পায়ে দুর্গন্ধ হওয়া খুবই বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর একটা ব্যক্তিগত শারীরিক সমস্যা। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে যে কারোরই এই বিব্রতকর শারীরিক সমস্যাটি হতে পারে।
অনেকে এটাকেই রোগ ভেবে ভুলও করে থাকেন। পা ঘামা কোনো রোগ নয় বরং এ থেকে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে থাকে। অনেকের শুষ্ক আবহাওয়ায় পা ঘামে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বছরজুড়ে। এ কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
শরীরের যেকোন অংশের চেয়ে এমনকি বগলের চেয়েও বেশি ঘর্ম গ্রন্থি থাকে পায়ের পাতায়। যখন পায়ের পাতার ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নির্গত হয় তখন পুরো স্থানটি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে (যেমন-বয়ঃসন্ধি কালে অথবা প্রেগনেন্সির সময়), স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে, ব্যায়াম করলে বা গরমের কারণে পা ঘামতে পারে।
অনেকেই অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পড়েন পায়ের গন্ধের জন্য। পা-ঢাকা জুতো পরে কিছু বিশেষ জায়গায় যেতেই হয় অনেককে। আর সেখানেই বাধে সমস্যা। এই জুতোর গন্ধে অনেকেই কাছে ঘেঁসে না। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি লজ্জারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূলত যাঁদের পা ঘামে তাদেরই বেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু এর থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজেই। কি করবেন পায়ের গন্ধ দূর করতে দেখে নিন তার কিছু কৌশল।
---পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার মতো অংশগুলো বাদ দিন
ঘামের সাথে সাথে পায়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াও দায়ী দূর্গন্ধ তৈরি করার জন্য। তাই পায়ের আঙ্গুলের নখ একেবারেই বড় করবেন না। কারণ এই সকল ব্যাকটেরিয়া নখ, নখের নীচের মোটা চামড়া এবং নখের আশেপাশেই বেশী জন্মে থাকে। নিয়মিতভাবে পায়ের নখ, নখের চারপাশের মোটা চামড়া কেটে ফেলুন। এরই সাথে পায়ের গোড়ালি নিয়মিত এক্সফলিয়েট করুন।
--জুতো পরার সময় অবশ্যই মোজা ব্যবহার করুন। কারণ পাতলা সুতির মোজা পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে এবং তা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়ক। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। সিনথেটিকের বা উলের মোজাও ঘাম-রোধক। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে।
---বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে পায়ের ঘাম বেরোতে পারেনা। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। চামড়ার জুতায় গন্ধ ছড়ায় না। জুতা কেনার আগে এর শুকতলাটা দেখে নেবেন যেন তা ভালো হয়। জুতার এই অংশই ঘাম টেনে নেয়। মোজা কেনার ক্ষেত্রে দেখে নিন যেন সুতির তৈরি হয়, প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য কয়েক জোড়া মোজা রাখুন। ১দিন ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলুন।যাদের পা ঘামে মাত্রাতিরিক্ত এবং গন্ধও ছড়ায় তারা পায়ের জন্য ফ্রেড লোশন লাগাতে পারেন। জুতা পরার ১ঘণ্টা আগে পায়ে মাখতে হবে। এরপর জুতা পরুন। পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।জুতা/মোজা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।চর্মরোগে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন l
--সাধারণত পা ধোয়ার পরে আমরা কিন্তু পা ভালোমতো মোছার দিকে একেবারেই খেয়াল রাখি না। পোডোলজিস্টদের মতে পা ধোয়ার পরে পায়ের আঙ্গুলের মাঝেও ভালোমতো মুছে নিন তোয়ালে অথবা নরম কাপড় দিয়ে। কারণ, অনেক সময় পায়ে য সকল ফাংগাল ইনফেকশন হয়, তার জন্যে পায়ের এমন ভেজাভাবও অনেকাংশে দায়ী।
-- ঘাম ও দুর্গন্ধ দূর করার জন্য পায়ের পাতার নীচের দিকে আন্ডারআর্ম ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। এরপর কিছুটা ফুট পাউডার পায়ের পাতার উপর ছিটিয়ে দিন। এটি অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নিবে এবং দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করবে।
--পায়ের বাজে ব্যাকটেরিয়া সমূলে বিনষ্ট করার জন্যে এবং পায়ের ঘাম কমানোর জন্যে চায়ে থাকা ট্যানিন খুবই উপকারী। আপনি চাইলে পায়ের যত্নে প্রতিদিন চা ব্যবহার করতে পারেন গোসলের সময়ে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: এক লিটার গরম পানিতে তিন চা চামচ চা ভিজিয়ে দিন। এর সাথে দুই লিটার ঠান্ডা পানি যোগ করুন। এখন এই মিশ্রণে দুই পা ১৫-২০ মিনিটের জন্যে ভিজিয়ে রেখে দিন।
--- নুন জল পায়ে ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। নিয়মিত নুন জলের ব্যবহারে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই কমে আসে।
রোজ বাড়িতে ফিরে সামান্য উষ্ণ গরম জলেতে নুন মিশিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট। পা ঘামার সমস্যা দূর হবে, সেই সঙ্গে আপনার পা ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও রেহাই পাবে।
--একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম শুকনোর সময় পায় না। সেই জুতোই আবার পরলে জীবাণু বাসা বাঁধে পায়ে। তার থেকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া জুতো পরুন।
--জুতার ধরণও অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। অনেক বেশি আঁটসাঁট জুতা যেমন- বুট জুতা সম্ভবত গন্ধের সৃষ্টি হয়। কারণ এই ধরণের জুতায় বায়ু চলাচল করতে পারেনা। যদি সম্ভব হয় তাহলে সামনের দিকে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। অ্যাথলেটিক জুতা ব্যবহার করতে পারেন যার পাশ দিয়ে জালের মত অংশ থাকে যা দিয়ে ভেন্টিলেশনের সুবিধা থাকে।
--পায়ের বাজে গন্ধ দূর করার জন্যে তো বটেই পায়ে জন্ম নেওয়া বাজে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও দারুণ সাহায্য করবে অ্যারোমাথেরাপি অয়েল। এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার অয়েল সবচেয়ে বেশী কার্যকরি এবং উপযোগী হবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ৪-৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে দুই পায়ের পাতা খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। অথবা, ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ৩-৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে দুই পা ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন।
---বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পা পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা সৃষ্টি করে।
এতে করে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এবং পায়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা আর থাকে না।
পা খুব ভাল করে পরিষ্কার করে, হাতে সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে পায়ে ভালো করে ঘষে নিন। এর ফলে পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বন্ধ হবে। চাইলে বন্ধ জুতোর ভেতরেও ছিটিয়ে নিতে পারেন খানিকটা বেকিং সোডা, এতেও অনেক উপকার পাবেন।
--জুতা পরার আগে পায়ে পাউডার লাগিয়ে নিন। জুতার ভেতরেও পাউডার ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে পা কম ঘামাবে।
---অনেকেই ঘরেও জুতা অথবা স্যান্ডেল পরে থাকতে পছন্দ করেন। তবে ঘরে থাকাকালীন অবস্থায় কোন স্যান্ডেল অথবা জুতা না পরাটাই সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে করে পায়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বেশী হয়ে থাকে।
---এসব একেবারেই সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি মেনে চললে পায়ের দুর্গন্ধ কমে যাবে অনেকটাই। এছাড়া বাইরে ব্যবহৃত জুতা এবং মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং শুকাতে হবে। কিন্তু, পায়ের দুর্গন্ধ যদি অতিরিক্ত হয় এবং পায়ে চুলকানির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে হবে।
--সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার করে নিন পা। অথবা হালকা গরমপানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে।
অনেকে এটাকেই রোগ ভেবে ভুলও করে থাকেন। পা ঘামা কোনো রোগ নয় বরং এ থেকে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব ঘটে থাকে। অনেকের শুষ্ক আবহাওয়ায় পা ঘামে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বছরজুড়ে। এ কারণেই পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
শরীরের যেকোন অংশের চেয়ে এমনকি বগলের চেয়েও বেশি ঘর্ম গ্রন্থি থাকে পায়ের পাতায়। যখন পায়ের পাতার ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নির্গত হয় তখন পুরো স্থানটি দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন স্থলে পরিণত হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে (যেমন-বয়ঃসন্ধি কালে অথবা প্রেগনেন্সির সময়), স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে, ব্যায়াম করলে বা গরমের কারণে পা ঘামতে পারে।
অনেকেই অস্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে পড়েন পায়ের গন্ধের জন্য। পা-ঢাকা জুতো পরে কিছু বিশেষ জায়গায় যেতেই হয় অনেককে। আর সেখানেই বাধে সমস্যা। এই জুতোর গন্ধে অনেকেই কাছে ঘেঁসে না। অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি লজ্জারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মূলত যাঁদের পা ঘামে তাদেরই বেশি এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু এর থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সহজেই। কি করবেন পায়ের গন্ধ দূর করতে দেখে নিন তার কিছু কৌশল।
---পায়ে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হওয়ার মতো অংশগুলো বাদ দিন
ঘামের সাথে সাথে পায়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াও দায়ী দূর্গন্ধ তৈরি করার জন্য। তাই পায়ের আঙ্গুলের নখ একেবারেই বড় করবেন না। কারণ এই সকল ব্যাকটেরিয়া নখ, নখের নীচের মোটা চামড়া এবং নখের আশেপাশেই বেশী জন্মে থাকে। নিয়মিতভাবে পায়ের নখ, নখের চারপাশের মোটা চামড়া কেটে ফেলুন। এরই সাথে পায়ের গোড়ালি নিয়মিত এক্সফলিয়েট করুন।
--জুতো পরার সময় অবশ্যই মোজা ব্যবহার করুন। কারণ পাতলা সুতির মোজা পায়ের সঙ্গে আটকে থাকে এবং তা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়ক। ফলে পায়ে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। সিনথেটিকের বা উলের মোজাও ঘাম-রোধক। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখবেন প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিদিন অন্তত একবার মোজা পরিবর্তন করতে হবে।
---বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে পায়ের ঘাম বেরোতে পারেনা। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। চামড়ার জুতায় গন্ধ ছড়ায় না। জুতা কেনার আগে এর শুকতলাটা দেখে নেবেন যেন তা ভালো হয়। জুতার এই অংশই ঘাম টেনে নেয়। মোজা কেনার ক্ষেত্রে দেখে নিন যেন সুতির তৈরি হয়, প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য কয়েক জোড়া মোজা রাখুন। ১দিন ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলুন।যাদের পা ঘামে মাত্রাতিরিক্ত এবং গন্ধও ছড়ায় তারা পায়ের জন্য ফ্রেড লোশন লাগাতে পারেন। জুতা পরার ১ঘণ্টা আগে পায়ে মাখতে হবে। এরপর জুতা পরুন। পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করুন।জুতা/মোজা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।চর্মরোগে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন l
--সাধারণত পা ধোয়ার পরে আমরা কিন্তু পা ভালোমতো মোছার দিকে একেবারেই খেয়াল রাখি না। পোডোলজিস্টদের মতে পা ধোয়ার পরে পায়ের আঙ্গুলের মাঝেও ভালোমতো মুছে নিন তোয়ালে অথবা নরম কাপড় দিয়ে। কারণ, অনেক সময় পায়ে য সকল ফাংগাল ইনফেকশন হয়, তার জন্যে পায়ের এমন ভেজাভাবও অনেকাংশে দায়ী।
-- ঘাম ও দুর্গন্ধ দূর করার জন্য পায়ের পাতার নীচের দিকে আন্ডারআর্ম ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। এরপর কিছুটা ফুট পাউডার পায়ের পাতার উপর ছিটিয়ে দিন। এটি অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নিবে এবং দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করবে।
--পায়ের বাজে ব্যাকটেরিয়া সমূলে বিনষ্ট করার জন্যে এবং পায়ের ঘাম কমানোর জন্যে চায়ে থাকা ট্যানিন খুবই উপকারী। আপনি চাইলে পায়ের যত্নে প্রতিদিন চা ব্যবহার করতে পারেন গোসলের সময়ে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: এক লিটার গরম পানিতে তিন চা চামচ চা ভিজিয়ে দিন। এর সাথে দুই লিটার ঠান্ডা পানি যোগ করুন। এখন এই মিশ্রণে দুই পা ১৫-২০ মিনিটের জন্যে ভিজিয়ে রেখে দিন।
--- নুন জল পায়ে ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। নিয়মিত নুন জলের ব্যবহারে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা একেবারেই কমে আসে।
রোজ বাড়িতে ফিরে সামান্য উষ্ণ গরম জলেতে নুন মিশিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট। পা ঘামার সমস্যা দূর হবে, সেই সঙ্গে আপনার পা ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও রেহাই পাবে।
--একই জুতা প্রতিদিন পরলে জুতায় লেগে থাকা ঘাম শুকনোর সময় পায় না। সেই জুতোই আবার পরলে জীবাণু বাসা বাঁধে পায়ে। তার থেকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখুন। একদিন এক জোড়া পরলে অন্যদিন অন্যজোড়া জুতো পরুন।
--জুতার ধরণও অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। অনেক বেশি আঁটসাঁট জুতা যেমন- বুট জুতা সম্ভবত গন্ধের সৃষ্টি হয়। কারণ এই ধরণের জুতায় বায়ু চলাচল করতে পারেনা। যদি সম্ভব হয় তাহলে সামনের দিকে খোলা জুতা বা স্যান্ডেল ব্যবহার করুন। অ্যাথলেটিক জুতা ব্যবহার করতে পারেন যার পাশ দিয়ে জালের মত অংশ থাকে যা দিয়ে ভেন্টিলেশনের সুবিধা থাকে।
--পায়ের বাজে গন্ধ দূর করার জন্যে তো বটেই পায়ে জন্ম নেওয়া বাজে ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও দারুণ সাহায্য করবে অ্যারোমাথেরাপি অয়েল। এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার অয়েল সবচেয়ে বেশী কার্যকরি এবং উপযোগী হবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: ৪-৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে দুই পায়ের পাতা খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। অথবা, ২-৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ৩-৪ লিটার পানিতে মিশিয়ে দুই পা ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন।
---বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পা পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা সৃষ্টি করে।
এতে করে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া এবং পায়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা আর থাকে না।
পা খুব ভাল করে পরিষ্কার করে, হাতে সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে পায়ে ভালো করে ঘষে নিন। এর ফলে পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বন্ধ হবে। চাইলে বন্ধ জুতোর ভেতরেও ছিটিয়ে নিতে পারেন খানিকটা বেকিং সোডা, এতেও অনেক উপকার পাবেন।
--জুতা পরার আগে পায়ে পাউডার লাগিয়ে নিন। জুতার ভেতরেও পাউডার ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে পা কম ঘামাবে।
---অনেকেই ঘরেও জুতা অথবা স্যান্ডেল পরে থাকতে পছন্দ করেন। তবে ঘরে থাকাকালীন অবস্থায় কোন স্যান্ডেল অথবা জুতা না পরাটাই সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে করে পায়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বেশী হয়ে থাকে।
---এসব একেবারেই সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি মেনে চললে পায়ের দুর্গন্ধ কমে যাবে অনেকটাই। এছাড়া বাইরে ব্যবহৃত জুতা এবং মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং শুকাতে হবে। কিন্তু, পায়ের দুর্গন্ধ যদি অতিরিক্ত হয় এবং পায়ে চুলকানির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হতে হবে।
--সপ্তাহে একদিন গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে রেখে পরিষ্কার করে নিন পা। অথবা হালকা গরমপানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে।
No comments:
Post a Comment