তর-পূর্ব অংশে চীনে আকসাই চিন নামে পরিচিত এবং দক্ষিণ পশ্চিম ভারতে  লাদাখ নামে পরিচিত। এই এলাকাটি যেখানে 1962 সালে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী বড়োসড়ো যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। এলাকাটি বিশ্বের সর্বনিম্ন অ্যাক্সেসযুক্ত এলাকা এবং চুক্তির মাধ্যমে সীমান্তের এই অংশটিকে কোনো দেশ এর বাহিনী প্রহরা দেয় না। অনেক পর্যটকের মতে, বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও লাদাখের স্থানীয় লোকজন, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণের লাইন বজায় রাখে। কিন্তু এই এলাকায় আরও গুরুতর কিছু ঘটছে।

কংকা পাসে যাওয়ার উপযোগী সময় --

কংকা পাসের চারপাশের অঞ্চলে শীতকালীন ঋতুতে ভারী তুষারপাত দেখা দেয় এবং অতএব বেশিরভাগ রাস্তা তুষার দ্বারা অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে সহজে পৌঁছাতে অসুবিধা হয়। কংকা পাস দেখার সর্বোত্তম সময় জুন থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে, আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিস্থিতি অনুকূল থাকে।

কংকা পাসে কিভাবে পৌঁছাবেন

ফ্লাইটে দ্বারা: পাস থেকে নিকটতম বিমানবন্দর প্রায় ২00 কিলোমিটার দূরে লেহতে অবস্থিত। সরাসরি পাস পৌঁছানোর কোন উপযুক্ত রাস্তা নেই; অতএব, আপনি শ্যায়াকে একটি ক্যাব ভাড়া নিতে পারেন এবং তারপরে সেখান থেকে আপনার পাসের পথে ভ্রমণ করতে হবে। শ্যায়াক বিমানবন্দর থেকে 125 কিলোমিটার দূরে এবং পাস থেকে 70 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

 রেল দ্বারা: পাসের নিকটস্থ রেলওয়ে প্রায় 900 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অতএব, এটি পাস পৌঁছাতে পছন্দসই পদ্ধতি নয়।

রাস্তা দ্বারা: রাস্তা দ্বারা পাস অন্যান্য শহর ও শহরতলির সাথে সংযুক্ত না, আপনাকে হেটে হেটে সেখানে পৌঁছাতে হবে। রাস্তাঘাটের পথে যাওয়ার শেষ ধাপটি হল শ্যায়াক, যা পাস থেকে 70 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।


২017 সালের জানুয়ারিতে, সিআইএ তার ওয়েবসাইটে 930,000 ইউএফও নথি প্রকাশ করে। এর মধ্যে একটি 1968 সালে ভারত, নেপাল এবং ভুটানের ছয়টি ইউএফও দর্শনের বিস্তারিত বিবরণী থেকে একটি নথি অন্তর্ভুক্ত করেছে।

1968 সালের এপ্রিলের একটি প্রতিবেদন - সম্প্রতি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) দ্বারা অনলাইনে পোস্ট করা 930,000  দস্তাবেজগুলির অংশ - লাদাখ, সিক্কিম , ভুটান এবং নেপালের অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুর ছয়টি দর্শনের বিবরণ।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইউএফও ইস্যুটি হ্রাস পেয়েছে, 1950 এবং 1960 এর দশকে সিআইএ এবং মার্কিন বিমান বাহিনী ইউ.এফ ও  রিপোর্ট  খুব গুরুত্ত্ব  সহকারে গ্রহণ করেছিল , যাতে গোয়েন্দা সংস্থা অধ্যয়ন করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করে।

সিআইএ রিপোর্টটি মূলত বিদেশীদের সাথে ভাগাভাগি করার উদ্দেশ্যে নয়, তাতে বলা হয়  "দক্ষিণ লাদাখ, উত্তর-পূর্ব নেপাল, উত্তর সিকিম এবং পশ্চিমা ভুটানের উপর প্রদর্শিত উজ্জ্বল বস্তু দেখা গেছে " রয়েছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 4 ই মার্চ, 1968 তারিখে দুপুর ১টায়  ল্যাদাখের চ্যাং লা, ফুকচে এবং কোয়ুলের উপর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে একটি বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়েছিল। "একটি সাদা আলো এবং একই সঙ্গে দুটি খুব জোরে শব্দ ছিল। , একটি লাল আলোর পর সাদা ধোঁয়া দেখা যায় , "রিপোর্ট তার বিবরন দেয়া হয়।


কোন স্থায়ী বন্দোবস্ত না থাকা, একটি সম্পূর্ণরূপে দুর্গম অঞ্চল  এবং 'নো মেনস ল্যান্ড' এই  পাসকে অন্তর্ভুক্ত করে। কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবে তার কঠিন ও প্রান্তিক ভূখণ্ডের কারণে গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের উভয় দিকের লোকজন এই অঞ্চলের আশেপাশে প্রচুর  UFO দেখেছে। শুধু এই নয়, তারাও বিশ্বাস করে যে একটি ভূগর্ভস্থ ইউএফও বেস পাসে রয়েছে যেখানে অনেক ইউএফও নিচে নেমে আসে, আকাশে উড়ে যায়  এবং মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যায় । এই বিশ্বাসের পিছনে কারণ পৃথিবীর যে কোনও অঞ্চলের চেয়ে দ্বিগুণ earth crust এর গভীরতা। এই গভীরতা convergent প্লেট সীমানার সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে। পৃথিবীর এক টেকটনিক প্লেট অন্যের নিচে ডুবে গেলে এই সীমানা গঠিত হয়। সুতরাং, একটি ভূগর্ভস্থ ইউএফও বেসকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।


অতীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যা আমাদের নিজের চেয়ে ভিন্ন জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়ে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

--- ২004 সালে, ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল হিমাচল প্রদেশের লাহৌল-স্পিটি অঞ্চলে আমেদাবাদ স্পেস এপ্লিকেশন সেন্টার এর ডক্টর অনিল কুলকারনির নেতৃত্ৰে একটি অভিযান চালাচ্ছিল, যেখানে তারা 4 ফুট লম্বা আকারের একটি রোবট এবং পাহাড়ের তলদেশে হেঁটে যেতে দেখেছিলো এবং ফটো তুলেছিল, যখন তারা কাছাকাছি  এগোনোর চেষ্টা করে তখন বস্তুটি পাহাড়ের খাজে গায়েব হয়ে যায়.


-- 2012 সালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পঙ্গং লেকের উপরে আকাশে ভাসমান  ১৬০ কিলোমিটার লম্বা  ফিতার আকারের বস্তু দেখেছিল। বস্তুটি সঠিকভাবে নির্ধারণ করার জন্য সেনাবাহিনী তাদের রাডার এবং বর্ণালী বিশ্লেষককে বস্তুর কাছাকাছি নিয়ে আসে। বস্তু পরিষ্কারভাবে নগ্ন চোখে দৃশ্যমান ছিল, তবে উপকরণগুলি কোনও সংকেত সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যা মানবজাতির ধারণার বাইরের একটি ভিন্ন মাত্রার বর্ণালী এবং বস্তুর দিকে নির্দেশ করে। সেনাবাহিনী ভাসমান বস্তুর দিকে পাল্টা একটি ড্রোন পাঠানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু ড্রোনটি উচ্চতায় সীমা অতিক্রম করার ফলে  রহস্যজনক বস্তুটির কাছে যাওয়া যায়নি।

--কৈলাশ পাহাড়ে যাওয়ার পথে পশ্চিম দিকের পাস দিয়ে হেঁটে যাওয়া হিন্দু তীর্থযাত্রীদের একটি দল আকাশে কিছু অদ্ভুত আলো দেখেছিল। অঞ্চলটির চীনের দিক থেকে আসা স্থানীয় গাইডগুলি তাদের বলেছিল যে এই অঞ্চলে এটি খুব সাধারণ ঘটনা। কৌতূহলী তীর্থযাত্রীরা, যাদের উভয় দেশের মধ্যে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তারা চীনা কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাটি চেক করার অনুমতি চায় কিন্তু চীন কতৃপক্ষ তা  প্রত্যাখ্যান করে। পরে  তারা ভারতীয় দিকে ফিরল এবং ভারতীয় কতৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু তারাও অস্বীকার করেছিল।

---গুগল আর্থ চিত্রাবলী আগের তুলনায় আরো বেশি জল্পনা সৃষ্টি করেছে। এই ছবিগুলিতে  পার্শবর্তী ভবন গুলিকে মিলিটারি নির্মাণের মতো দেখায়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইউনিট এবং ইন্দো-তিব্বতী বর্ডার পুলিশ ফোর্স (আইটিবিপি) জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলে অজ্ঞাত ফ্লাইং অবজেক্ট এর  (ইউএফওএস) রিপোর্ট জানিয়েছে। প্যাংগং সো  লেকের নিকটবর্তী ঠাকুং এলাকার  একটি আইটিবিপি ইউনিট বছরের 1 লা আগস্ট থেকে 15 অক্টোবর পর্যন্ত 100 টিরও বেশি আলোকিত বস্তু দেখার রিপোর্ট করেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি সদর দফতরে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) পাঠানো প্রতিবেদনে তারা দিন ও রাতে "অজ্ঞাত আলোকিত বস্তু" দেখায়। চীনা পার্শ্বের দিগন্ত থেকে হলুদ গোলকগুলি বের হয়ে আসে এবং ধীরে ধীরে অদৃশ্য হওয়ার তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে আকাশকে অতিক্রম করে। আইটিবিপি কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফগুলি নিয়ে গবেষণা করে সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলি মানবজাতীয় বিমানবাহিনী (ইউএভিএস), ড্রোন বা এমনকি কম পৃথিবী-পরিবাহিত উপগ্রহ নয়।

ড্রোন sightings যাচাই এবং আলাদাভাবে লগ করা হয়। কেবল ২০১২ সালের জানুয়ারী ও আগস্টের মধ্যে সেনা বাহিনীর 99 টি পর্যবেক্ষণ দেখানো হয়েছে: পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল, লাদাখ অঞ্চলে 62 টি এবং অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সেক্টরে 37 টি পর্যবেক্ষণ দেখা গেছে। এই ড্রোনগুলির মধ্যে তিনটি লাদাখের 365 কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বরাবর যায়  ভারত দাবি করেছে যে এটি আইটিবিপি দ্বারা পরিচালিত হয়।

এই বছরের সেপ্টেম্বরে লেকটির 150 কিলোমিটার দক্ষিণে হানলেতে  অবস্থিত ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল তিন দিনের জন্য  ঘটনাটি অধ্যয়ন করেছিল। দলটি উড়ন্ত বস্তু দেখেছিল, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, কিন্তু  সেগুলি কি তারা তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে, তারা বলেছিল যে বস্তুগুলি  উল্কা এবং গ্রহ নয়।

যদিও ইউএফও অভিযানের বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলা হয়নি, আশ্চর্যের বিষয় হলো দুই দেশেরই স্থানীয়দের মতে ভারতীয় ও চীনা সরকারগুলি এই অঞ্চল বিষয়ে খুব ভালভাবে সচেতন। সম্ভবত এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা এমনকি বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার স্বার্থে, যা আরও বেশি আবশ্যক, বা বহিরাগতদের সাথে যে কোনও গোপনীয় চুক্তি যা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য যায় হোক আসা করি সময়ের সাথে তা বেরিয়ে আসবে এবং  যখন আসবে আমরা বিশ্বাস করি যে সমগ্র সভ্যতাকে রূপান্তর করে দিতে পারে।