পশ্চিম আজারবাইজানের 'তাখত ই সুলেমায়ার' তিন কিলোমিটার পশ্চিমে দানবদের কারাগার অবস্থিত। প্রাচীন প্রবাদ অনুযায়ী, এই স্থানটি রাজা সুলেমান বা প্রফেট সুলেইমা রাক্ষসদের বন্দী রাখতে ব্যবহার করতেন।
তাখত ই সুলেমায়ার |
পশ্চিম আজারবাইজানের 'তাখত ই সুলেমায়ার' তিন কিলোমিটার পশ্চিমে দানবদের কারাগার অবস্থিত। প্রাচীন প্রবাদ অনুযায়ী, এই স্থানটি রাজা সুলেমান বা প্রফেট সুলেইমা রাক্ষসদের বন্দী রাখতে ব্যবহার করতেন।
তাখত ই সুলেমায়ার |
আমাজন রেইনফরেস্টে 2 একর জমি জুড়ে একটি পাহাড় আছে যাকে 'মন্টেগ্রেনেড' বলা হয় এটাকে দেখে পাহাড় ছাড়া অন্য কিছু মনে হতো না। একটু বেশি খাড়া মনে হতো কিন্তু এর বেশি নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী জুড়ে এটিকে উপেক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল এরপর ধীরে ধীরে পেরুর শহরগুলি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমাজনের জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে এই স্থানটিতে কৃষকরা তাদের ঘর স্থাপন করার জন্য কাজ শুরু করে।
যখন বাড়ি তৈরি করার জন্য তারা খনন করতে শুরু করলো, তারা বেশ কিছু পুরনো পাত্র খুঁজে পেল। তারা বুঝতে পারলো এগুলো বহু পুরনো; পরবর্তীকালে পরীক্ষা করার পর জানা গেল এগুলি হাজারখানেক বছরের পুরনো। স্বাভাবিকভাবে এরপর তাদের জমি গুলি একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইটে পরিণত হল।
2010 সালে আর্কিওলজিস্ট কুইরিনো অলিভেরা এবং তার গবেষকদল মন্টেগ্রেনেড পাহাড়টিতে খননকার্য শুরু করতে লাগলো; খুব শীঘ্রই তারা বুঝতে পারলো এই স্থানটি একদমই একটি পাহাড় নয়।
ইউনাইটেড স্টেটস এর উটাহা প্রদেশের দক্ষিণ প্রান্তে মরু অঞ্চলের উপর দিয়ে বিগহর্ণ শিপ নামক এক প্রজাতির মেষ জাতীয় প্রাণীর সার্ভে করার জন্য একটি হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছিল। ঠিক এই সময় এই অত্যন্ত দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে হঠাৎ করে তাদের চোখে পড়ে একটি মসৃণ লম্বা স্থাপত্য। উটাহা ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক সেফটি অ্যান্ড ডিভিশন অফ ওয়াইল্ডলাইফ রিসোর্সেস এর সদস্যরা এই স্তম্ভটি 18 নভেম্বরের দেখেছিল বলে রিপোর্ট করেন। এরপরে কিছু সদস্য সেটি তদন্ত করার উদ্দেশ্যে ল্যান্ড করেন। এই বস্তুটিকে দেখে তারা অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে যান; এটি স্টেইনলেস স্টিলের মতো ধাতুতে তৈরি এবং ত্রিকোণাকার এই বস্তুর উচ্চতা 10 থেকে 12 ফুট ছিল এবং এটি এমন ভাবে পাথরের মাঝে ইনস্টল করা হয়েছে যা যথেষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব নয়।
উতাহার মনোলিথটি |
গ্যারি ম্যাককিনন 1966 সালে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ ছিল। 14 বছর বয়সে প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার পর তিনি তা শিখতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে 'ওয়ার গেমস' এর মত চলচ্চিত্র এবং হুগো কর্নওয়ালের 'দা হ্যাকারস' হ্যান্ডবুক থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি হ্যাকিংএর জগতে আরো গভীরে যেতে থাকেন; একটা সময় তিনি এর নেশায় পড়ে যান। একটি ছোট কোম্পানিতে তিনি সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে চাকরি করতেন কিন্তু তার এই হ্যাকিং এর প্রতি আকর্ষণ তার কাজের প্রতি সময় কমিয়ে আনা এবং হ্যাকিং এর প্রতি সময় বাড়িয়ে যাচ্ছিল ফলস্বরূপ, তিনি কাজ হারান।
যদিও এই সময়ে তিনি কিছুটা স্বনির্ভর হওয়ায় ততটা বিব্রত হননি বরং তার শখের প্রতি আরো বেশি সময় ও সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি লন্ডনে তার প্রেমিকার আত্মীয়র বাড়িতে অর্থাৎ যেখানে তার প্রেমিকা থাকতো সেখানে তার সাহায্যে নিজের ক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করতে থাকেন। নিজের হ্যাকার নেম রাখেন 'সোলো'।
কিছু সময় ধরে এটি তার কাছে কিছুটা শখ বা আকর্ষণীয় গেমের মত ছিল কিন্তু পরবর্তীকালে এটি তাকে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মিলিটারি কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য বিখ্যাত করে তোলে যা ম্যাককিননকে এক অন্ধকার, অত্যন্ত গোপন মিলিটারি প্রজেক্ট, এলিয়েন এবং ইউ এফ ও র জগতের সাথে জড়িয়ে ফেলে।
আমরা জানি অনেক ঘটনা আছে যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের সরকার বাইরে বের হতে দেয় না বা ছড়িয়ে পড়তে দেয় না এবং তা গোপন করে রাখে বা চাপা দিয়ে দেয়। 1990 সালের শেষের দিকে ম্যাককিনন এরকমই কিছু প্রমাণ খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন এবং তিনি স্থির করেছিলেন যে তার হ্যাকিং এর দক্ষতা এই বিষয়ে কাজে লাগাবেন। একসময় তিনি বলেছিলেন, "আমি এইসকল 'কন্সপিরেসি থিওরি' বা 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' বিশ্বাস করিনা; তাই আমি ঠিক করেছিলাম যে আমি নিজে বিষয়গুলি দেখব।"
তিনি তার এই মিশনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে নিয়োজিত রেখেছিলেন এবং নিজের সমস্ত সময় সরকারি এবং মিলিটারি ফাইল এবং সিস্টেমের তল্লাশিতে ব্যয় করতে থাকলেন। একটা সময় এগুলি যেন তাকে বলতে গেলে গিলে ফেলে ছিল। প্রসঙ্গত বলে রাখি, তার এই কাজগুলি সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল।