Sunday, 15 September 2019

বিশ্বের রহস্যময় ও ধনীতম পরিবার রোথসচাইল্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য ---

রথসচাইল্ড পরিবার বিশ্বের অন্যতম ও সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ যখন থেকে 'মায়ের আমশেল রোথচাইল্ড' 1760 এর দশকে তার জন্মস্থান জার্মানিতে তাদের প্রথম ব্যাংকিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন।  সেই থেকে তারা একটি বিশাল বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে এবং কেবল বিশ্বের বেশিরভাগ ব্যাংককেই নিয়ন্ত্রণ করে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বড় সংবাদ সংস্থা, সংবাদপত্র এবং টিভি নেটওয়ার্ককে নিয়ন্ত্রণ করে।


এর আগে নিশ্চই  রথসচাইল্ড নাম শুনেছেন  এবং সম্ভবত  এমন গুজব শুনেছেন যাতে তাদের হাত রয়েছে, তবে আসুন আমরা পরিবার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানি।

--তাদের প্রকৃত সম্পত্তি কত তা কেউ বলতে পারবেনা

এই পরিবারকে ফোর্বস এর তালিকায় দেখা যায় না এবং তাদের সম্পদ বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে থাকে যারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে , তবে তাদের সম্মিলিত সম্পদ আসলে কী তা কেউ জানে না। অনুমান করা হয় এটি  350 বিলিয়ন থেকে 500 ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে!


--- রোথসচাইল্ডরা সবার প্রথমে নেপোলিয়নের পরাজয়ের কথা জানতে পারে ---

নেপোলিয়নের যুদ্ধের সময় তারা যথেষ্ট ধনী ছিল। 1813 সালে নাথন মায়ার রথসচাইল্ড যুদ্ধে নামেন এবং ব্রিটিশ পক্ষকে যুদ্ধ শেষ করতে  অর্থ সাহায্য করেছিলেন। তিনি যে পরিমাণ পরিমাণ পরিমাণ সরবরাহ করেছিলেন তা আজ $ ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য হবে। ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া সেনাবাহিনীর কাছে ওয়েলিংটনের ডিউক মারফত মূল্যবান ধাতব চালান করা হয়েছিল।

 রথসচাইল্ডসের খবর সংগ্রহের এমন দক্ষ ব্যবস্থা ছিল যে তারা সরকারের থেকেও একদিন আগে জানতে পারে যে নেপোলিয়ন ওয়াটারলুতে হেরে গেছে। নাথন রথচাইল্ড এটিকে গোপন রেখে অবিলম্বে সরকারী বন্ডের বাজারটি কিনে ফেলেছিল। তারপরে তিনি দু'বছর পরে ৪০% মুনাফায় বন্ডগুলি বিক্রয় করেছিলেন।



---- জিব্ৰায় টানা গাড়ি ---

খুব বড় ধনী ব্যাংকার ও প্রাণিবিদ লর্ড ওয়াল্টার রথসচাইল্ড জেব্রা দিয়ে সওয়ারী করা যেতে পারে তা প্রমাণ করার জন্য নিয়মিত ছয় জেব্রা টানা একটি গাড়ি চালাতেন।


--- ডেরেক ডি রোথসচাইল্ড এক প্লাস্টিকের বোট তৈরী করেন --


ডেরেক ডি রোথসচাইল্ড প্রায় ১২,৫০০ টি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ৬ যাত্রী ধারক ক্যাটামারান তৈরী করেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরে তার অভিযাত্রীদের নিয়ে  প্রায় ৮০০০ মাইল পারি দেন।


--- রোথসচাইল্ড  এবং জে পি মরগ্যান ইউ এস সরকারকে বেইল আউট করতে সাহায্য  করেছিল --


1895 সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ মন্দার মধ্যে ভুগছিল এবং সোনার পরিমান এত কম ছিল যে তারা ভয় পেয়েছিল যে তারা পর্যাপ্ত ঋণ মেটাতে পারবে না । প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লেভল্যান্ড, একজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন, তিনি এটি জানতেন কিন্তু তবুও ঋণ খেলাপি হওয়া এড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি নাথানিয়েল মায়ার রথসচাইল্ডকে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন, যিনি জে.পি. মরগানের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।

তাদের মধ্যে, তারা সরকারকে তাদের ঋণ পরিশোধের জন্য, ঋণ খেলাপি এড়াতে এবং মার্কিন ট্রেজারি বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ ধার দিয়েছিলো। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঋণ পরে সুদের সাথে ফেরত দেওয়া হয়েছিল।

---তারা সব রকমের সোনার মূল্য নির্ধারণ করে --

রোথসচাইল্ডদের মোট অনুযায়ী প্রতি কর্মদিবসে দুইবার করে লন্ডন গোল্ড মার্কেট ফিক্সিং লিমিটেড এর পাঁচ সদস্য সোনার মূল্য নির্ধারণ করেন।

--- রিও টিনটো রোথসচাইল্ড এবং দি কুইন দ্বারা মালিকানাপ্রাপ্ত ---

মাইনিং জায়ান্ট বিখ্যাত রিও টিনটো কোম্পানি রোথসচাইল্ড পরিবারের দ্বারা প্রথিষ্ঠিত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

---তাদের ফ্রান্সএ যে ম্যানসন আছে সেটি 'কিংস ক্যাসেল' এর থেকেও ভালো --

জার্মান সম্রাট উইলিয়াম ফ্রান্স এ রোথসচাইল্ডদের ম্যানসন এর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে, 'কোনো রাজার সামর্থ্যে এটি কুলাবে না , এটা কেবলমাত্র রোথসচাইল্ডদের পক্ষেই সম্ভব।'


---ব্রাজিল এর স্বাধীনতায় তারা সাহায্য করেছিল --

১৯শতকের প্রথমদিকে ব্রাজিলএর সম্রাজ্য পর্তুগালের আধিপত্য থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টা করছিলো।
এর অর্থ ছিল যুদ্ধ , তাই দুপক্ষের একটি যুদ্ধের পর পর্তুগাল কিছুটা নমনীয় হয়। . তারা ব্রাজিলকে স্বাধীন করতে পারে যদি তার বদলে ব্রাজিল তাদের সাম্মানিক প্রদান করে  যা ছিল ২ মিলিয়ন স্টার্লিং মুদ্রা। এখানে নাথান মেয়ের রহস্চিল্ড আসেন। তিনি এই অর্থ প্রদান করেন এবং এর বদলে ব্রাজিলকে পরবর্তীকালে রোথসচাইল্ড কোম্পানির পর্তুগাল সরকারের কাছে থাকা ঋণগুলি প্রদান করতে হয় যা সুদসমেত বেশ লাভজনক ছিল। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে রোথসচাইল্ডের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কতটা প্রতিপত্তি আছে ।

--- পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি থাকা --

অনেক রাজপরিবার ও জাতির মতো রোথসচাইল্ডেও পারিবারিক বিয়ের প্রথা ছিল। যেখানে কাজিন বা আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে করা হয় যাতে সম্পত্তি পরিবারের মধ্যেই থাকে এবং কাউকে সম্পত্তির দাবিদার হতে হলে  তাদের কাজিন কেই বিয়ে করতে হবে। সম্পত্তি যাতে বাইরের কারোর হাতে না যায় তার জন্য এই প্রথা।

--- সাইমন স্কিমা এর তথ্য অনুযায়ী রোথসচাইল্ড ইসরাইল এর ৮০ শতাংশ অংশের মালিক।

--- কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলেন রোথসচাইল্ডের ইলুমিনাতির সাথে সম্পর্ক আছে।

No comments:

Post a Comment

Write to us...