ইউরোপের প্রত্যন্ত দক্ষিণ প্রান্তে একটি ছোট গ্রিক আইসল্যান্ড বর্তমান যার নাম গাভডস।
এটি লিবিয়ান সি এর কাছে অবস্থিত অন্যান্য দ্বীপগুলি থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে এবং এর আকৃতি মাত্র 30 বর্গকিলোমিটার এবং এতে সামান্য কিছু বাসিন্দারা বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে। বলা চলে এখানে বসবাসকারী বাসিন্দাদের থেকে গবাদিপশু বেশি বিচরণ করে এবং এর আশেপাশে সমুদ্রের ডলফিন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীরা বসবাস করে। এটি একটি চলচ্চিত্রের মতো সুন্দর স্থান যা দূর-দূরান্ত থেকে মানুষকে আকর্ষণ করে নিয়ে আসতে পারে। এখানে এক বিশেষ গোষ্ঠীর বসবাস আছে, যারা দাবি করে তারা অমরত্ব প্রাপ্তি করেছে। এদের কার্যকলাপ এর কাহিনী যে কাউকে বাকরুদ্ধ করে দিতে পারে। এই স্থানটি গ্রীসের একটি রহস্যজনক স্থানে পরিণত হয়েছে।
কিভাবে এটি সম্ভব হয়েছে তা জানতে গেলে আমাদের চলে যেতে হবে অতীতে এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা যেটা শুনে প্রথমে মনে হবে এর সাথে কোনভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়।
ইউক্রেনিয়ান সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিক অফ সোভিয়েত ইউনিয়নের বেলারুশের সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত প্রীপ্যাট শহর অবস্থিত। যেখানে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নিউক্লিয়ার প্লান্ট বিপর্যয়ের মধ্যে একটি ঘটেছিল।
চার্ণবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর দুর্ঘটনার ঘটনাটি আশা করি অনেকেই শুনে থাকবেন যা ঘটেছিল 1986 সালের 26 এপ্রিলে। বলা হয় যাতে 31 জনের প্রাণ গিয়েছিল, এছাড়াও পরবর্তীকালে আরো অনেকের মৃত্যুর তথ্য উঠে আসে। এই দুর্ঘটনার প্রভাব পশ্চিম ইউ এস এস আর এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল বহু বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এবং প্রায় 7 মিলিয়ন মানুষের উপর প্রভাব ফেলেছিল যা পরিবেশগত এবং স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আজও এই স্থানে প্রভাব রেখে গিয়েছে। এ ঘটনায় অনেক মানুষ ভুক্তভোগী ছিল এবং অসুস্থ ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল এর মধ্যে একজন ছিল আন্দ্রেই।
আন্দ্রেই পূর্ববর্তী জীবনে একজন নিউক্লিয়ার ফিজিসিস্ট ছিলেন যাকে চার্ণবিলে গবেষণা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত ভাবে রেডিয়েশনের কারণে তিনি ও অন্যান্য ভুক্তভোগী মানুষের মতো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
একটি কালো মেঘের মতো চারিদিকে মৃত্যু ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আন্দ্রেই জানতো যতই মেডিকেল ট্রিটমেন্ট থাকুক না কেন, কোন প্রকার ওষুধ তাকে সাহায্য করতে পারবে না। তার এই সময়ে একটি অদ্ভুত চেতনা হয়েছিল এবং তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই অবস্থাটিকে হারানোর জন্য চিরাচরিত প্রথা ছেড়ে তাকে অন্য রকম পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
প্রথম দিকে তিনি খুব সহজ কিছু পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। তিনি এক প্রত্যন্ত গ্রামে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানে সাধারণ জীবন যাপন এবং জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন, মিষ্টি এবং প্রচুর ভদকা তার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করেন। তিনি দাবি করেন, এগুলি তার দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো দূর করতে সাহায্য করবে এবং তারপর তার চিন্তাভাবনা আরো আধ্যাত্বিক হতে থাকে অর্থাৎ তিনি তার জীবনকে আরও প্রসারিত করার চিন্তা-ভাবনা করতে থাকেন অমরত্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে।
এই সময়ে তিনি তাঁর মতো আরো অন্যান্য লোকদের ডেকে পাঠান, যারা তার মত নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিল এদের মধ্যে বেশিরভাগই তার সহকর্মী এবং রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক ছিলেন। তারা বিভিন্ন ধরনের দর্শনতত্ত্ব, শারীরবিদ্যা বা ফিজিওলজি এবং বিভিন্ন রহস্যশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা, চিন্তাভাবনা করতে থাকেন তারা দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন, যাতে তারা মস্তিষ্ককে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন যার ফলে তারা নিজের ইচ্ছামত তাদের দেহ গঠন বা পরিচালনা করতে পারেন। তারা বিশ্বাস করতেন যে ইচ্ছাশক্তি, ধ্যান এবং গতানুগতিকের বাইরে জীবন এবং মৃত্যুর সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রথা পালন করে আমরা আমাদের শরীরকে এমনভাবে রিপ্রোগ্রাম করতে পারি যাতে আমাদের মৃত্যু ঘটবে না।
এই ঘটনার 10 বছর পর এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা তিরিশের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে এবার তাদের এই ব্যস্ত পৃথিবী থেকে দূরে এমন একটি স্থানে যেতে হবে, যাতে তারা এই জীবনযাপন প্রণালি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং তারা গাভডস নামক এই দ্বীপটি খুঁজে বের করেন।এই সময়ে এই দ্বীপটিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে ছিল কিছু যাযাবর, ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থী, ড্রিফটার, আর্টিস্ট এবং কিছু হিপ্পি।তারা সেখানে একটি বসতি স্থাপন করল এবং নিজেদের খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিজেরাই উৎপাদন করার মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ ব্যবস্থা গঠন করল। তারা ধর্মানুষ্ঠান এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান পালনের সাথে সাথে একটি রহস্যময় ল্যাবরেটরী গবেষণাগারও গঠিত করেছিল, যাতে তারা বিভিন্ন রকম গবেষণা করত এবং তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল অমরত্ব লাভ। তারা মনে করত যে এই ধরনের বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা মনুষ্য বিবর্তনবাদের পরবর্তী ধাপে পৌঁছতে পারবে যার ফলে অনন্ত জীবন সম্ভব হবে এবং এই পৃথিবী কেবলমাত্র তাদের জন্যই হবে। এই গোষ্ঠীর একজন সদস্যের বক্তব্য ছিল, এখানে আর নতুন জেনারেশন বা প্রজন্ম হবে না আমরাই কেবল মাত্র শেষ প্রজন্ম হব। আমরা আর নতুন কোন নশ্বর জীবনের অনুমতি দেব না। নশ্বর মানুষের আর দরকার নেই।
এই গ্রুপটি 'দা গ্রুপ' অথবা 'দা রাশিয়ান' নামে পরিচিত হতে থাকল এবং তারা এই স্থানে আসার সাথে সাথে তাদের ঘিরে থাকা বিভিন্ন রহস্যের ধোঁয়াশাও নিয়ে এলো এবং তাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের কিংবদন্তি গঠিত হতে থাকলো। তাদের নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াতে লাগলো, এর কারণ ছিল তাদের তৈরি বিভিন্ন অদ্ভুত রকমের গঠন ও স্থাপত্য। যেমন- বিশালাকৃতির সবুজ পিরামিড; এছাড়া তাদের গোপনীয়তা এই সকল গুজবের অন্যতম কারণ ছিল। শোনা যায় তাদের কাছে বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতা থেকে প্রাপ্ত অবর্ণনীয় ধরনের ধ্বংসাবশেষের সংগ্রহ ছিল।
তারা প্রাচীন গ্রীকের মন্দিরের মত আকৃতির একটি ভবন তৈরি করেছিল যার বাইরের দেওয়ার গুলি বিভিন্ন রহস্যময় ও গোপন সংকেতে ভর্তি ছিল। এগুলি এই দ্বীপের অন্যান্য বাসিন্দাদের আরো কৌতুহলী ও ভীতির সঞ্চার করেছিল।স্থানীয় বাসিন্দারা বলতে শুরু করেছিল যে, কিভাবে এই রহস্যময় গ্রুপটি দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে অলৌকিক কার্যকলাপ করতো এবং বিভিন্ন প্রকারের জাদুকরী কলা-কৌশলের প্রদর্শন করত; এছাড়া তারা জলের তলায় একটি টানেল তৈরি করেছিল যা লিবিয়া অব্দি পৌছাতো।
সেখানকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা এই গ্রুপের রহস্যময় শক্তি সম্পর্কে একটি বক্তব্য রেখেছিল।
"একদিন প্রতিবেশী গ্রামের এক ব্যক্তি স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের (যার মধ্যে বক্তাও ছিলেন) একটি ভারী গাছের গুড়ি তার ট্রাকে তোলার জন্য সাহায্য চেয়েছিল। আমরা 6 জন মিলে সেই গুঁড়িটি ট্রাকে তুলতে গিয়ে ও ব্যর্থ হয়েছিলাম। ঠিক তখনই দুইজন শীর্ণকায় মানুষ এল এবং তারা কেবলমাত্র বলল, 'আচ্ছা ঠিক আছে এটা করা যাক' এবং সত্যিকারেরই তারা কাজটি করে দিল।"
এদেরকে নিয়ে এত কাহিনী এবং গুজব আছে যে এটা বলা খুবই কঠিন, এদের মধ্যে কোনগুলি সঠিক এবং কোন গুলিতে কল্পনার মিশ্রণ রয়েছে। নরওয়ের চিত্রনির্মাতা ইওরগস মাউসটাকিস আইসল্যান্ডের এই রহস্যময় দলটিকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করেছিলেন। তিনি এই গুজবগুলি সম্পর্কে বলেছিলেন, "এই গ্রুপটিকে নিয়ে অনেক কিংবদন্তি ছড়িয়ে রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে তারা এই আইসল্যান্ডে রেডিয়েশন থেকে নিরাময় পাওয়ার জন্য এসেছিল, কেউ বলে তারা হল গুপ্তচর যারা কেজিবি অথবা সিআইএর হয়ে কাজ করে এবং সেখানে কোন টপসিক্রেট বা অত্যন্ত গোপনীয় প্রোগ্রামের জন্য কাজ করছিল -- এদের মধ্যে বেশির ভাগ কাহিনীগুলোই সেই সকল মানুষরা বলেছিল যারা তাদের সাথে মিলিত হয়েছিল অথবা আইসল্যান্ডের তাদের নির্মাণ গুলো দেখেছিল।
যদিও তাদের লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্য তাদের সঠিক কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে তেমন কিছু জানা যায়নি; বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই গ্রুপের ভাবাদর্শ সম্পর্কে যা ধারণা ছিল, তা হল এরা এক ধরনের রহস্যময় কিন্তু সাধারণ জীবন যাপন করত, যাদুবিদ্যার বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করত, ধর্মশাস্ত্র, গুপ্ত দর্শনশাস্ত্রের বিভিন্ন মতবাদ এবং বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট এবং রিসার্চ করতো। তারা এগুলির মাধ্যমে মনুষ্য দেহকে প্রোগ্রাম করার মাধ্যমে অমরত্ব প্রাপ্তির দিকে পৌঁছে যেতে চেয়েছিল, যা তারা মনে করত আমাদের সকলের ভিতরেই আছে। তাদের মতে মৃত্যু কখনো ভবিতব্য হতে পারে না এবং এটিকে এড়িয়ে যাওয়া অথবা থামিয়ে দেওয়া সম্ভব। এই দলটির সদস্যরা এগুলো নিয়ে খুবই গোপন এবং রহস্যময় ছিল।
'ওয়ার্ল্ডক্রাঞ্চ' এর থেকে তাদের মধ্যে একজন সদস্যের সাক্ষাৎকার নিতে সক্ষম হয়েছিল। সেই সদস্যের মতে - "আমাদের দেহকে পরিবর্তন করার মত অনেক রকম সম্ভাবনা আছে যা আমরা ব্যবহার করি না কারণ আমরা এমন এক ধরনের জীবনশৈলী তৈরি করেছি, যাতে পরিবর্তনের দরকার মনে করি না। এক মৃত্যুর জগত যা ভিতর থেকে আমাদের মৃত মানুষ করার জন্য প্রভাবিত করে যায়। আমার মনে হয় এটাই আমাদের মৃত্যুর প্রধান কারণ; আমরা মনে করি এটি প্রথম পয়েন্ট যাকে আমরা মানসিকভাবে ধ্বংস প্রাপ্তি বলি। আমি গবেষণাগারে কাজ করতাম এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতাম। আমি অনুভব করতাম এটা আমায় পরিচালিত করছে এবং আমায় একপ্রকার মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি স্থির করলাম আমার রাস্তা পরিবর্তন করার এবং চিরাচরিত পথে না গিয়ে একটি আলাদা ধরনের জীবন আমার জন্য বেছে নিলাম।"
তারা আসলে এইসব করার জন্য কি ধরনের পরিকল্পনা করছে তা বহু মানুষ সমাধান করার প্রচেষ্টা করেছে এমনকি বেশকিছু ইন্টেলিজেন্সের এজেন্ট তাদের মধ্যে যোগদান করার এবং তারা কি করতে চাইছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তেমন কোনো সাফল্য পায়নি।এই গোষ্ঠীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসতে পেরেছিল চলচ্চিত্র নির্মাতা মাউস থাকিস এবং তিনি বিশ্বাস করতেন এই কৌশলটি গঠিত হয়েছে বেশিরভাগ প্রাক্তন বৈজ্ঞানিকদের নিয়ে যারা কোন হাতুড়ে ডাক্তার, ঠক জোচ্চোর বা ধর্মীয় মূর্খ ভক্ত না, তারা জানে তারা ঠিক কি করছে। তিনি এ বিষয়ে বলেছিলেন, এটি একটি বিশাল অধ্যায়ন।
"আপনারা যে প্রমাণ চাইছেন তা এই গবেষণার মধ্যে লুকিয়ে আছে। ঠিক যেমন আইনস্টাইনের 'রিলেটিভিটি থিওরি' গণিতের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। রিলেটিভিটি থিওরির ক্ষেত্রে পরবর্তীকালে এটি সার্ন এক্সিলারেটর গবেষণাগারে এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছিল। তাই এক্ষেত্রেও থিওরিটি পরীক্ষিত হওয়ার আগে এটিকে নিয়ে থিওরিটিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা দরকার; তাই অন্যভাবে বলতে গেলে এই বৈজ্ঞানিকদের কাছে অবশ্যই একটি কার্যকরী থিওরিটিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক আছে।"
প্রশ্ন হল এই রহস্যময় গ্রুপটি সেখানে ঠিক কী উদ্দেশ্য নিয়ে আছে? অমরত্ব প্রাপ্তির পর তাদের লক্ষ্যই বা কি হবে? তারা যদি কোন গোপনীয় কিছু খুঁজে পায় তাহলে তা কি ? এই ধরনের রহস্যময় গোষ্ঠীগুলো সব সময় বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে এবং কিংবদন্তীর মাধ্যমে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে; প্রায়শই তাদেরকে নিয়ে 'লার্জার দ্যান লাইফ' বিভিন্ন কিংবদন্তি, বৈজ্ঞানিক কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে। তারা যেই হোক না কেন এবং তারা যার উদ্দেশ্যেই কাজ করুক না কেন মনে হচ্ছে তারা তাদের গোপনীয়তা এই গভীর নীল সমুদ্রে ঘেরা ছোট দ্বীপ টির মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পেরেছে - যা নির্ভর করে পরবর্তীকালে তারা কতটা সাফল্য পাবে বা সাফল্য পেয়েছে তার উপর....