অনেকেই ভাবতে পারেন এই রুটি বানানো একটা ব্যাপার হলো ? কিন্তু যারা কখনোই রান্না পারে না কিংবা মা এর কাছ থেকে শেখা হয়নি তাদের জন্য বিশাল এক ব্যাপার। বিশেষ করে রুটি গোল করতে। কিন্তু বানাতে বানাতে একটা সময় গোল হয়। কিন্তু তারপরেও একটা সমস্যা রয়ে যায়। রুটি অনেক শক্ত হয়ে যায়। এমন শক্ত যে তরকারির ঝোলে ডুবিয়েও নরম করা যায় না। আজ আপনাদের জন্য থাকছে সিদ্ধ আটার রুটি কিংবা চালের রুটি কিভাবে নরম বা মোলায়েম করা যায়। যাতে রুটি ভাজার অনেক্ষন পর পর্যন্ত নরম থাকে। তাহলে দেখে নিন টিপসটি।
সিদ্ধ রুটি নরম বানানোর জন্য যখন আমরা জল বলক তুলি / জল ফুটিয়ে নিন, ওই সময় জলে এক চা চামচ তেল দিয়ে দিলে রুটি অনেক নরম হয় এবং ভাজার সময় রুটি ফুলে উঠে, খুব বেশি দেয়া যাবে না তাহলে বেশি নরম হয়ে যায়। এভাবে বানিয়ে দেখতে পারেন। লাল আটা কিংবা প্লেইন আটা দিয়ে ঠিক একই রকম করে বানাতে পারবেন। আমি চালের রুটি বানানোর সময় ঠিক একই ভাবে বানাই। অনেক নরম হয়।
উপকরন - ময়দা/ আটা – পরিমান মত, পানি – পরিমান মত, লবন – পরিমান মত, তেল – পরিমান মত
প্রনালী -
জল ফুটিয়ে তাতে লবন ও তেল দিয়ে দিন। এবার ময়দা দিয়ে সেদ্ধ করে ময়ান করে রুটি বেলে নিন। তারপর রুটিগুলিকে গরম তাওয়াতে এপাশ ঐপাস ছেকে নিন। এবার সবগুলি রুটিকে অল্প সময়ে পাতলা কাপড়ের উপর ছড়িয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা করে বড় বাটিতে রেখে ভাল করে বাটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন ও নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। এবার যখন রুটি ভাজবেন তখন ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
জল ফুটিয়ে তাতে লবন ও তেল দিয়ে দিন। এবার ময়দা দিয়ে সেদ্ধ করে ময়ান করে রুটি বেলে নিন। তারপর রুটিগুলিকে গরম তাওয়াতে এপাশ ঐপাস ছেকে নিন। এবার সবগুলি রুটিকে অল্প সময়ে পাতলা কাপড়ের উপর ছড়িয়ে ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা করে বড় বাটিতে রেখে ভাল করে বাটির ঢাকনা লাগিয়ে দিন ও নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন। এবার যখন রুটি ভাজবেন তখন ফ্রিজ থেকে বের করে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
যদি ২ কেজি ময়দার রুটি বানানো হয় তাহলে তাতে পৌনে এক কাপের মত তেল দিলে হবে। এছাড়াও প্রতিদিন রুটি বানানোর সময় একটু তেল দিলে ময়ানটা ভাল হয়। মনে রাখবেন ময়ান ভাল হলে রুটি বানাতেও সুবিধা আর রুটিও সুন্দর নরম হয়।
রুটি নরম ফুলকো বানানোর উপায়গুলি-
-আটা ফিল্টার করে বা আটা চেলে ব্যবহার করা উচিত, এজন্য আটা মাখার আগে চালুনিতে চেলে নিন l
-জলে অল্প দুধ দিয়ে কুসুম কুসুম গরম করে সেটা দিয়ে আটা মাখুন l
-ছানার জল আটা মাখার সময় ব্যাবহার করতে পারেন l
-কুসুম কুসুম গরম / মৃদু গরম / ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটি চিনি, অল্প তেল দিয়ে আটা মাখুন l
-ছানার জল আটা মাখার সময় ব্যাবহার করতে পারেন l
-কুসুম কুসুম গরম / মৃদু গরম / ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটি চিনি, অল্প তেল দিয়ে আটা মাখুন l
-আটা মাখার সময় বাটার মিল্ক ব্যাবহার করতে পারেন l
{ একটি পাত্রে টকদই ও জল নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন । একে বাটার মিল্ক বলে }
- আটা একটু মেখে রেখে দিন সম্পূর্ণভাবে মাখবেন না l ১০ মিনিট পর সেটা ভাল ভাবে মেখে নিন l মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে l
- আটা মেখে ৪- ৫ ঘণ্টা ভিজে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঢেকে রেখে দিন গরম কোনো স্থানে। সারারাত রাখতে পারলে ভাল হয় l
-আটা মেখে আটার ডো টা কে একটা পাত্রে রেখে জলে ভিজিয়ে রাখুন l যেন ডো টা জলে ডুবে যায় l এক ঘণ্টা পর, জলটা ফেলে আটা ভাল ভাবে মেখে নিন l মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে l
-আটার মিশ্রণটি সমান অংশে ভাগ করে নিন। এরপর একটি অংশ নিয়ে হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে গোল করে নিন(একটু সময় ধরে গোল করতে হবে) l
-এই গোল বলটি এবার হাতের আলতো চাপে একটু চ্যাপ্টা করে টিক্কির /লেচির আকার দিয়ে দিন।
- লেচির ভেতর অল্প তেল বা আটা দিয়ে মুখটা ভালো করে মুড়ে আবার হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে লেচিটা গোল করে নিন l রুটি ভালো ফুলে উঠবে l
-গনগনে আঁচে / আগুনে রুটি সেকে নিলে রুটি ভালো ভালো ফুলে উঠবে আবার নরম ও হবে।
-রুটি তুলে সঙ্গে সঙ্গে হটপটে রাখার আগে ঘি বা মাখন বা মার্জারিন ব্রাশ করতে পারেন। রুটি নরম থাকবে l
-রুটি তৈরির পর রুটি কুসুম কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে থালায় মেলে দিন l শুকিয়ে গেলে তুলে হটপটে দিন l রুটি নরম থাকবে l আবার সেই রুটি খাওয়ার পর অম্বল হবে না l
-- হটপটে বা নিজের পছন্দ মতন পাত্রে যাতে আপনি রুটি তুলে রাখবেন সেটাতে আপনি কাপড়/রুমাল/ টিস্যু পেপার /খবরের কাগজ / অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে দিন l
{ একটি পাত্রে টকদই ও জল নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন । একে বাটার মিল্ক বলে }
- আটা একটু মেখে রেখে দিন সম্পূর্ণভাবে মাখবেন না l ১০ মিনিট পর সেটা ভাল ভাবে মেখে নিন l মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে l
- আটা মেখে ৪- ৫ ঘণ্টা ভিজে কাপড় দিয়ে ঢেকে ঢেকে রেখে দিন গরম কোনো স্থানে। সারারাত রাখতে পারলে ভাল হয় l
-আটা মেখে আটার ডো টা কে একটা পাত্রে রেখে জলে ভিজিয়ে রাখুন l যেন ডো টা জলে ডুবে যায় l এক ঘণ্টা পর, জলটা ফেলে আটা ভাল ভাবে মেখে নিন l মাখাটা খুব নরম হবে। রুটি ও নরম হবে l
-আটার মিশ্রণটি সমান অংশে ভাগ করে নিন। এরপর একটি অংশ নিয়ে হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে গোল করে নিন(একটু সময় ধরে গোল করতে হবে) l
-এই গোল বলটি এবার হাতের আলতো চাপে একটু চ্যাপ্টা করে টিক্কির /লেচির আকার দিয়ে দিন।
- লেচির ভেতর অল্প তেল বা আটা দিয়ে মুখটা ভালো করে মুড়ে আবার হাতের তালুতে নিয়ে ভালো করে লেচিটা গোল করে নিন l রুটি ভালো ফুলে উঠবে l
-গনগনে আঁচে / আগুনে রুটি সেকে নিলে রুটি ভালো ভালো ফুলে উঠবে আবার নরম ও হবে।
-রুটি তুলে সঙ্গে সঙ্গে হটপটে রাখার আগে ঘি বা মাখন বা মার্জারিন ব্রাশ করতে পারেন। রুটি নরম থাকবে l
-রুটি তৈরির পর রুটি কুসুম কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে থালায় মেলে দিন l শুকিয়ে গেলে তুলে হটপটে দিন l রুটি নরম থাকবে l আবার সেই রুটি খাওয়ার পর অম্বল হবে না l
-- হটপটে বা নিজের পছন্দ মতন পাত্রে যাতে আপনি রুটি তুলে রাখবেন সেটাতে আপনি কাপড়/রুমাল/ টিস্যু পেপার /খবরের কাগজ / অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে দিন l
রুটি তুলে সেই কাপড়/রুমাল/ টিস্যু পেপার / খবরের কাগজ / অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রেখে ভালো করে মুড়ে দেবেন রুটি নরম থাকবে l আর গরম রুটির ভাপে রুটি ভিজবে না l
-তেল ছাড়া শুকনো একটি প্যান/তাওয়া গরম করে এতে, শুকনো আটা দিয়ে একটু ভেজে নিন l সেই ভাজা আটা ছিটিয়ে রুটি বেলতে হবে l রুটি ভালো ফুলে উঠবে l
-আটা তাড়াহুড়ো করে মাখবেন না l মাখাটা একটু সময় নিয়ে মাখুন l সময় নিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে ও রুটি ভালো ফুলে উঠবে l
-আটা মাখার সময় একটু আলু সেদ্ধ দিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে l
-বেশী জল দিয়ে চটকে, থেসে থেসে আটা মাখুন l আটা ঠিক জল শুসে নেবে l যতো বেশী জল শুসবে, ততো আটা মাখা নরম হবে l রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে l
-রুটি বেলার সময় বেশী আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন না l যতোটা পারা যায় কম আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন l রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে l
-একসঙ্গে একটা রুটি তাওয়ায় বা ফ্রাইপ্যানে দিয়ে একটু ফোলা ফোলা হলে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুনে সেকে নিলে ভালো হয়। দুটো বা তিনটে রুটি একসঙ্গে তাওয়ায় দেবেন না l
-আটা তাড়াহুড়ো করে মাখবেন না l মাখাটা একটু সময় নিয়ে মাখুন l সময় নিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে ও রুটি ভালো ফুলে উঠবে l
-আটা মাখার সময় একটু আলু সেদ্ধ দিয়ে আটা মাখলে রুটি নরম হবে l
-বেশী জল দিয়ে চটকে, থেসে থেসে আটা মাখুন l আটা ঠিক জল শুসে নেবে l যতো বেশী জল শুসবে, ততো আটা মাখা নরম হবে l রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে l
-রুটি বেলার সময় বেশী আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন না l যতোটা পারা যায় কম আটা ছিটিয়ে রুটি বেলবেন l রুটি ও নরম আর ফুলকো হবে l
-একসঙ্গে একটা রুটি তাওয়ায় বা ফ্রাইপ্যানে দিয়ে একটু ফোলা ফোলা হলে উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুনে সেকে নিলে ভালো হয়। দুটো বা তিনটে রুটি একসঙ্গে তাওয়ায় দেবেন না l
—————————————————————-
রুটি তৈরির আটা নরম করে মাখবেন l
** আবার লুচি, পরোটার জন্য ময়দা/আটা স্বাদ মতো নুন, গরম তেল দিয়ে ভাল করে ময়ান দিয়ে টানটান করে মাখতে হবে l
ডো -
সব উপকরণ মিলিয়ে যে ময়দা/আটা মাখা হয় সেই ময়দা /আটার মাখা তাল, খামির কে, যেটা থেকে লেচি কেটে, বেলে রুটি/লুচি তৈরি করা হয়। ইংরেজিতে তাকে ডো (Dough) বলা হয় l
ময়ান -
ময়দা, আটা, স্বাদ মতো নুন, গরম তেল দিয়ে ভাল করে জল ছাড়া যখন শুকনো শুকনো মাখা হয় তাকে ময়ান দেওয়া বলা হয় l
বাটার মিল্ক -
একটি পাত্রে টকদই ও জল নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন । একে বাটার মিল্ক বলে l
ছানার জল কি -
দুধ ফেটে ছানা হয়ে গেলে যে জল পরে থাকবে সেটা ছানার জল l একটি পাতলা সুতির কাপড়ে /ছাঁকনিতে জলটা ঢেলে ছেঁকে নিন।
No comments:
Post a Comment