মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং এশিয়া জুড়ে বিভিন্ন স্থানে উজ্জ্বল, কখনো কখনো ডানা যুক্ত প্রাণীর দেখা পাওয়া গিয়েছে। অদ্ভুত এক সত্তাকে সিরিয়ার বিপর্যস্ত রাস্তায় আহতদের নিরাপদ স্থানে যেতে সাহায্য করা থেকে শুরু করে উজ্জলাকার মানুষ্যজাতীয় প্রাণীকে মসজিদে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে এবং কেবলমাত্র ক্যামেরাতেই এদেরকে দেখা যায়। এছাড়া বিশালাকৃতি ডানাযুক্ত প্রাণীকে সৌদি আরবিয়া এবং ইসরাইলের আকাশে উড়ে যেতে দেখা গেছে। এই সাক্ষ্যগুলি ঈশ্বরের ফেরেশতাকে পাঠানোর বিষয়টিকে মনে করতে বাধ্য করে। কিন্তু কিছু মধ্যযুগীয় জাদুকরদের মত অনুযায়ী এই প্রাণীগুলি মনুষ্যদ্বারাও তলব করা যেতে পারে।
এখানে প্রশ্ন হল এই প্রাণীগুলি কি শান্তিপ্রিয় সত্তা নাকি কোন অশুভ শক্তি?
আরব এবং ইসলামিক বিভিন্ন প্রথায় এবং বিভিন্ন প্রাচীন ম্যাজিক বা যাদুবিদ্যায় একটি মিল পাওয়া যায়, যেখানে অনেক সময় ফেরেশতা, জীন, দানব এবং অন্যান্য সত্তাকে ডেকে পাঠানো হয়।
বিশেষ করে যখন মুসলিম বা ইসলামিক প্রথার মধ্যে যখন এই অতি মানবিক শক্তির বা সত্তার কথা ওঠে, তখন তিন প্রকার জীবনের উল্লেখ পাওয়া যায় যাদের অদেখা জগতের অংশ হিসেবে মনে করা হয়।
এরা হলো 'শয়তান্স' যাদেরকে টেকনিক্যালি দুষ্ট জ্বীন অথবা পশ্চিমে যাদের 'ডেমন' বলে এবং এঞ্জেল বা ফেরেশতা বা পরি।
প্রথমত আমরা 'ফেরেশতা' বা এনজেল নিয়ে আলোচনা করি।
মুসলিম মত অনুযায়ী ফেরেশতা অথবা 'মালায়খা' যাদেরকে মনুষ্য জাতির পূর্বের সৃষ্টি করা হয়েছে, ঈশ্বরের আদেশ মানার জন্য এবং আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য।
যদিও কিছু মধ্যযুগীয় আরবিক জাদুকর বা সাধকদের মতে এই সত্তা গুলিকে যাদুকরি বিদ্যার সাহায্যে ডাকা যেতে পারে। যাদুবিদ্যার সংজ্ঞা হিসাবে আমাদের মনে বিভিন্ন বিতর্ক দেখা দিতে পারে কিন্তু এই পোস্টে আমরা যাদুবিদ্যাকে একটি লুকায়িত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অংশ হিসাবে ধরে নিতে পারি যা মানুষের বোঝাপড়ার বাইরে।
যেহেতু বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্রমাগত উন্নত হয়ে চলেছে এবং সাথে সাথে জাদুবিদ্যা সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে তাই এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে জাদুকররা ভবিষ্যতের বা সময়ের তুলনায় এগিয়ে যাওয়া প্রযুক্তির কাছে পৌঁছে গিয়েছেন বা ব্যবহার করেন যার ফলে এগুলি বর্তমানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝা যায় না।
লেখক C. Clark এর মতে যে কোন যথাযথ উন্নত প্রকারের প্রযুক্তিকে ম্যাজিক বলা যেতে পারে।
ইসলামে ম্যাজিক বা জাদুর ব্যবহার করা যেখানে জ্বীনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয় সেটি অনুমোদিত নয়; যেহেতু জিন এবং মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা অনুমোদিত নয়।
জাদুগরিবিদ্যা, যাকে বলা হয় 'ulum al-ghayb' যার মধ্যে ভবিষ্যৎবাণী, নক্ষত্র বিদ্যা এবং ভাগ্য নির্ণয় করা যায়।
প্রাচীনতম যাদুবিদ্যার মন্ত্রগুলি প্রাচীন ইরাকে কাদামাটির ফলকের উপর খোদাই করা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য প্রাচীন সভ্যতা এবং স্থানের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় জাদুকরী বিদ্যার মন্ত্র গুলি মাদুলি বা কবজে খোদাইকৃত অবস্থায় এবং অন্যান্য বস্তুর উপর পাওয়া গেছে; এদিকে রোমানরা বিশ্বাস করতেন জাদুকরি বিদ্যার বইগুলি পার্শিয়ানরা আবিষ্কার করেন এবং কোন কোন জাদুকরদের মতে ফেরেশতাকে ডেকে পাঠানোর ম্যাজিক গুলি প্রফেট সলোমনও চর্চা করতেন।
প্রাচীন জগতের ফেরেশতা সম্পর্কিত সবচেয়ে বিখ্যাত লেখাগুলি পাওয়া গিয়েছিল 'ডেড সী স্ক্রোল' এর 'বুক অফ ইনক' থেকে।
এছাড়া কিছু কম পরিচিত লেখাও পাওয়া গিয়েছে যেমন ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে Zakariya al-Qazwini এর লেখা বই ʿAjāʾib al-makhlūqāt wa-gharāʾib al-mawjūdāt'। যদিও বইটি যাদু বিদ্যার থেকে বেশি ক্রিপ্টো জুলজি এবং কসমোলজি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও লোককাহিনীর ভিত্তিতে এটি একটি এনসাইক্লোপিডিয়া হিসেবে তৈরি করা হয়েছে; এখানে আল কাজুনি ফেরেশতাদের শরীরের আকৃতি নিয়ে বিবরণ দিয়েছিলেন এবং তারা কি প্রকার প্রাণী এবং কোথায় থাকে সে সম্পর্কিত আলোচনা করেছিলেন। যদিও আরও একটি বিপদজনক লেখা যা পাওয়া যায় 'Shams al-Ma'arif' নামক বইটিতে যা থেকে মানুষকে একদম দূরে থাকা উচিত। ১৩ শতাব্দীতে লেখা এই বইটির লেখক ছিলেন আলজেরিয়ান পন্ডিত Ahmad al-Buni। এটি ছিল সমকালীন এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী জাদুকরী মন্ত্রের বই।
আমি যা বুঝতে পেরেছি এই লেখাগুলি কেবলমাত্র কাগজে লেখা অবস্থাতেই পাওয়া যায় মাগরিব এবং লেবানন অঞ্চলে এবং তাও প্রচুর পরিমাণে সংক্ষেপে ও এডিট করার পর। এই সংস্করণগুলি আসলটির থেকে অনেকটা পিছিয়ে - যেটি তিনটি বিশাল খণ্ডে লেখা হয়েছিল। এই অঞ্চলগুলির অনেক স্থানেই এটি নিষিদ্ধ ছিল; তার কারণ আছে যদিও এটি দাবি করে এটি তার পাঠকদের ফেরেশতা জাতীয় সত্তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে, যা মানুষের উপকারের কাজে আসবে। ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই বইটি বা এই ধরনের বইগুলি ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপদজনক। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে যারা জাদুকরি বিদ্যার সাহায্যে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে কাজে লাগাতে চাইবে তার ফলে কিছুই হবে না কোন কাজ হবে না। যদিও তাদের মধ্যে কয়েকজনের সে যতই কম হোক এই বই ব্যবহারের ফলে গোলমেলে অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটবে যেমন রহস্যময় মৃত্যু, অসুস্থতা - যার ব্যাখ্যা করা যায় না এবং মনুষ্য প্রকৃতির অস্বাভাবিক রকমের সত্তার উদ্ভব ঘটবে। বলা হয়, এই লেখাগুলি অভিশপ্ত এবং এই অভিশাপ বংশধররাও বহন করতে পারে। সাধারণভাবে যদি বলি এটা মনে করা হয় যে এই ধরনের বইগুলি দ্বারা কেবলমাত্র দুষ্ট বা অশুভ জিনকেই ডেকে পাঠানো যায় যেহেতু ভালো ও নিরপেক্ষ জিনদের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার কোন উৎসাহ থাকে না।
এদিকে ফেরেশতা যারা এমন একপ্রকার পবিত্র এবং অত্যন্ত শক্তিশালী প্রাণী যাদের উপর এই ধরনের লেখার কোন প্রভাবই পড়া সম্ভব নয় এবং কেবলমাত্র ঈশ্বর নিজেই তাদের ডেকে পাঠাতে পারেন। অবশেষে এগুলি ইজিপশিয়ান স্বঘোষিত জাদুকর 'আব্দুল ফাতে আল সাঈদ আল তখী'র কিছু লেখায় নিয়ে যায়। মনে করা হয়, তার জাদুর বইগুলি সবচেয়ে শক্তিশালী লেখাগুলির মধ্যে একটি। তিনি এক রহস্যময় ব্যক্তি ছিলেন যিনি জ্যোতির্বিদ্যা, জাদু এবং আত্মা বহিষ্করণের উপর ত্রিশটির উপর বই লিখেছিলেন।
তখী বিংশ শতাব্দীর সমসাময়িক লেখক ছিলেন। যদিও তার পরিচয় এবং জীবনী রহস্যে ঘেরা এমনকি আরব গবেষকদের কাছেও।
তার অন্যতম একটি লেখা ছিল হারুত এবং মারুত কে নিয়ে এবং হাজার বছর আগের মানুষদের জন্য লেখা কালো জাদুর পুথি।
সাধারণভাবে যদি বলি হারুত এবং মারুতের কাহিনী ইসলামিক শিক্ষায় সবচেয়ে প্রচলিত বা বিখ্যাত কাহিনীগুলির মধ্যে একটি যাতে ম্যাজিকের কথা বলা হয়েছে এবং কেন এগুলি ক্ষতিকারক তা বোঝানো হয়েছে। ঈশ্বর মানুষ এবং মনুষ্যত্বের উপর পরীক্ষা করার জন্য এই দুই ফেরেশতাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। প্রচলিত এক ট্র্যাডিশন মতে এই দুই ফেরেশতা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ঠিক যেমন মানুষ দুর্নীতির প্রতি আসক্ত হয়।
এই মতে, পৃথিবীতে আসার আগে একদল ফেরেস্তা মানুষের অপরাধ বা খারাপ কাজকে দেখে আমাদের এই দুর্বলতার প্রতি উপহাস করতো। ঈশ্বর তখন ঘোষণা করেন যে, একই পরিস্থিতিতে থাকলে ফেরেশতারাও একই রকম আচরণ করবেন যেমন মানুষরা করছেন এবং তিনি প্রস্তাব করেছিলেন, কিছু ফেরেশতাকে পৃথিবীতে পাঠানো হবে এটা দেখার জন্য যে কতটা ভালোভাবে তারা ধর্ম, ব্যভিচার এবং মদ্যপান থেকে নিজেকে আগলে রাখবে। এরপর পৃথিবীতে হারুত এবং মারুত কে এক মহিলা দ্বারা উত্তেজিত করা হয়, যার ফলশ্বরূপ তারা সেই সময়ের সাক্ষী থাকা এক মানুষকে হত্যা করে ফেলে। তারা মানুষের মতনই সমসাময়িক আচরণ করেছে এটা বুঝতে পারার পর এই জুড়ি পৃথিবীতে নিজের সাজা মেনে নেয় যেটি হল, ব্যাবিলনে বিচারের দিন অর্থাৎ কায়ামত পর্যন্ত তাদের উল্টো করে পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হবে। যদিও এই কাহিনীটি ইসলামিক এস্কেটোলজির একটি অংশ, কিন্তু ফেরেশতা মানুষদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করে সেই সম্পর্কিত মৌলিক যে ধারণা আছে তার সম্পূর্ণ বিরোধী। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের থিওরি অনুযায়ী হারুত এবং মারুত আসলে মানুষ ছিল যারা শয়তানের থেকে ম্যাজিক শিখেছিল যেহেতু তাদের আচার-আচরণ একদমই ফেরেশতাদের মত ছিল না। এই কারণে অনেক ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা কাহিনীর এই অংশটিকে মানতে চান না এবং তাদের মতে এটি বানানো ঘটনা এবং কাহিনীটি zoroastrianism এবং জুডাইজম থেকে নেওয়া হয়েছে।
ক্রিশ্চান প্রথাতেও ফেরেশতা এবং ম্যাজিকের সম্পর্ক এবং তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষতি করার কাহিনী পাওয়া যায়। 'বুক অফ ইনক' অনুযায়ী মানুষদের ওপর নজর রাখার জন্য নজরদারি ফেরেস্তাদের পৃথিবীতে পাঠানো হয় এবং খুব দ্রুত তারা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে যার ফলে স্বর্গে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এর ফলে অনেক ফেরেশতাদের বহিষ্কৃত করা হয় যার ফলে তারা ডেমন বা জিনে পরিণত হয় এবং ধীরে ধীরে এর ফলে মানুষদের ম্যাজিকের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করার সূত্রপাত হয়। এই প্রথা থেকে এনোখিয়ান ম্যাজিকের ধারণার জন্ম হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে এনোখিয়ান ম্যাজিক হচ্ছে এখনো পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী যাদুবিদ্যা। এটির ভিত্তি হল ১৬ শতাব্দীতে জন ডি এবং এডওয়ার্ড কেলির লেখনি থেকে, তাদের মতে এই যাদুবিদ্যাটি তারা সরাসরি ফেরেশতাদের থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
যদিও বলা হয়ে থাকে যারাই এই ধরনের জাদুবিদ্যার চর্চা করে থাকেন কখনো না কখনো তারা এরই শিকারে পরিণত হয়, সে তারা দানব, জীন অথবা ফেরেশতা যাকেই ডেকে পাঠাক না কেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, পল ফস্টারের বিষয়টি; তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন সাধক এবং জাদু বিদ্যার অনুশীলনকারী ছিলেন যিনি দাবি করেন এনখিয়ান ম্যাজিক খুব ভয়ংকর এবং তিনি ২৫ টির উপর ঘটনা জানেন যেখানে এই বিদ্যার অনুশীলনকারীরা গম্ভীরভাবে মস্তিষ্ক এবং শরীরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থা অনুভব করেছিলেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন বিখ্যাত অকালটিস্ট অ্যালেস্টার ক্রাউলি।
ঠিক একই রকম ভাবে আলবার্টাস ম্যাগনাসের কথা বলা যায় যিনি ১৩ শতকের একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান ভিক্ষু ছিলেন; এই সময় অনেকগুলি বিখ্যাত ফেরেশতাকে ডাকার ঘটনা শোনা যায় যেগুলি নক্ষত্রিক যাদুবিদ্যার একটি রূপ ছিল এখানে যতই পজিটিভ পবিত্র আচার-আচরণ পালন করা হোক না কেন এর মাধ্যমে ডেমন বা জিনদের ডাকা যেত।
এটি ইসলামিক ধারণার সাথে অনুরুপ অর্থাৎ ফেরেশতাদের মানুষের যাদু বিদ্যার দ্বারা চালিত বা নিয়ন্ত্রিত করা যায় না এবং যে প্রকারের জগদবহির্ভূত সত্তার সাথেই এই ধরনের বিদ্যার চর্চাকারীরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করুক না কেন এগুলি শেষ পর্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির হবে এবং অবশেষে তাদেরই ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।
অনেক মানুষের প্রশ্ন থাকে যে বিভিন্ন জ্বীনরা বিভিন্ন ধরনের ধর্ম কেন পালন করবে? অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী এই সত্তাদের ঈশ্বরের আসল রূপের জ্ঞান থাকা উচিত এবং তাই জন্য তারা সকলে একই রকম ধর্ম পালন করা উচিত । এর জবাবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর 'এম থিওরি' কে ব্যবহার করা যেতে পারে, এইভাবে আমাদের বাস্তবতার সংজ্ঞাও দেওয়া যেতে পারে। যদি আমরা ধরে নিই মানুষ, জীন এবং ফেরেশতারা তিনটি আলাদা আলাদা ডাইমেনশনে থাকে যেগুলি একে অপরের থেকে ভিন্ন। অনেক থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট এর মত অনুযায়ী মানুষরা কেবলমাত্র ৩ ডায়মনেশন যুক্ত প্রাণী, যারা চতুর্থ ডাইমেনশন অর্থাৎ সময়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রতিটা উপরের দিকের ডাইমেনশন নিচের দিকের ডাইমেনশন গুলি থেকে গোপন বা লুক্কায়িত থাকে তাহলে আমরা যদি মনে করি জিনরা তৃতীয় ও চতুর্থ ডাইমেনশনের মধ্যে অবস্থানকারী তাহলে তারা আমাদের মত সময়ের দ্বারা এইরকম ভাবে নিয়ন্ত্রিত নয়। যদিও তারা ফেরেশতাদের তুলনায় নিচের ডাইমেনশনে অবস্থানকারী ফলে এরা তাদের দেখতে পায় না। তাই তাদের দিক থেকে দেখতে গেলে তারা মানুষের থেকে অজানা বা অদেখা জগত সম্পর্কে সামান্য বেশি জানে। তবুও যেহেতু তারা আমাদের থেকে বেশি জানে তাই তাদের এই ক্ষমতা আছে যাতে তারা বিভিন্ন ভঙ্গিমা করে এবং আমাদের চিন্তা ভাবনায় হেরফেরের মাধ্যমে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে তারা ফেরেশতাদের মতই, যেটা তারা নয়।