Saturday, 10 August 2019

মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা রাশিয়ান বোরিস্কা কিপ্রিয়ানোভিচের রহস্যময় কাহিনী ---

তিনিই সেই তরুণ রাশিয়ান, যিনি মঙ্গল গ্রহে জন্মেছিলেন বলে দাবি করার পরে বিজ্ঞানীদের তাঁর এই অবিস্মরণীয় বুদ্ধিমত্তা দিয়ে  বিস্মিত করেছিলেন।


রাশিয়ার ভলগোগ্রাডে বসবাসকারী বোরিস্কা কিপ্রিয়ানোভিচ দাবি করেছেন যে মানবজাতিকে বাঁচানোর মিশন বা লক্ষ্য নিয়ে তার পৃথিবীতে পুনর্জন্মের আগে তিনি লাল গ্রহের বাসিন্দা ছিলেন।

১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণকারী, বোরিস কিপ্রিয়ানোভিচ, যার অর্থ "ছোট বোরিস", তিনি একটি শিশু প্রতিভা হিসাবে বিবেচিত হন।

তাঁর মা একজন চিকিৎসক ছিলেন।তিনি বুঝেছিলেন যে বরিস এক বিশেষ শিশু যে জন্মের ঠিক দু'সপ্তাহ পরে কোনও সমর্থন ছাড়াই মাথা সোজা করে উঠতে পেরেছিলো।

জানা যায়, কয়েক মাস পরে তিনি কথা বলতে শুরু করেছিলেন এবং দেড় বছর বয়সে তিনি পড়তে, অঙ্কন করতে এবং আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন।

বোরিস্কা যখন মাত্র দু'বছর বয়সে কিন্ডারগার্টেনে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর শিক্ষকরা তাঁর বিস্ময়কর স্মৃতি দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর অবিশ্বাস্য রচনা এবং ভাষার প্রতিভা লক্ষ্য করতে পারেন।

ছেলেটি বারবার দাবি করেছে যে তিনি এর আগে একজন মঙ্গলীয় পাইলট ছিলেন যিনি পৃথিবীতেও ভ্রমণ করেছিলেন।

বোরিস্কার মা এবং পিতা দাবি করেছেন যে তারা ছোটবেলায় তাদের পুত্রকে মহাকাশ বা পৃথিবী বিষয়ে কিছুই শেখাননি তবুও দেখা গেছিলো যে তিনি প্রায়শই বসে থাকতেন এবং মঙ্গল গ্রহ, সৌরজগৎ, গ্রহ -নক্ষত্র এবং ভিনগ্রহের সভ্যতা নিয়ে কথা বলতেন।

এরপর মহাকাশের প্রতি তার আকর্ষণ শীঘ্রই তার একমাত্র আগ্রহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল  এবং তিনি মঙ্গল গ্রহে জন্মগ্রহণের দাবি করা শুরু করেন।

গবেষকরা তাকে উচ্চ-বূদ্ধিসম্পন্ন একজন অত্যন্ত লাজুক যুবক হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

গ্রহ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর অসামান্য জ্ঞান অনেক বিজ্ঞানী সহ বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছে।

বর্তমানে ২১ বছর বয়সী বোরিস্কা  দাবি করেছেন যে তিনি মঙ্গল গ্রহের মানুষ, যাকে পৃথিবীকে একটি বিধ্ধ্বংসী পারমাণবিক যুদ্ধর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল।

তিনি দাবি করেন যে হাজার হাজার বছর আগে পারমাণবিক সংঘর্ষে মার্টিয়ানদের নিজস্ব জাতি কার্যতই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি আশঙ্কা করছেন যে আমরা এখন একই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

 কিম জং-উনের দ্রুত সম্প্রসারণ করা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির কারণে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ব্রেকিং পয়েন্টে পৌঁছে যাওয়ার পরে বোরিস্কার উদ্বেগের কারণ বোঝা যায়।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে আমরা যদি তাঁর সতর্কবাণী না মানি তবে আমরা "তাঁর লোকদের" মতো একই বিপর্যয়কর পরিণতির মুখোমুখি হব।

তিনি বলেছেন যে পৃথিবীর বাইরের স্থান থেকে তিনি একমাত্র সন্তান নন, দাবি করেছেন যে তাঁর মতো আরও অনেকে আছেন যারা এখানে মানবতা রক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট মিশনে আছে ।

তিনি দাবি করেন যে এই সমস্ত পুনর্জন্ম নেয়া মঙ্গলগ্রহী বা মার্টিয়ানদের  "নীল শিশু" হিসাবে উল্লেখ করা হয় যারা অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা সম্পন্ন এবং মঙ্গলযুদ্ধ থেকে বেঁচে গিয়েছিল।

বোরিস্কার মতে, মার্টিয়ানরা অমর হয় এবং 35 বছর বয়সের পর তাদের বয়স বাড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা খুব লম্বা, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং নক্ষত্রমন্ডলের মধ্যে ভ্রমণে পারদর্শী  হয় ।

তিনি বলেছিলেন: "আমার সেই সময়ের কথা মনে পরে, যখন আমার বয়স ১৪ বা ১৫ বছর ছিল। মার্টিয়ানরা সারাক্ষণ যুদ্ধ চালাচ্ছিল তাই আমাকে প্রায়শই আমার এক বন্ধুর সাথে বিমান হামলায় অংশ নিতে হত।

"আমরা গোল স্পেসশিপগুলিতে সময় এবং মহাকাশের মধ্যে দিয়ে  ভ্রমণ করতে পারতাম, তবে আমরা ত্রিভুজাকার বিমানগুলির মাধ্যমে পৃথিবী ভ্রমণে যেতাম ও পৃথিবীর প্রাণীদের জীবন পর্যবেক্ষণ করতাম। মার্টিয়ান স্পেসশিপগুলি অত্যন্ত জটিল ছিল। এগুলি বিভিন্ন স্তরযুক্ত হতো এবং তারা সমস্ত মহাবিশ্ব জুড়ে উড়তে পারে  "

বরিস্কা বলেছিলেন যে সুদূর অতীতে বিশাল পারমাণবিক বিপর্যয় ভোগ করেও মঙ্গল গ্রহেএখনো ভিনগ্রহী সভ্যতা বেঁচে আছে ।

তিনি গিজার গ্রেট পিরামিডের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন যে  পৃথিবীতে আরও অনেক কিছু আবিষ্কার করা যায় যা তার মতে গোপন ও বড়ো রহস্য।

“স্ফিংস খুললে মানুষের জীবন বদলে যাবে, কানের পিছনে কোথাও এটির একটি গুপ্ত যান্ত্রিক নির্মাণ রয়েছে;  কোথায় আমার ঠিক এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না , "বোরিস্কা দাবি করেন।
এর দশ বছর পর একটি ডিপ সেন্সরি স্ক্যানে  স্ফিংসের কানে ও এর তলায় কিছু অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়, বিশেষজ্ঞদের মতে হল অফ রেকর্ড (প্রাচীন জ্ঞানের ও সভ্যতার  লাইব্রেরি ) গুপ্ত প্রাচীন শহর ইত্যাদি উঠে আসে যা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে আবিষ্কার করার অপেক্ষায়।

বোরিস্কা মঙ্গল গ্রহে যে বিপর্যয় ঘটেছিল তা সেখানে বসবাসকারী “প্রাণীদের” মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে ঘটে বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি দাবি করেন, সেখানে মাত্র কয়েকজন বেঁচে গিয়েছিল যারা সুরক্ষা লজ তৈরি করেছিল এবং নতুন অস্ত্র তৈরি করেছিল, তারা এখন মঙ্গলের মাটির তলায় বসবাস করে ।

ছেলেটি বলে যে মার্টিয়ানরা কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে শ্বাস নিত এবং যদি তারা কখনও কখনও আমাদের গ্রহে আসত তবে তাদের কার্বন ডাই অক্সাইড ভরা পাইপ থেকে শ্বাস নিতে হতো।
তিনি বলেন মঙ্গলগ্রহীদের সাথে প্রাচীন ইজিপ্সিয়ানদের কাছের সম্পর্ক ছিল।

ডাঃ জন ব্র্যান্ডেনবার্গ, পিএইচডি, একজন প্লাজমা পদার্থবিদ, যিনি বিশ্বাস করেন যে পারমাণবিক যুদ্ধের কারণে  মঙ্গল গ্রহের  প্রাচীন সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল। আলফ্রেড ম্যাকউইনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, “মঙ্গলগ্রহের অভ্যন্তরে জীবনের সম্ভাবনা সবসময়ই খুব বেশি ছিল, মঙ্গলগ্রহের ভূত্বরে কোথাও কোথাও জল আছে, সম্ভবত, আমার মনে হয়, এর ভূত্বকের কোথাও জীবনের অস্তিত্ব আছে।"


জেমস গ্রিন নাসা গ্রহ বিজ্ঞানের পরিচালক এবং তিনি বলেছেন, "মঙ্গল শুকনো, লাল গ্রহ নয় যা আমরা অতীতে ভেবেছিলাম, মঙ্গল গ্রহে তরল জল পাওয়া গেছে।" এবং, "মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর মতো গ্রহ। অতীতে মঙ্গল গ্রহ ছিল খুব আলাদা ধরণের। এতে একটি বিস্তৃত বায়ুমণ্ডল ছিল এবং আমরা যা বিশ্বাস করি এতে একটি বিশাল সমুদ্র ছিল উত্তর গোলার্ধের দ্বি-তৃতীয়াংশের মতো বৃহৎ এবং সেই মহাসাগরের গভীরতা এক মাইলের চেয়েও বেশি হতে পারে। সুতরাং মঙ্গলে তিন বিলিয়ন বছর পূর্বে বিস্তীর্ণ জলের সংস্থান ছিল, কিন্তু কিছু ঘটেছিল। মঙ্গল গ্রহ একটি বড় জলবায়ু পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়েছিল এবং তার জল হারিয়েছিল  "


পাঁচবারের মহাকাশ নভোচারী জন গ্রানসফেল্ড, নাসার সায়েন্স মিশন ডাইরেক্টিভের এসোসিয়েট এডমিনিস্ট্রেটর হেড বলেছেন, “আমরা মঙ্গল গ্রহে যাচ্ছি। আমাদের মঙ্গল গ্রহে যাত্রা এখন একটি বৈজ্ঞানিক অভিযাত্রা পর্যায়ে। তবে শীঘ্রই আমি আশা করি আমরা মানুষকে লাল গ্রহে অন্বেষণের জন্য প্রেরণ করব এবং বিজ্ঞান এই পথ পরিচালিত করবে। বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে জলের সম্পর্কে যে চিত্তাকর্ষক ফলাফলের ঘোষণা হয়েছে তা খুবই জরুরী কারণ আমরা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এবং গ্রহ বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহে বর্তমান জীবন আছে কিনা তা অনুসন্ধানের জন্য মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান প্রেরণ করেছি "এবং," যত বেশি আমরা মঙ্গলকে পর্যবেক্ষণ করছি , তত বেশি তথ্য আমরা পেয়ে যাচ্ছি যে এটি সত্যই আকর্ষণীয় একটি গ্রহ। রোভার থেকে আমরা এখন জানি যে মঙ্গল গ্রহ একসময় খুব লম্বা নোনা সমুদ্র সমেত, মিঠা পানির হ্রদ, সম্ভবত তুষারের শিখর সমৃদ্ধ পর্বত এবং মেঘ এবং পৃথিবীর মতো একটি জলচক্র সহ পৃথিবীর মতো গ্রহ ছিল। মঙ্গলগ্রহের সাথে কিছু ঘটেছে, যার ফলে এটি তার জল হারিয়েছে ”

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে এই রহস্য করি সময়ের সাথে উদ্ঘাটন হবে আসা করি সাথে ভবিষ্যতে নতুন চমকের আসা করি এবং তা যেন মানবসভ্যতাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যায় এটাও আশাকরি।

Sunday, 4 August 2019

বর্ষায় চুলের যত্নের টিপস

প্রবল গরমের পর যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে, তখন আশ মিটিয়ে ভিজতে ইচ্ছে করে। সমস্যা হল, সেই বৃষ্টিস্নানের মধ্যে যত আরামই থাক, তা কিন্তু আপনার চুলের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়! গ্রীষ্মের তুলনায় বর্ষাকালে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুলের যত্ন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। চুল পড়া রোধে তাই এই সময় ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।



সাবধানতা---

---বর্ষার সময় চুল শুকনো রাখাটা জরুরি।এই সময় ভেজা চুল আচড়ানো মোটেও ঠিক নয়।

---বৃষ্টির জল থেকে চুল বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ বৃষ্টির জলে প্রচুর অ্যাসিড উপাদান থাকে, নোংরাও থাকে প্রচুর। তাই একান্ত ঝামেলায় না পড়লে বৃষ্টির জল চুলে না লাগতে দেওয়াই উচিত। বড়ো ছাতা বা হুড দেওয়া রেনকোট ব্যবহার করুন। যদি কোনওভাবেই বৃষ্টির জল এড়াতে না পারেন, তা হলে বাড়ি ফিরে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন।


---সফ্ট , ডিপ ক্লেনজ়িং শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধীরে ধীরে মাসাজ করবেন, যাতে বৃষ্টির জলের কোনও নোংরা চুলে থেকে না যায়। এই মরশুমে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তাই ভালো শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দু’বার চুল ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুল পুষ্টি পাবে, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারবে না।

----চুলে তেল লাগালে শুষ্কতা দূর হয়, ডিপ কন্ডিশনিংয়ের সুফলও মেলে। তবে অতিরিক্ত তেল লাগাবেন না, পরিমাণমতো তেল চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন।


---মরশুমের এই সময়টায় চুল বেশি বাঁধলে ভিতরে আর্দ্রতা জমে থাকে, চুল ন্যাতানো দেখায়। চুল মুখে পড়লে একটা টপ নট বা একটা আলগা বিনুনিই যথেষ্ট। একটানা অনেকক্ষণ চুল বেঁধে রাখবেন না।


---মোটা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান, তাতে জট ছাড়ানো সহজ হবে। কন্ডিশনার লাগানোর পরেও চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন, তাতে গোটা চুলে সমানভাবে কন্ডিশনার ছড়িয়ে যেতে পারবে।


---চুলের দৈর্ঘের মাঝামাঝি অংশ থেকে শেষভাগ পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান, তবে অতিরিক্ত কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। ঠান্ডা জল দিয়েই চুল ধোবেন।


---এই সময়টাই চুল কেটে ফেলার পক্ষে সবচেয়ে ভালো। তাতে বাড়তি ঝামেলা মিটবে, চুলের শেপও সুন্দর থাকবে।


ঘরোয়া উপাদান --

---সারারাত মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখার পর সকালে বেটে নিন। এরপর তার সঙ্গে টক দই মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে। কারণ মেথিতে থাকা লেসিথিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলে পুষ্টি দান করে।

---এই সময় চুলে খুব জট পড়ে। রুক্ষ চুলের সমস্যায় যারা ভুগেন, তাদের জন্য এই প্যাক খুব কার্যকর। দুটো ডিম ভেঙে তাতে তিন চামচ মধু যোগ করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটিও স্নানের আগে চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন খুব ভালো করে। শ্যাম্পুর পর ক্ষারবিহীন বা খুব অল্প ক্ষারযুক্ত কোনও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

---চুল পড়া রোধে খাঁটি অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরার জেল চুলের গোড়ায় দিন। মাথার ত্বকের পিএইচ-এর মাত্রায় ভারসাম্য আনে এটি। মাথায় ম্যাসাজের পর কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

---দুই চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

---একটি পাকা কলা চটকিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু,এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ,এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহ দুই দিন এটা করলে উপকার পাবেন।

---স্নানের সময় এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন আধ কাপের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ মধু। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে এই মিশ্রণ ঢেলে দিন চুলে। আঙুল চালিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন চুল।

---পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করতে দারুন কার্যকরী। চুল পড়া রোধে চুলের গোড়ায় ভালভাবে পেঁয়াজের রস বা বাটা লাগান। আধ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পাওয়া যাবে।


---ক্রমশ বাড়তে থাকা খুশকি এ সময়ের বড় ঝক্কি। চুলের এসব হটাতে নিম পাতা বড় ওষুধ। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। পানি রং গাঢ় সবুজ হওয়ার পর তা ঠাণ্ডা করুন। এবার এই তরলকে চুলে তেলের মতো ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে একবার এই নিমের জল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

---এই সময় চুলে নিয়মিত তেল লাগাতে হবে।তেল চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে  আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।


---চুলের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নিজেই হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। আধা টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। এবার সব উপাদান ভালোমতো মেশাতে থাকুন। এতে পাতলা জেলের মতো তৈরি হবে। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করুন। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পুর ব্যবহারে ধুয়ে ফেলুন।