উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ যা নিয়ে কৌতূহল নেই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। দুই কোরিয়া আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে উত্তর কোরিয়া পুরো পৃথিবীর থেকে যেন বিচ্ছিন্ন একটি দেশ হয়ে গেছে। এই দেশের নিয়ম নীতির বেড়াজাল পেরিয়ে যে সকল তথ্য বেরোয় তার কোনোটির ই বলতে গেলে দৃঢ় প্রমান পাওয়া যায় নি, কেবল বিশ্বস্ত সূত্র মারফত পাওয়া বলে তাদের তথ্য বলে ধরে নেয়া হয়। পৃথিবীর কাছে পুরোপুরি উন্মুক্ত না হলে রহস্য গুলি থেকে যাবে। এমন কিছু পাওয়া তথ্য আজ তুলে ধরলাম-
-- আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাঝে মধ্যেই অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে আসে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের ওপরও। বৈশ্বিক ব্যাংক ব্যবস্থার অনেক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। নানা দিক থেকে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আবদ্ধ থেকেও দেশটির নেতা কিম জং-উন কীভাবে সামরিক খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন, অনেকের কাছেই সেটা বড় রহস্য।
--- তাদের মহাকাশ গবেষণা প্রোগ্রামের সাফল্য ২০%
--সম্প্রতি দেশটি তার নিজের টাইম জোন তৈরি করেছে। পিয়ংইয়ং স্ট্যান্ডার্ড টাইম। জাপানের শাসনামলের আগে এই টাইম জোনই চালু ছিল কোরিয়ান পেনিনসুলায়।
--বিদেশী পর্যটকদের চলাফেলাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এখানে । ফলে দেশটি সম্পর্কে সামান্য যা তথ্য পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করে মোটা দাগে আয়ের তিনটি খাতকে চিহ্নিত করা যায়-- মূলত কয়লা রফতানি, সাইবার আক্রমণ ও বাধ্যতামূলক শ্রমের ওপর টিকে আছে রহস্যময় এ দেশের অর্থনীতি।
--উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক হিসাব কাউকেই জানায় না দেশটি। তবে ১৯৯১ সাল থেকে তাদের আর্থিক চিত্র বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করে আসছে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব কোরিয়া’। তাদের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশ। ব্যাংক অব কোরিয়া জানায়, ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ায় মোট আমদানি ও রফতানির পরিমাণ ছিল ৯৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২৪০ কোটি ডলার বাণিজ্য হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে।
--উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে যেতে ৮ হাজার ডলার খরচ লাগে। এ দেশ থেকে বের হয়ে যেতেই এ খরচ প্রয়োজন। বেশির ভাগ উত্তর কোরিয়ানের সামর্থ্য রয়েছে।
--উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচে বড় উৎস কয়লা রফতানি। মনে করা হয়, প্রতি বছর ১০ লাখ টন কয়লা রফতানি করে দেশটি। এটির সবচে বড় বাজার চীন। বেইজিং আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে দেশটি থেকে কয়লা কিনে থাকে।অবশ্য সম্প্রতি এ খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তিতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে কিম জং-উন প্রশাসন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত দিনগুলোতে কয়লা রফতানি করে দেশটি বড় অংকের রিজার্ভ জমা করেছে। এ তহবিল দেশটির আর্থ-সামাজিক, সামরিক খাতের অন্যতম ভরসা। কয়লার পাশাপাশি চীনের বাজারে আকরিক লোহা, সামুদ্রিক খাবার, তৈরি পোশাক ছাড়াও বেশকিছু নিত্য ব্যবহার্য পণ্য রফতানি করে থাকে উত্তর কোরিয়া। এভাবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশটি।
--এখানে প্রতি পাঁচ বছর পর পর ভোটাভুটি হয় তবে একজনই প্রার্থী! বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি নির্বাচিত হন!
--কিম জং উনের প্রয়াত পিতা কিম জং ইলের বিশেষ মদের পেছনে খরচ হতো একজন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকের বার্ষিক আয়ের ৮০০ গুণ বেশি। এক হিসেব জানায়, বছরে কনিয়াকের পেছনে ব্যয় হতো ১.২ মিলিয়ন ডলার। বছরে একজন উত্তর কোরিয়ানের আয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলার।
--দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার পর ২০০৪ সালে সীমান্ত সংলগ্ন কেসং শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা করে উত্তর কোরিয়া। সেখান থেকে দেশটির আয় হয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছে উত্তর কোরিয়ার ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। অবশ্য ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত এক রকেট উৎক্ষেপণের পর ওই শিল্পপার্ক থেকে অর্জিত অর্থ দেশটি পরমাণু অস্ত্র বানাতে ব্যয় করছে- এমন অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়া সাময়িকভাবে কেসং বন্ধ করে তাদের কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
--২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়া ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি গোল করে। তবে তারা হেরেছিল ২-১ গোলে।
-- সূত্রানুযায়ী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে চেয়ার, টেবিল ও ঘর গরম করার তেলের জন্য টাকা দিতে হয়! তাই বাবা মায়েরা সেজন্য বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছুক নন!
---উত্তর কোরিয়ার তথ্যমতে, সে দেশের শতভাগ মানুষ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। সিআইএ-এর সংজ্ঞামতে, ১৫ বছর এবং তার বেশি বয়সী যে সকল মানুষ পড়তে ও লিখতে পারে তারাই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। এদের একজন নাগরিক ভাল করে কিম ইল সাং লিখতে পারলেই তাকে শিক্ষিত বলা হয়!
--এখন সালটা ২০১৮ নয় সেখানে ১০৭ সাল! এরা তাদের নেতা কিম ইল সাং এর জন্মদিন থেকে বছর শুরু গোনে!
--এখানে ৬০৫ জন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে! (০.০০%)
--কিম জং-উন প্রশাসনের আয়ের অন্যতম বড় খাত হিসেবে দাবি করা হয়- সাইবার আক্রমণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ডলার হাতিয়ে নেয় দেশটির হ্যাকাররা। আর এ কাজে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
-- আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাঝে মধ্যেই অত্যাধুনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে আসে উত্তর কোরিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের ওপরও। বৈশ্বিক ব্যাংক ব্যবস্থার অনেক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। নানা দিক থেকে নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আবদ্ধ থেকেও দেশটির নেতা কিম জং-উন কীভাবে সামরিক খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন, অনেকের কাছেই সেটা বড় রহস্য।
--- তাদের মহাকাশ গবেষণা প্রোগ্রামের সাফল্য ২০%
--সম্প্রতি দেশটি তার নিজের টাইম জোন তৈরি করেছে। পিয়ংইয়ং স্ট্যান্ডার্ড টাইম। জাপানের শাসনামলের আগে এই টাইম জোনই চালু ছিল কোরিয়ান পেনিনসুলায়।
--বিদেশী পর্যটকদের চলাফেলাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এখানে । ফলে দেশটি সম্পর্কে সামান্য যা তথ্য পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করে মোটা দাগে আয়ের তিনটি খাতকে চিহ্নিত করা যায়-- মূলত কয়লা রফতানি, সাইবার আক্রমণ ও বাধ্যতামূলক শ্রমের ওপর টিকে আছে রহস্যময় এ দেশের অর্থনীতি।
--উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক হিসাব কাউকেই জানায় না দেশটি। তবে ১৯৯১ সাল থেকে তাদের আর্থিক চিত্র বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করে আসছে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব কোরিয়া’। তাদের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশ। ব্যাংক অব কোরিয়া জানায়, ২০১৪ সালে উত্তর কোরিয়ায় মোট আমদানি ও রফতানির পরিমাণ ছিল ৯৯০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২৪০ কোটি ডলার বাণিজ্য হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে।
--উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে যেতে ৮ হাজার ডলার খরচ লাগে। এ দেশ থেকে বের হয়ে যেতেই এ খরচ প্রয়োজন। বেশির ভাগ উত্তর কোরিয়ানের সামর্থ্য রয়েছে।
--উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচে বড় উৎস কয়লা রফতানি। মনে করা হয়, প্রতি বছর ১০ লাখ টন কয়লা রফতানি করে দেশটি। এটির সবচে বড় বাজার চীন। বেইজিং আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কিছুটা কম দামে দেশটি থেকে কয়লা কিনে থাকে।অবশ্য সম্প্রতি এ খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তিতে কিছুটা সমস্যায় পড়েছে কিম জং-উন প্রশাসন।
বিশ্লেষকদের মতে, বিগত দিনগুলোতে কয়লা রফতানি করে দেশটি বড় অংকের রিজার্ভ জমা করেছে। এ তহবিল দেশটির আর্থ-সামাজিক, সামরিক খাতের অন্যতম ভরসা। কয়লার পাশাপাশি চীনের বাজারে আকরিক লোহা, সামুদ্রিক খাবার, তৈরি পোশাক ছাড়াও বেশকিছু নিত্য ব্যবহার্য পণ্য রফতানি করে থাকে উত্তর কোরিয়া। এভাবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশটি।
--এখানে প্রতি পাঁচ বছর পর পর ভোটাভুটি হয় তবে একজনই প্রার্থী! বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় তিনি নির্বাচিত হন!
--কিম জং উনের প্রয়াত পিতা কিম জং ইলের বিশেষ মদের পেছনে খরচ হতো একজন উত্তর কোরিয়ার নাগরিকের বার্ষিক আয়ের ৮০০ গুণ বেশি। এক হিসেব জানায়, বছরে কনিয়াকের পেছনে ব্যয় হতো ১.২ মিলিয়ন ডলার। বছরে একজন উত্তর কোরিয়ানের আয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার ডলার।
--দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার পর ২০০৪ সালে সীমান্ত সংলগ্ন কেসং শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠা করে উত্তর কোরিয়া। সেখান থেকে দেশটির আয় হয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ১২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছে উত্তর কোরিয়ার ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। অবশ্য ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ার বিতর্কিত এক রকেট উৎক্ষেপণের পর ওই শিল্পপার্ক থেকে অর্জিত অর্থ দেশটি পরমাণু অস্ত্র বানাতে ব্যয় করছে- এমন অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়া সাময়িকভাবে কেসং বন্ধ করে তাদের কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
--২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়া ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি গোল করে। তবে তারা হেরেছিল ২-১ গোলে।
-- সূত্রানুযায়ী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদেরকে চেয়ার, টেবিল ও ঘর গরম করার তেলের জন্য টাকা দিতে হয়! তাই বাবা মায়েরা সেজন্য বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ইচ্ছুক নন!
---উত্তর কোরিয়ার তথ্যমতে, সে দেশের শতভাগ মানুষ অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। সিআইএ-এর সংজ্ঞামতে, ১৫ বছর এবং তার বেশি বয়সী যে সকল মানুষ পড়তে ও লিখতে পারে তারাই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। এদের একজন নাগরিক ভাল করে কিম ইল সাং লিখতে পারলেই তাকে শিক্ষিত বলা হয়!
--এখন সালটা ২০১৮ নয় সেখানে ১০৭ সাল! এরা তাদের নেতা কিম ইল সাং এর জন্মদিন থেকে বছর শুরু গোনে!
--এখানে ৬০৫ জন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে! (০.০০%)
--কিম জং-উন প্রশাসনের আয়ের অন্যতম বড় খাত হিসেবে দাবি করা হয়- সাইবার আক্রমণ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ডলার হাতিয়ে নেয় দেশটির হ্যাকাররা। আর এ কাজে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি রুশ সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম
ক্যাসপারাস্কির এক তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগের পক্ষে জোরালো সমর্থন পাওয়া
যায়। ক্যাসপারস্কির তথ্য মতে, ১৮টি দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে
ডলার হাতিয়েছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী আলোচিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাও রয়েছে। তালিকায় রয়েছে কোস্টারিকা,
পোল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার ব্যাংক হ্যাকিংয়ের ঘটনাও।
---উত্তর কোরিয়ার মাত্র ২.৮৩ শতাংশ রাস্তা পাকা করা হয়েছে।
-- এখানে শহরে কোন ট্রাফিক লাইটপোষ্ট নাই, পুলিশ হাত দিয়েই কাজ সারে। তবে অসুবিধা হয়না কারন একমাত্র মিলিটারীদেরই গাড়ী আছে!
--- উত্তর কোরিয়া দাবী করে তারা দুনিয়াতে দ্বিতীয় সবচাইতে সুখী নাগরিক। প্রথম চীন।
-- এখানে সবাইকে সপ্তাহে ছয়দিন কাজ করতে হয় আর তার উপর আছে বাধ্যতামূলক
স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার প্রথা। ফলে এখানে কারো কোন ব্যাক্তিগত সময়ই নেই!
-- এখানে রেডিও বাজবে তবে আপনি অফ করতে পারবেননা! বাজবেই। শুনতেই হবে আপনাকে! সরকারি বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা সারাদিন চলে এই রেডিও চ্যানেল গুলিতে।
-- সারা দেশে মাত্র তিনখানা টেলিভিশন চ্যানেল আছে, যেগুলি সরকারি চ্যানেল এবং সেগুলি এ দেখতে হবে।
---উত্তর কোরিয়ার ঝাঁ চকচকে শহর পিয়ংইয়ংএ থাকেন
অভিজাতরা। গ্রামের মানুষের জীবনমান বেশ নিম্ন। কৃষিজীবী এসব মানুষের শ্রমে
টিকে আছে দেশটির অর্থনীতি। প্রয়োজনে এসব অসহায় মানুষের শ্রমকে
বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করে পিয়ংইয়ং।
--উ. কোরিয়াতে গাঁজা মারিযুয়ানা সেবন করা গুদামজাত করা বা নিয়ে চলাচল করা
বিধিসম্মত। কোন অসুবিধা নাই। প্রকাশ্যেই ওসব চাষাবাদ হয় আর কি!
---এ দেশের ২৮টি স্টেটে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চুলের ফ্যাশন প্রচলিত। নারীরা ১৪
ধরনের হেয়ার কাট থেকে নিজের পছন্দেরটি বেছে নেন। বিবাহিত নারীদের ছোট চুল
রাখতে হয়। আর অবিবাহিতরা লম্বা ও কার্লি চুল রাখতে পারেন। পুরুষরা চুল ৫
সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা করতে পারেন না।
--প্রতি বছরই বাধ্যতামূলকভাবে হাজারো
মানুষকে বিদেশে কর্মী হিসেবে পাঠানো হয়। চীন, রাশিয়া, মালয়েশিয়া,
ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কৃষি, খনি, টেক্সটাইল,
নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে তাদের কাজ করতে হয়। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স ব্যয়
করা হয় সামরিক খাতে।
--উত্তর কোরিয়ার জিডিপি অপেক্ষা বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ গুণ বেশি।
দেশটির জিডিপি ১৫.৪৫ বিলিয়ন। তবে বিশ্ব ব্যাংকে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য
নেই।
১৯৭০ সালে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি দঃ কোরিয়া থেকে বড় ছিল। এখন উঃ কোরিয়ার জিডিপি দঃ কোরিয়ার জিডিপির ২.৫ % মাত্র!
--নর্থ কোরিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে হিসেবে সোমালিয়ার পাশাপাশি
অবস্থান করছে। ২০১৪ সালে দ্য করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স এ তথ্য প্রকাশ করে।
--উত্তর কোরিয়ার আর্থিক আয়ের একটি
উল্লেখযোগ্য উৎস হয়ে উঠেছে দেশটির পর্যটন খাত। দেশটিতে বেশিরভাগ পর্যটকই
আসে চীন থেকে। সরকারি তথ্য মতে, ২০১৪ সালে লক্ষাধিক পর্যটক তাদের দেশ ভ্রমণ
করেছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেসব পর্যটক উত্তরে যায়, তাদের অনেককেই
গুপ্তচর সন্দেহে আটক করা হয়। অবশ্য এতেও দেশটির পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও চোরাচালান, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ নানান উপায়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ জমা হয় বলে জানা যায়।
--দেশটির আয়ের অন্যতম একটি বড় খাত চীনা
অনুদান। উত্তর কোরিয়ার প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র চীন। বেইজিং
প্রতি বছরই প্রতিবেশী এ মিত্রকে মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে থাকে।
বলা হয়, আঞ্চলিক শক্তি জাপান, দক্ষিণ
কোরিয়া ও সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে চীনা
সহায়তায় টিকে আছে উত্তর কোরিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো যখন এ দেশের ব্যাংকগুলোর
ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ বসিয়েছে, তখন চীনা ব্যাংকগুলো উদারভাবে এগিয়ে এসে
দেশটির আর্থিক খাতের পাশে দাঁড়িয়েছে।
--- পৃথিবীর সবচাইতে বড় স্টেডিয়াম উঃ কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং এ অবস্হিত। এটার ধারণ ক্ষমতা ১৫০০০০ জন!
--শোনা যায় উত্তর কোরিয়ায় শাস্তি হলে তাকে তিন পুরুষ ধরে শাস্তি পেতে হবে! ধরুন কারো শাস্তি হল ক্যাম্পে সাজা খাটবার। তখন ঐ লোক তার পুরো পরিবার,
তার ছেলে আর তার নাতি বা হবু নাতি সবাইকে বাকি জীবন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পেই
কাটাতে হবে!
-- একাধিক সূত্রানুযায়ী উত্তর কোরিয়াতে এই মুহুর্তে প্রায় ২ লাখ আসামী বিভিন্ন কাজের ক্যাম্পে সাজা খাটছে!
-- উত্তর কোরিয়ার কারাগারের ভয়াবহতা ঠিক কতখানি? তা জানার আগ্রহ আমাদের
বৈকি, সারা দুনিয়ার মানুষেরই আছে। তবে ২০১৪ সালে দ্য ইউনাইটেড নেশন্স
ইনকোয়ারি ইনটু হিউম্যান রাইটস অ্যাবিউজেস কর্তৃক প্রকাশিত কিম কোয়াং-ইল
নামে প্রাক্তন এক রাজনৈতিক বন্দীর করা ৮টি পেন্সিল স্কেচ প্রকাশ করে সারা
দুনিয়াতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। শিউরে উঠেছিল সমগ্র বিশ্বের মানুষ। যেখানে
উত্তর কোরিয়ার কারাগারের ভিতরের অবস্থা ফুটিয়ে তুলেছিলেন কিম কোয়াং-ইল।
---উত্তর কোরিয়ার কারাবন্দীদের পান থেকে চুন খসলেই তাদের ৬০সেমি উঁচু আংটায়
এভাবে উল্টো করে হাত বেঁধে রাখা হয়, যতক্ষণ না সে রক্তবমি করে।
-- সেখানে জেলে খুব কমন একটি শাস্তি হচ্ছে ‘কাল্পনিক মোটরসাইকেল’। তাদের দুই
হাত উঁচু করে ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনো কখনো শরীরের
বিভিন্ন অঙ্গে, যেমন- হাতে, অন্ডকোষে ইত্যাদিতে ওজন বেঁধে দেওয়া হয়।
-- ক্ষুধা-তৃষ্ণায় জর্জরিত অসুস্থ কারাবন্দীরা যারা মারা যায়, তাদের লাশের
ঘরে দিনের পর দিন এভাবে ফেলে রাখা হয়। যতদিন গাড়ি ভরার মত লাশ না জমা হয়
ততদিন এভাবেই পড়ে থাকে। অনেকের মৃতদেহ এখান থেকেই ইদুরে খেয়ে ফেলে।পরিমানমত লাশ জমা হলে তা পাহাড়ের চুড়ায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
--খাদ্য হিসেবে তাদের বিভিন্ন জিনিস দেওয়া হয়, যার ভিতরে সিদ্ধ পচা শসা
অন্যতম। যদি কেউ খেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে তবে তাকে ১২০সেমি লম্বা ও ১০০সেমি
চওড়া ছোট লোহার সেলে রাখা হয়, যেখানে না পারা যায় বসা, না পারা যায়
শোয়া। মাঝে মাঝে এত অখাদ্য দেওয়া হয় যে তা ইদুরেও খায় না।ক্ষুধার্ত কারাবন্দীরা কখনো কখনো খাবারের জন্য এতটাই বেপরোয়া হয়ে যায়,
যে হাতের কাছে সাপ-ব্যাঙ-ইদুর যা পায় তাই খায়। এভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে
মৃত্যুবরণ করে। কিম কোয়াং-ইল নিজেও এসব খেয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।
--জেলে নিজ কক্ষে ঢুকতে গেলে তাদের ১০সেমি উঁচু ছোট দরজা দিয়ে ঢুকতে হয়।
এতে করে তাদের হাটু ও কনুইয়ে ভর দিয়ে ঢুকতে হয়। সাথে বুট জুতোর লাথি তো
আছেই। কারণ বলা হয়, জেলে ঢোকা মাত্র তুমি আর মানুষ নেই, তুমি পশু হয়ে
গেছো।
--- রুম ৩৯(মাঝে মাঝে বলা হয় ব্যুরো ৩৯) তাদের বিভিন্ন গোপন সংগঠন এর ভিতর
সবচেয়ে গোপনীয়তাপুর্ন। উত্তর কোরিয়ার নেতার জন্য ফরেন কারেন্সি কিভাবে
সংগ্রহ করা যায় তার বিভিন্ন মেথড খোঁজার জন্য এটা তৈরি করা হয়। ১৯৭০ সালে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র
কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে
ইন্স্যুরেন্স ফ্রডের জন্য এই সংস্থাটিকে দায়ী করা হয়। এমনকি আমেরিকান
ডলারের নকল প্রতিলিপি তৈরির অভিযোগও আছে এই সংস্থার উপর।
আপনারা কি সুপার ডলারের নাম শুনেছেন??
যাদের জন্য ব্যাপারটি নতুন তাদের জন্য বলছি এগুলো হচ্ছে আমেরিকান ডলারের
নকল ভার্সন অথবা জাল ডলার যেটি পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থা অথবা আমেরিকার
মত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে
ভয়ংকর বিষয় হলো, এগুলো ছিল মূল ডলারের মতই উন্নতমানের কটন- লিনেন বেন্ড
দিয়ে তৈরি এবং আমেরিকার মুদ্রার অনেক সিকিউরিটি ফিচার এখানে রিক্রিয়েট করা
হয়েছিল। এই পুরো ব্যাপারটার জন্য রুম ৩৯ এর দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছিল
সরাসরি। বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং সুইস ব্যাংকের কিছু
একাউন্টের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে ইন্সিওরেন্স ফ্রডের জন্য এই অরগেনাইজেসনটি
দায়ী। যেখানে পৃথিবীর সব বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো সবসময়ই এদের কাছে
নাকানি চুবানি খায় হর হামেশাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের তাদের আস্তানায়
ঢোকার কল্পনা নেহাতই হাস্যকর।
--বিশ্বাস করা হয় যে সুইজারল্যান্ড এবং চীনে ১০ থেকে ২০ টা ব্যাংক একাউন্ট
আছে যা বিভিন্ন বেআইনি কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট যেমন জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং,
মাদকদ্রব্য পাচার এবং অবৈধ অস্ত্র বিক্রি, যা এখান থেকে পরিচালনা করা হয়।
জনশ্রুতি অনুযায়ী এই সংগঠনের ১২০ টা বিদেশী বানিজ্য কোম্পানি আছে যেগুলো
এটা অপারেট করে। ক্ষমতাশীল পরিবারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রনে এগুলো পরিচালিত
হয়, যারা সুস্পষ্টভাবে কোন ধরনের বেআইনি কাজের সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্ট
থাকার দায় অস্বীকার করে। বিশ্বাস করা হয় রুম ৩৯ উত্তর কোরিয়ার রাজধানী
পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষমতাশীল ওয়ার্কার্স পার্টি বিল্ডিং এর ভিতরে অবস্থিত, কিন্তু
নিশ্চিতভাবে কেউ জানেনা।
এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, অনেকের পক্ষে কখনো এই ‘রুম ৩৯’ এ প্রবেশ করা
সম্ভব নয়। কারণ এটি যে দেশে অবস্থিত; সেই উত্তর কোরিয়ায় স্বাধীনভাবে
ওয়েবসাইট ব্যবহার করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর চেয়েও আশ্চর্যজনক সত্য হলো-
খোদ উত্তর কোরিয়ারও খুব কম লোকই এখানে প্রবেশ করতে পেরেছেন। কেননা রুম
৩৯-কে সেই দেশের সব অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র বলা হয়।তবে অফিসিয়ালি এটি কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টির ‘সেন্ট্রাল কমিটি ব্যুরো
৩৯’ নামে পরিচিত। এছাড়া এই কক্ষটি সব অবৈধ কাজকর্মের কেন্দ্র হিসেবে
পরিচিত।
এছাড়াও রুম ৩৯-কে ‘কোর্ট অব ইকনমি’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। এই
স্থাপনাটি তৈরি হয় ১৯৭০ সালে। বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং
উনের জন্য সব বিদেশি মুদ্রা কেনাকাটা এখানেই করা হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment