Pages

Sunday, 16 February 2020

অপারেশন এইচ বা গ্র্যান্ড স্যাসো অপারেশন-

সময়টা 1943 সালের সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নাজি জার্মানির পক্ষে খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না।
রাশিয়ানরা কর্সকে জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছিল এবং কৌশলগতভাবে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল।
এদিকে আফ্রিকার জার্মান সৈনিকদের উত্তর আফ্রিকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়েছিল। ব্রিটিশ এবং আমেরিকানরা সিসিলিতে এসে গিয়েছিল যার ফলে ইটালি যুদ্ধ থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নতুন ইটালিয়ান সরকার প্রাক্তন স্বৈরাচারী বেনিতো মুসোলিনি কে গ্রেপ্তার করে এবং মিত্রপক্ষ ইটালির ভূমি দখল নেয় এবং তাদের ভিত শক্ত করে। হিটলার চাইছিলেন তার মিত্র মুসোলিনি কে বাঁচাতে এবং তিনি এস এস ক্যাপ্টেন অটো স্কোরযিনিকে নির্দেশ দেন তাকে ছাড়ানোর জন্য একটি অভিযান চালাতে এর জন্য হিটলার তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে বার্লিনে ডাকেন।

লুফটওয়াফের প্যারাট্রুপার জেনারেল কুর্তি স্টুডেন্টকে এই কাজের জন্য কমান্ডো যোগানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
স্পেশাল অপারেশন এর ইতিহাসে এই অপারেশন আইক সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্যে অন্যতম। এবং এরপর স্কোরজেনি ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ংকর মানুষ হিসাবে পরিচিতি পায়।
ইতালিয়ানরা মুসোলিনি কে ধরে অন্যত্র নিয়ে যায়। তাকে প্রথমে পঞ্জায় রাখা হয় তারপর লে মাদালেনা যে দুটো তেরহেনিয়ান সাগরের ছোট দ্বীপ ছিল। স্কোর জনি তার সব রকম গুপ্তচর কে কাজে লাগা ছিলেন মুসোলিনি কে খুঁজে বার করার জন্য। তারা জানতে পারলেন মুসোলিনি কে 26 আগস্ট ইটালির অপেনিন পর্বতের উপরে গ্র্যান্ড সাসো স্কি রিসোর্টে রাখা হবে। মুসোলিনি পেট ব্যথার অভিযোগ করেছিলেন এবং তাকে বিলাসবহুল ব্যবস্থার মধ্যে রাখা হয় এবং বন্দীর স্থানে অতিথির মত রাখা হয়। ইতালিয়ানরা হোটেলটা খালি করে দেয় এবং তাকে দুইশত কারাবিনিয়েরি বাহিনীর দ্বারা প্রহরায় রাখা হয়।
স্কোর জেনি ঠিক করেন আশেপাশের হেরা পর্বতের থেকে দুঃসাহসী গ্লাইডার মিশন করবেন কারণ স্থানটি প্যারাট্রুপার মিশনের পক্ষে উপযুক্ত ছিল না। স্থানটির থেকে তোলা ফটোগুলি দেখে তিনি ঠিক করলেন যে গ্লাইডাররা হোটেল এর পিছনের সমতল স্থানে নামবে। জার্মানরা ঠিক করেন এই অভিযানটি 12 সেপ্টেম্বর সাতটার সময় পরিচালন করবেন কিন্তু গ্লাইডার দেরিতে আসেন তাই বেলা একটার সময় মিশনটি পরিচালনা করা হয় 12 জনকে পাঠানো হলেও তাদের মধ্যে দুটো গ্লাইডার ক্রাশ করে যায় ফলে 10 জন নিয়ে অভিযানটি করতে হয় শুধু তাই না এরপর স্কোর যে নিয়ে জানতে পারেন যে হোটেলের পেছনের সেই স্থানটি পুরোপুরি সমতল নয় বরং খাড়া ঢাল আছে যা বোল্ডার দিয়ে ঘেরা। যদিও প্যারাট্রুপার জার্মান কমান্ডার হানস মোর্স সেটি দেখে অপারেশন পরিত্যাগ করার আদেশ দিলেও স্কোর জেনি গ্লাইডার দের আবার নির্দেশ দেন যে হোটেলের সামনের ছোট্ট সমতল খালি জায়গাটিতে নামার জন্য। একটি গ্লাইডার ক্রাশ করার ফলে কমান্ড ওরা নিজেদের মধ্যে আহত হয়। স্কোর জেনির পাইলট দক্ষতার সাথে হোটেলের প্রবেশপথের 30 ফুট দূরে বিমান নামাতে সক্ষম হয়। মোর্স এবং তাদের প্যারাট্রুপার বাহিনী রাস্তা দখল করতে এবং কোন আক্রমণের থেকে আটকানোর জন্য এলাকাটি ঘিরে ফেলে জেনারেল ফার্দিনান্দ সলেটি ইটালিয়ানদের ইতালিয়ান ভাষায় গুলি না করার জন্য আরজি করে এবং এটা কাজে দেয়। গ্লাইডার দের হোটেলের সামনে অবতরণ করার তিন মিনিট পর স্কোর জেনি মুসোলিনির সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, "দ্বিতীয় ডিউস, আমাকে ফুয়েরার আপনাকে ছাড়ানোর জন্য পাঠিয়েছেন।" মুসোলিনি তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন,"আমি জানি আমার বন্ধু অ্যাডাল্ট হিটলার আমাকে বিপদের সময় এইভাবে ফেলে রাখবে না". এতগুলো বিস্ময়কর ঘটনার মধ্যেও একটাও গুলি চলল না.
যেহেতু রুমের দিকে যাওয়ার রাস্তা খুব ভয়ঙ্কর মনে করা হচ্ছিল এবং প্যারাট্রুপার রা তাকে রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভারী অস্ত্র নিয়ে আসেনি তাই প্লেন করা হয়েছিল যে এক প্রকার ছোট্ট টেক অফ নেওয়া বিমান যাকে সটর্চ বলা হয় তাকে হোটেলে নামিয়ে মুসোলিনি কে রোম এ নিয়ে যাওয়া হবে।

সটর্চ যা তৈরি করা হয়েছিল তিনজনকে বহন করার মত কিন্তু স্কোরজেনি আদেশ দিয়েছিলেন মুসোলিনি সহ অন্যান্যদেরও প্লেনে নিয়ে যাবেন এর ফলে প্লেন্টি ওভারলোড হয়ে নিচের দিকে পড়তে থাকলেও পাইলট তাকে পুনরায় উপরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং দক্ষতার সাথে রোম নিয়ে যাওয়ার পর মুসোলিনি এবং স্কোর জেনি এইচ ই ওয়ান 111 বোম্বার এ করে ভিয়েনা এবং তারপরে বার্লিন যায়। দুদিন বাদে মুসোলিনি হিটলারের সাথে তার উলফ লেয়ার হেডকোয়ার্টারে দেখা করেন।
 ভিয়েনায় থাকাকালিন হিটলার ব্যক্তিগতভাবে স্কোর জেনিকে ফোন করেন এবং তার থেকে খবরটি জানেন। এরপর হিটলার তার পদোন্নতি করেন এবং এসএস থেকে মেজর হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং তাঁকে নাইট ক্রস আওয়ার্ড দেন এবং বলেন," তুমি এমন একটি অভিযান সার্থক করেছিলে যা ইতিহাসে লেখা থাকবে"।
যদিও মুসোলিনি খুব বেশিদিন অধরা থাকেননি। এরপর হিটলার ফ্যাসিস্ট বাহিনীর অধিকৃত এলাকায় দায়িত্ব নেন এবং উত্তর ইতালিতে অনেক মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেন যারা তার বিরোধিতা করে। কিন্তু এরপর জানুয়ারি 1945 এ সুইজারল্যান্ডে জার্মান সৈনিকের পোশাকে তার পত্নী ইটালিয়ান রাজনীতিবিদ ক্লারা পেটাসির সাথে প্রবেশ করার সময় তাকে ধরে ফেলা হয় এবং তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় এবং মিলানের সিটি স্কোয়ারে ঝোলানো হয়।
স্কোর যিনি যুদ্ধের পর টিকে থাকেন এবং পরবর্তীকালে ইজিপশিয়ান আর্মির উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। তাকে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদে নিযুক্ত করা হয় প্রাক্তন নাজিদের ইজিপ্টে রকেট সরবরাহ সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য কারণ তারা মনে করতেন এই অস্ত্র দিয়ে ইজরায়েলের উপর হামলা হতে পারে। 1975 সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় এবং এরপর তার পরিবার অস্ট্রিয়ায় চলে যায়।


যদিও ইতিহাসে নাজিদের সবচেয়ে ভয়ংকর সম্রাজ্যবাদ হিসেবে ধরা হয় এবং আমরা যত কিছু খারাপ ভাবি তাদের সম্পর্কে তবুও স্পেশাল অপারেশন কিভাবে দক্ষভাবে পরিচালনা করতে হয় তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ তারা রেখে গেছেন। কমান্ড ওদের কাছে যে পরিকল্পনা ছিল তা অভিযানের শুরুতে পরিবেশ এবং অন্যান্য কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলেও অভিযানের নেতা তার উপস্থিত বুদ্ধি এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাঁড়া মসৃণভাবে অভিযানকে সফল করেন এবং একটি পুরো বাহিনী দিয়ে ঘেরা বন্দিকে একটা গুলিও না চালিয়ে ছাড়িয়ে আনতে পেরেছিলেন। কিভাবে অসম্ভব চাপের উপর দ্রুত এবং স্পষ্ট ভাবে ভাবা, অবস্থা অনুযায়ী বদলে শেখা এবং মানিয়ে নেওয়া এটি স্পেশাল অপারেশন এর প্রার্থীদের কাছে সবসময়ই একটি শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে আছে।

Sunday, 2 February 2020

হারিয়ে যাওয়া কিংবদন্তি মহাদেশ কুমারিককানতাম--


বেশিরভাগ মানুষ কিংবদন্তি হারিয়ে যাওয়া শহর আটলান্টিস এর সম্পর্কে পরিচিত থাকবেন তাই যখন হারিয়ে যাওয়া মহাদেশে কথাটা আপনি দেখতে পেয়েছেন তখন নিশ্চয়ই হারিয়ে যাওয়া আটলান্টিস সাম্রাজ্যের কথাটা মাথায় এসছে। তবে আটলান্টিসই একমাত্র সমুদ্রের তলায় হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা নয়। এরকমই কিছু সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে তবে সেগুলি আটলান্টিসের মত এতটা জনপ্রিয় হয়নি।
পৃথিবী সব সময় এখনকার মতো দেখতে ছিল না। এক বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর উপরিভাগ অনেকটা আলাদা রকম দেখতে ছিল এবং এখনকার দেশগুলি তখন সম্পূর্ণ অন্যরকম স্থানে অবস্থিত ছিল। এই দেশ এবং মহাদেশ গুলি যা আমরা বর্তমানে দেখতে পাই সেগুলো সব একত্রিত অবস্থায় প্যানগিয়া নামক একটি বিশাল মহাদেশ হিসেবে অবস্থান করছিল। এরপর এগুলির অবস্থান পরিবর্তনের কারণ হলো টেকটনিক প্লেট এবং কন্টিনেন্টাল ড্রিফট গুলির গতিবিধি যার ফলে সৃষ্টি হয় পর্বত, উঁচু মালভূমি এবং এমনকি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প এবং সুনামি।

দুই আমেরিকান ভূবিজ্ঞানী ম্যাকেঞ্জি এবং স্কাল্টার পরিষ্কারভাবে বর্ণনা দেন যে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা 200 মিলিয়ন বছর আগে একটি পুরানো মহাদেশের সাথে যুক্ত ছিল। বর্তমানে ভারত আরব, আফ্রিকা, আন্টার্কটিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার এরকম বিচ্ছিন্ন অবস্থানের কারণ হচ্ছে পৃথিবীর এবং টেকটনিক প্লেট গুলির গতিবিধি।
কুমারি কান্ডাম, কুমারিকানতাম বা কুমারী নারু এই মহাদেশটির নাম প্রথম আধুনিক জগতে  উঠে আসে পনেরশো শতকের স্কন্দপুরাণ এর একটি ভার্সনে যা হিন্দু পুরাণের একটি মহাকাব্য।
আমরা সকলেই জানি ভারতে তামিল সভ্যতার উৎস খুবই রহস্যময় বিষয়। বহুকাল ধরে বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। 

ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশানোগ্রাফির মতে 14500 বছর আগে সমুদ্রপৃষ্ঠ 100 মিটার উঁচু ছিল এবং দশ হাজার বছর আগে 60 মিটার ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে মহাদেশটি সমুদ্রের তলায় চলে যায়।
বলা হয় তামিল সভ্যতা সবচেয়ে পুরনো সভ্যতা যেখান থেকে সবকিছু শুরু হয় এবং এই কুমারি কান্ডাম একটি মহাদেশ ছিল যেখানে পান্ডিয়া রাজারা রাজত্ব করত এবং সেখান থেকে তামিল মানুষরা অন্যান্য বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন ভাষা জাতি এবং সভ্যতার সৃষ্টি করে।
কিছু ইউরোপিয়ান স্কলার একে 'লামুরিয়া' নাম দেন এবং ধারণা করা হয় যে এটি মাদাগাস্কার, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ ভারতের সাথে যুক্ত ছিল; আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত।

লামুরিয়া শব্দটি উনিশ শতকে ইউরোপিয়ান ভূতত্ত্ববিদ ফিলিপ লুটলি নিয়ে আসেন, কিভাবে লেমুর নামের প্রাণীটি ভারত থেকে মাদাগাস্কারে আসে তার সম্বন্ধে এক তত্ত্বে।
অধিকাংশের মতে মতে কুমারি কান্ডাম শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'কুমারিকা খান্ডা' থেকে।
স্কন্দপুরাণে একে পৃথিবীর রাজধানী বলে বর্ণনা করা হয়েছিল।
বর্তমানে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত 1.7 মিলিয়ন বছরের পুরনো কৃত্তিম ব্রিজ যেটিকে রামসেতু বা আডাম'স ব্রিজ বলা হয় সেটিকে এই হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার অংশ হিসাবে অনেকে দাবি করেন।
প্রাচীন চাইনিজ পুথিতেও এই স্থানের কথা পাওয়া গেছে।সেখানে বলা হয়েছে চাইনিজ শ্রমিকদের পান্ডিয়া রাজা দ্বারা স্বর্ণ খনিতে খননকার্যের জন্য নিয়োগ করা হতো।
এছাড়া বলা হয় তামিল হচ্ছে বিশ্বের ভাষাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং বিভিন্ন পুরান ভার্সন অনুযায়ী প্রাচীন কুমারি কান্ডাম এর সংস্কৃতি এখনো তামিলনাড়ুতে থেকে গেছে। কিছু তথ্য যা উপরের তত্তও গুলোকে সমর্থন করে তা হল অস্ট্রেলিয়ান প্রাচীন বাসিন্দারা বা আদিবাসীরা খুব সহজেই তামিল ভাষা বা এর  উপভাষা গুলি বলতে পারে এবং পুরাতন অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে ভারতীয়দের জিনগত সাদৃশ্য আছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেরিন আর্কিওলজির আর্কিওলজিক্যাল গবেষণায় তথ্য পাওয়া গেছে যে প্রায় 300 খ্রিস্টপূর্বাব্দ তামিলনাড়ুর বেশকিছু অংশ সুনামিতে ডুবে যায়।
তামিলনাড়ুর কাছের সমুদ্রের তলায় 400 থেকে 500 খ্রিস্টপূর্বাব্দের পুরানো পাত্র ও বিভিন্ন বস্তু পাওয়া যায়। এছাড়াও গবেষণায় দেখা যায় সমুদ্রের তলায় স্থানটি কুমারি কান্ডাম স্থানটির অবস্থানের সাথে যার মিল আছে সেখানে সমুদ্রের গভীরতা 200 থেকে দুই হাজার মিটার। প্রাচীন অস্ট্রেলিয়ান অধিবাসী ছাড়াও আন্দামান আফ্রিকান, লাক্ষাদ্বীপ এবং নিকোবরের প্রাচীন বাসিন্দাদের ভাষা তামিল ভাষার মতোই।
আফ্রিকা মাদাগাস্কার এবং অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রের দিকে বহু গাছ পশু এবং প্রজাতির সাথে ভারতের মিল পাওয়া যায় যার থেকে অতীতে ভারত আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবর্তী সংযোজনকারী কোন ভূখণ্ড থাকার সম্ভাবনা বিদ্যমান। এ নিয়ে এখনো অনেক গবেষণা বাকি, ভারত মহাসাগরের গভীরতা থেকে আরো তথ্য ইতিহাস উঠে আসবে যা হয়তো ভবিষ্যতে পুরো মানব জাতি সম্পর্কে ধারণা ও বদলে দিতে পারে গবেষকরা মনে করেন।