Thursday, 12 April 2018

রহস্যময় ও ভূতুড়ে ছবি, যেগুলো আজও অমীমাংসিত!

আজকাল ফটোসপ দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়, ভালো কাজ জানা একজন এডীটর এর কাজ দেখলে বোঝাই যায় না বাস্তব না ভুয়া।যাহোক নিচের ছবি গুলো নেট আর বিশ্বাস যোগ্য সোর্স থেকে নেয়া।

কুপার ফ্যামিলি ফটো--

কুপার'স ফ্যামিলি
পৃথিবীর সবচেয়ে ভুতুড়ে ছবিগুলির তালিকা করা হলে প্রথমদিকে যে ছবিটির নাম আসে তা হল, “কুপারস ফ্যামিলি ফটো”। ছবিটা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ছবিটা কবে তোলা হয়েছে তার সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। অধিকাংশ ধারণামতে ছবিটা  ১৯৫০ সালের দিকে তোলা।
১৯৫০ সালের দিকের কোন এক দিনে কুপার পরিবার তাদের বাড়ি বদল করে টেক্সাসে চলে আসে। টেক্সাসে তারা নতুন একটা বাড়ি কেনে। কুপার পরিবারের সদস্যরা সবাই সেই বাড়িতে উঠে আসেন। পরিবারের সদস্য ছিল ছয় জন। মিস্টার কুপার, তার স্ত্রী, তাদের দুই ছেলেমেয়ে এবং মিস্টার কুপারের মা।
তারা যেদিন টেক্সাসে নতুন বাড়িতে চলে আসে তার পরদিনই ছবিটা তোলা হয়। ছবিটা তুলেছিলেন মিস্টার কুপার নিজেই। ছবিতে দেখা যায় মিস্টার কুপারের স্ত্রী এবং তার মা দুজন দুটি চেয়ারে বসে আছেন। তাদের কোলে দুটি ছেলে মেয়ে। ছবিটি তোলা হয়েছিল তাদের ডাইনিং রুমে। ছবি তোলার সময় অস্বাভাবিক কোন কিছু চোখে পড়েনি।
কিন্ত ছবি প্রিন্ট করার পর একটা ভয়ংকর ব্যাপার দেখা গেল। ছবির পেছনে একজন লোক সিলিং থেকে উল্টোভাবে ঝুলে আছেন। দেখে মনে হচ্ছিল একটা মৃতদেহকে যেন সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। কিভাবে আসলো এই মৃতদেহ? যখন ছবি তোলা হয় তখন এরকম কিছু তো দেখা যায়নি। তাহলে?
এখানেই রহস্য। এখানেই প্রশ্ন চলে আসে ছবিটা কি আসল? প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞরা বলেন ছবিটা আসল। ঝুলন্ত দেহটা নিয়ে তারা অনেক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বেশিরভাগের মতে, ঝুলন্ত দেহটা আসলে একটা আত্মা। আত্মাটা সম্ভবত কোন একজন মানুষ যিনি ওই বাড়িতেই মারা গিয়েছিলেন।
আবার কেউ বলেন, আত্মাটার নাকি ছবি তোলার শখ হয়েছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাখ্যাটা সম্ভবত এটাই, আত্মাটা টাকার অভাবে ক্যামেরা কিনতে না পেরে ছবির ফ্রেমে ঢুকে গেছে। যদিও কেউ স্বপক্ষে জোরালো কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। কারণ আজ পর্যন্ত ওই বাড়িতে কেউ মারা গিয়েছিলেন কিনা তা জানা দূরে থাক, কোন বাড়িতে কুপার পরিবার এই ছবিটি তুলেছেন বা তারা থাকতেন সেটাই আজ পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
এমনকি এই কুপার পরিবার সম্পর্কেও কোন তথ্য নেই। আরো রহস্যজনক ব্যাপার হল, এই ছবির মূল প্রিন্টেড কপি কখনোই পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞানমনস্করা বরাবরই এই ছবিটিকে মিথ্যা বলে আসছে। তাদের ব্যখ্যা, ছবিটা সম্ভবত ফটোশপ বা এই জাতীয় কোন সফটওয়ারে এডিট করা। কারণ ছবিটা মূলত আলোচনায় আসে ২০১২ সালের দিকে। কিন্ত, গুগল বলছে ছবিটা আরো অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে ছিল।
ছবিটার আরো একটা ব্যাখ্যা হল, এটা ডেভোলপ করার সময় কেমিক্যাল পড়ে, পিছনে মানবদেহ আকৃতিটা তৈরী হয়েছে। তবে কেমিক্যাল পড়ে এত নিখুতভাবে মানব আকৃতি তৈরী হওয়াটা একটু অস্বাভাবিক।
তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বলা যায়, এটি আসলে দুটো ছবি। একটা ছবি উলটো করে আরেকটা ছবির উপর ট্রেস করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই যুক্তির স্বপক্ষেও তেমন কোন প্রমাণ হাজির করা যায়নি। আর তাই ছবিটা, সবচেয়ে রহস্যময় প্যারানরমাল ছবি হিসেবে আছে এক নাম্বারে।

জিওফোন রক অ্যানোমালি



চাঁদের জিওফোন পাথরের কাছে AS17-135-20680 নম্বর ছবিটি তোলে অ্যাপোলো ১৭। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটিকে শুন্য বলে ঘোষণা করা হয় (অর্থাৎ এতে কোনো অবয়ব ধরা পড়েনি), কিন্তু এর স্যাচুরেশন এবং কনট্রাস্ট পরিবর্তন করলে দেখা যায় পিরামিডের মতো একটি আকৃতি। কেউ কেউ মনে করে থাকেন, চাঁদে এমন কিছু আছে যা সাধারণ মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এমব এই ছবিটি তার একটি প্রমাণ। ছবিটি আজো নাসার কাছে ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে আছে।

সলওয়ে ফার্থ স্পেস ম্যান




অচেনা মহাকাশচারীঃ ১৩ মে ১৯৬৪ সালে জিম টেমপ্লেটন নামে একজন দমকল কর্মী তার ৫ বছরের মেয়ের ৩ টি ছবি তোলেন। এগুলোর একটি তে রহস্যময় ভাবে দেখা যায় একজন কে যার পরনে মহাকাশচারী দের মত পোষাক। জিম জানান ঐদিন ওখানে এমন কারো থাকা টা অসম্ভব। আর ছবি টি যে এডিট করা হয়নি তার সাক্ষ্য দেয় বিখ্যাত কম্পানী “কোডাক”।

টেরডাকটিল

সবচেয়ে রহস্যময় ও ভুতুড়ে ৫টি ছবি যার ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে


১৮৬০ এর দশকে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় তোলা এই ছবিটি নিয়ে এখনও বিতর্ক, কনফেডারেট ও ইউনিয়ন এর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধবিরতির ফাকে শিকারে গিয়ে এই প্রাগৈতিহাসিক
প্রাণীকে গুলি করে হত্যা করেছিল ইউনিয়নের একদল সেনা, বিজ্ঞানীদের মতে লাখ লাখ বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছিল পাখিসদ্রিশ উড়ন্ত এই প্রাণী, অনেকে মনে করেন কোনোভাবে টিকে থাকা এই প্রানিকুলের শেষ সদস্যটিকেও হত্যা করেছিল তাঁরা।

এসএস ওয়াটার টাউন ঘোস্ট :


Image result for s.s watertown

জেমস কার্টনি আর মিচেল মিহান \"এস এস ওয়াটার টাউন \"নামে এক জাহাজে ক্রু ছিল ।তারা গ্যাস চ্যাম্বারে কাজ করবার সময় দম বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন ।যাই হোক তার কয়েকদিন পর এস এস ওয়াটার টাউন যখন সমুদ্র যাত্রা করলো তখন মক্সিকো উপসাগরের কাছে জাহাজের নাবিকেরা লক্ষ্য করলেন জাহাজের ঢেউ এর মধ্যে জেমস কার্টনি আর মিচেল মিহান এর মুখায়াবব দেখা যাছে ।ঢেউ ভাঙছে ,তাদের মুখ বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।আবার ঢেউ গড়ছে ,তাদের মুখ দেখা যাছে ।সেই সময় একটি ফটো তুলে রাখা হয় ।এবং এই ফটো টি কোনো ভাবে মিথ্যা প্রমান করা যায় নি ।কে জানে ,মৃত নাবিকেরা হয়ত সমুদ্র কে ভালো বেসে ফেলেছিল । ঘটনা টা ১৯২৪ সালের ।

হুক দ্বীপের সমুদ্র দানব--




এখনকার দিনে এমন একটা ছবি ফটোসপ দিয়ে আমিও বানাতে পারলেও ছবিটি তোলা হয় ১৯৬৫ সালে। ছবি তে দেখা যায় সমুদ্রে অচেনা একটি মাছ জাতীয় প্রানী কে যার আকার কোন পরিচিতি মাছ বা তিমির সাথে মেলে না।রবার্ট লে সাররেছ এবং তার স্ত্রী বঙ্গোপসাগর উপকূলে কুইন্সল্যান্ড স্টোনহ্যাভেন,  হুক আইল্যান্ড এ গিয়েছিল ।যখণ তার স্ত্রী পানির তলায় ভীতিকর আকৃতির কিছু দেখতে পেল, তখন তারা বেশ কিছু ছবি নেন এটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করার সময়। তারা এটির  বিবরণ দেয় যে এটি আনুমানিক 75-80 ফুট লম্বা সঙ্গে এটি দেখতে দৈত্য বেঙাচি মত। তাদের বর্ণনা করা জীব টি নড়াচড়া করে নি তাই ঐ দম্পতি ভেবেছিল যে এটা মৃত হতে পারে, তাই তারা আরও ফুটেজ নিতে চাইলো. কিন্তু যখন জীবটি নড়াচড়া করা শুরু করে এবং জীবটি এটির মুখ খোলে, তারা তাদের নৌকা সময় মত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তারপর জীবটি সাঁতরে চলে যায়।

ভুতুড়ে বৈমানিক




এই  ছবি নেয়া হয়েছিল. প্রথম বশ্বিযুদ্ধের সময় বিমান দুর্ঘটনায় ফ্রেডি জ্যাকসনের  মৃত্যুর পর ।এটা তোলা হয়েছিল তিনি মারা যাওয়ার ২ দিন পর। এটা কি সম্ভব হতে পারে যে যেহেতু তার মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা ছিল, তাই তার আত্মা গ্রুপ ছবিতে হতে চেয়েছিল।

টাইম ট্রাভেলার উইথ সেল ফোন:



 ১৯২৮ সালে চার্লি চ্যাপলিনের ‘দ্য সার্কাস’ নামের একটি স্বল্প দৈঘ্যের চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে দর্শকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় ছবিটি দেখার জন্য ও মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দির উদ্দেশ্যে ছবি তোলার জন্য। কিন্তু ঐ দিনকার একটি ছবিতে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন একলোক সেলফোনে কথা বলছেন। এ কিভাবে সম্ভব কারণ সেলফোন আবিষ্কৃত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে।
আজও সে রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি।


ভবিষ্যতের মানুষ--

Related image

উপরের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন, এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৪১ সালে, ক্যানাডার South Forks Bridge এর পুনঃরায় চালু করার অনুষ্ঠানে। ছবিটির ডান পাশে লাল গোল চিহ্ন দেওয়া লোকটিকে দেখুন খেয়াল করে, ১৯৪১ সালে কারো পোষাক এরকম হত না আর তার হাতে যে ক্যামেরা রয়েছে সেটি তৎকালীন ক্যামেরার তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক। এবার ছবিটির বাম দিকে লাল গোল চিহ্নের দিকে দেখুন এটা ১৯৪১ সালের সর্বাধুনিক ক্যামেরা। তাহলে এই ব্যাক্তিটি কে? মানুষকি তাহলে Time Machine বানিয়ে ফেলেছে? এর কোন উত্তর আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


দ্য বাবুশকা লেডি--

Image result for the babushka lady


ছবিটি ১৯৬৩ সালের। এদিন এখানে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডী খুন হন। প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করার সময়কালের বিভিন্ন আলোকচিত্রে ধরা পড়ে বর্ষীয়ান এই নারীর অবয়ব। কিন্তু তাকে খুঁজতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এফবিআই। এসব ছবিতে দেখা যায় তিনি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছেন। প্রেসিডেন্ট এর উপস্থিতি মানেই কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। তা এরিয়ে খুব গুরুত্তপুর্ন মানুষ দের সাথে ঐ মহিলা সেদিন ওখানে কিভাবে ছিলেন তা আজো অজানা। এমন কি এফ বি আই বা পুলিস এখনো জানে না উনি কে ছিলেন , আর কিভাবে ছিলেন, কিভাবেই বা হারিয়ে গেলেন।
তার কাছ থেকে কেনেডির হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আরও তথ্য পাওয়া যাবে আশা করেই তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। ৭০ এর দশকে বেভারলি অলিভার নামের এক নারী নিজেকে “বাবুশকা লেডি” বলে দাবি করলেও তিনি তা প্রমাণ করতে পারেননি।


No comments:

Post a Comment