2011 সালে এক অভিযাত্রী দল হন্ডুরাসের লা মসকুইটো অরণ্যে কিংবদন্তি লস্ট সিটি অফ দ্য মাঙ্কি গড বা হারিয়ে যাওয়া মাঙ্কি গডের শহর আবিষ্কার করে বা খুঁজে পায়।
বলা হয় যে এই শহরে অ্যাড এক্সট্রা পনেরো কুড়ি সাল অব্দি দখল করে রেখেছিল এবং তারপর এক মাংস খেকো রোগের প্রাদুর্ভাব হয় এবং তারপর থেকে এটি পরিত্যক্ত হয়ে গেছিল এবং কারোর পা এখানে পড়েনি।
এই আবিষ্কারটি সত্যিই খুব চমকপ্রদ ছিল, আরও অবাক করা বিষয় এসে দাঁড়ায় যখন সেই দলটি বুঝতে পারে যে তারাও সেই মাংসখেকো রোগের স্পর্শে এসেছিল। তাদের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার দরকার ছিল নয়তো তারা তাদের মুখ হারিয়ে ফেলতে পারতো। প্রেস্টন নামক এক অভিযাত্রী পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে জানায়, " এই প্যারাসাইট গুলো মুখের মিউকাস মেমব্রেনের দিকে মাইগ্রেট করে এবং আপনার নাক থেকে শুরু করে বাকি সবকিছু খেতে শুরু করে। এর ফলে আপনার নাক ঝুলে যায় আপনার ঠোঁট ঝুলে পড়ে যায় এবং আপনার মুখটা একরকম চুপসে যাওয়া অদ্ভুত রকমের দৃশ্য দাঁড়িয়ে পড়ে।"
এই শহরটিতে তদন্ত করার সময় অভিযাত্রী দলটি এক প্রকার বিষাক্ত সাপের মুখোমুখি হয়, সবগুলি রাত্তিরে আগুন থাকা সত্বেও তাদের ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল। অভিযাত্রী দল বরাতজোরে সাপের ছোবলের শিকার হওয়া থেকে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছিল। তারা অনেকগুলি রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিতে সক্ষম হয় এবং স্থির করে আর কোনদিনও সেই শহরে ফিরে আসবেনা, কারণ এটা খুবই ভয়ানক ছিল, যদিও তারা এ বিষয়ে একমত যে সেখানে আরও অনেক রহস্যময় তথ্য লুকিয়ে আছে। কাছাকাছি কোন বসতি না থাকলেও দূরবর্তী কিছু গ্রামের বাসিন্দাদের মতে এগুলো সেই মাংকি গডের প্রচেষ্টা যে অভিযাত্রী অথবা আগুন্তকদের পথে বাধা সৃষ্টি করে তাদের সেই হারিয়ে যাওয়া শহরের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়া। এর ফলে এই শহরটি এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment