প্রবল গরমের পর যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে, তখন আশ মিটিয়ে ভিজতে ইচ্ছে করে। সমস্যা হল, সেই বৃষ্টিস্নানের মধ্যে যত আরামই থাক, তা কিন্তু আপনার চুলের পক্ষে মোটেই সুখকর নয়! গ্রীষ্মের তুলনায় বর্ষাকালে চুল পড়া বেড়ে যায়। চুলের যত্ন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের দরকার হয় বাড়তি যত্ন। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। চুল পড়া রোধে তাই এই সময় ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।
সাবধানতা---
---বর্ষার সময় চুল শুকনো রাখাটা জরুরি।এই সময় ভেজা চুল আচড়ানো মোটেও ঠিক নয়।
---বৃষ্টির জল থেকে চুল বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ বৃষ্টির জলে প্রচুর অ্যাসিড উপাদান থাকে, নোংরাও থাকে প্রচুর। তাই একান্ত ঝামেলায় না পড়লে বৃষ্টির জল চুলে না লাগতে দেওয়াই উচিত। বড়ো ছাতা বা হুড দেওয়া রেনকোট ব্যবহার করুন। যদি কোনওভাবেই বৃষ্টির জল এড়াতে না পারেন, তা হলে বাড়ি ফিরে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন।
---সফ্ট , ডিপ ক্লেনজ়িং শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধীরে ধীরে মাসাজ করবেন, যাতে বৃষ্টির জলের কোনও নোংরা চুলে থেকে না যায়। এই মরশুমে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তাই ভালো শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দু’বার চুল ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুল পুষ্টি পাবে, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারবে না।
----চুলে তেল লাগালে শুষ্কতা দূর হয়, ডিপ কন্ডিশনিংয়ের সুফলও মেলে। তবে অতিরিক্ত তেল লাগাবেন না, পরিমাণমতো তেল চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন।
---মরশুমের এই সময়টায় চুল বেশি বাঁধলে ভিতরে আর্দ্রতা জমে থাকে, চুল ন্যাতানো দেখায়। চুল মুখে পড়লে একটা টপ নট বা একটা আলগা বিনুনিই যথেষ্ট। একটানা অনেকক্ষণ চুল বেঁধে রাখবেন না।
---মোটা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান, তাতে জট ছাড়ানো সহজ হবে। কন্ডিশনার লাগানোর পরেও চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন, তাতে গোটা চুলে সমানভাবে কন্ডিশনার ছড়িয়ে যেতে পারবে।
---চুলের দৈর্ঘের মাঝামাঝি অংশ থেকে শেষভাগ পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান, তবে অতিরিক্ত কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। ঠান্ডা জল দিয়েই চুল ধোবেন।
---এই সময়টাই চুল কেটে ফেলার পক্ষে সবচেয়ে ভালো। তাতে বাড়তি ঝামেলা মিটবে, চুলের শেপও সুন্দর থাকবে।
ঘরোয়া উপাদান --
---সারারাত মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখার পর সকালে বেটে নিন। এরপর তার সঙ্গে টক দই মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে। কারণ মেথিতে থাকা লেসিথিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলে পুষ্টি দান করে।
---এই সময় চুলে খুব জট পড়ে। রুক্ষ চুলের সমস্যায় যারা ভুগেন, তাদের জন্য এই প্যাক খুব কার্যকর। দুটো ডিম ভেঙে তাতে তিন চামচ মধু যোগ করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটিও স্নানের আগে চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন খুব ভালো করে। শ্যাম্পুর পর ক্ষারবিহীন বা খুব অল্প ক্ষারযুক্ত কোনও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
---চুল পড়া রোধে খাঁটি অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরার জেল চুলের গোড়ায় দিন। মাথার ত্বকের পিএইচ-এর মাত্রায় ভারসাম্য আনে এটি। মাথায় ম্যাসাজের পর কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
---দুই চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
---একটি পাকা কলা চটকিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু,এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ,এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহ দুই দিন এটা করলে উপকার পাবেন।
---স্নানের সময় এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন আধ কাপের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ মধু। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে এই মিশ্রণ ঢেলে দিন চুলে। আঙুল চালিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন চুল।
---পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করতে দারুন কার্যকরী। চুল পড়া রোধে চুলের গোড়ায় ভালভাবে পেঁয়াজের রস বা বাটা লাগান। আধ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পাওয়া যাবে।
---ক্রমশ বাড়তে থাকা খুশকি এ সময়ের বড় ঝক্কি। চুলের এসব হটাতে নিম পাতা বড় ওষুধ। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। পানি রং গাঢ় সবুজ হওয়ার পর তা ঠাণ্ডা করুন। এবার এই তরলকে চুলে তেলের মতো ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে একবার এই নিমের জল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
---এই সময় চুলে নিয়মিত তেল লাগাতে হবে।তেল চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।
---চুলের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নিজেই হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। আধা টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। এবার সব উপাদান ভালোমতো মেশাতে থাকুন। এতে পাতলা জেলের মতো তৈরি হবে। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করুন। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পুর ব্যবহারে ধুয়ে ফেলুন।
সাবধানতা---
---বর্ষার সময় চুল শুকনো রাখাটা জরুরি।এই সময় ভেজা চুল আচড়ানো মোটেও ঠিক নয়।
---বৃষ্টির জল থেকে চুল বাঁচিয়ে রাখুন। কারণ বৃষ্টির জলে প্রচুর অ্যাসিড উপাদান থাকে, নোংরাও থাকে প্রচুর। তাই একান্ত ঝামেলায় না পড়লে বৃষ্টির জল চুলে না লাগতে দেওয়াই উচিত। বড়ো ছাতা বা হুড দেওয়া রেনকোট ব্যবহার করুন। যদি কোনওভাবেই বৃষ্টির জল এড়াতে না পারেন, তা হলে বাড়ি ফিরে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নেবেন।
---সফ্ট , ডিপ ক্লেনজ়িং শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধীরে ধীরে মাসাজ করবেন, যাতে বৃষ্টির জলের কোনও নোংরা চুলে থেকে না যায়। এই মরশুমে চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক, তাই ভালো শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দু’বার চুল ধুয়ে ফেলুন। তাতে চুল পুষ্টি পাবে, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও হতে পারবে না।
----চুলে তেল লাগালে শুষ্কতা দূর হয়, ডিপ কন্ডিশনিংয়ের সুফলও মেলে। তবে অতিরিক্ত তেল লাগাবেন না, পরিমাণমতো তেল চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন।
---মরশুমের এই সময়টায় চুল বেশি বাঁধলে ভিতরে আর্দ্রতা জমে থাকে, চুল ন্যাতানো দেখায়। চুল মুখে পড়লে একটা টপ নট বা একটা আলগা বিনুনিই যথেষ্ট। একটানা অনেকক্ষণ চুল বেঁধে রাখবেন না।
---মোটা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান, তাতে জট ছাড়ানো সহজ হবে। কন্ডিশনার লাগানোর পরেও চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন, তাতে গোটা চুলে সমানভাবে কন্ডিশনার ছড়িয়ে যেতে পারবে।
---চুলের দৈর্ঘের মাঝামাঝি অংশ থেকে শেষভাগ পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান, তবে অতিরিক্ত কন্ডিশনার লাগানোর দরকার নেই। ঠান্ডা জল দিয়েই চুল ধোবেন।
---এই সময়টাই চুল কেটে ফেলার পক্ষে সবচেয়ে ভালো। তাতে বাড়তি ঝামেলা মিটবে, চুলের শেপও সুন্দর থাকবে।
ঘরোয়া উপাদান --
---সারারাত মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখার পর সকালে বেটে নিন। এরপর তার সঙ্গে টক দই মেশান। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে। কারণ মেথিতে থাকা লেসিথিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড চুলে পুষ্টি দান করে।
---এই সময় চুলে খুব জট পড়ে। রুক্ষ চুলের সমস্যায় যারা ভুগেন, তাদের জন্য এই প্যাক খুব কার্যকর। দুটো ডিম ভেঙে তাতে তিন চামচ মধু যোগ করে ফেটিয়ে নিন। এই প্যাকটিও স্নানের আগে চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন খুব ভালো করে। শ্যাম্পুর পর ক্ষারবিহীন বা খুব অল্প ক্ষারযুক্ত কোনও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।
---চুল পড়া রোধে খাঁটি অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরার জেল চুলের গোড়ায় দিন। মাথার ত্বকের পিএইচ-এর মাত্রায় ভারসাম্য আনে এটি। মাথায় ম্যাসাজের পর কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
---দুই চামচ টক দই ও তিন চামচ মধু মিশিয়ে একটা হেয়ার প্যাক বানিয়ে নিন। স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে নিন চুলে। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
---একটি পাকা কলা চটকিয়ে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু,এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ,এক টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহ দুই দিন এটা করলে উপকার পাবেন।
---স্নানের সময় এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন আধ কাপের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ মধু। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিবর্তে এই মিশ্রণ ঢেলে দিন চুলে। আঙুল চালিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন চুল।
---পেঁয়াজের রস চুল পড়া রোধ করতে দারুন কার্যকরী। চুল পড়া রোধে চুলের গোড়ায় ভালভাবে পেঁয়াজের রস বা বাটা লাগান। আধ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেও উপকার পাওয়া যাবে।
---ক্রমশ বাড়তে থাকা খুশকি এ সময়ের বড় ঝক্কি। চুলের এসব হটাতে নিম পাতা বড় ওষুধ। জলে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। পানি রং গাঢ় সবুজ হওয়ার পর তা ঠাণ্ডা করুন। এবার এই তরলকে চুলে তেলের মতো ব্যবহার করুন। প্রতি সপ্তাহে একবার এই নিমের জল ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
---এই সময় চুলে নিয়মিত তেল লাগাতে হবে।তেল চুলের গোঁড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগান এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন বা একটি গরম তোয়ালে পেঁচিয়ে নিন মাথায়। এতে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হবে এবং চুলের শুষ্কতা দূর হবে।
---চুলের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নিজেই হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। আধা টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। এবার সব উপাদান ভালোমতো মেশাতে থাকুন। এতে পাতলা জেলের মতো তৈরি হবে। এই মিশ্রণ চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করুন। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পুর ব্যবহারে ধুয়ে ফেলুন।
No comments:
Post a Comment