27 বছর আগের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা পরিতক্ত হওয়া এই শহরটিকে নিয়ে প্রচুর অসাধারণ কাহিনী রয়েছে যাতে এই শহরের বাস্তব গুলি আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়ে দিতে পারে। শহরটি প্রায় 213 মিটার/126 মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত যাতে প্রায় 33 হাজার মানুষের বসতি ছিল, যা এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্ব পূর্ণ স্থান বানিয়েছিল। এই শহরের কষ্টকর, ময়লা এবং থাকার পক্ষে অযোগ্য অবস্থার জন্য কলুন শহরটিকে অন্ধকারের শহর বলা হতো যেখানে কোন আইন চলতো না।
এই শহরটি 1810 স্থল সালে হংকংয়ে একটি দুর্গ শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় যেটি হল চীন এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তৎকালীন জটিল সম্পর্কের ফলাফল। 1898 সাল থেকে ক্লুন শহর ব্রিটিশাধীন হংকং এলাকায় ঘেরা একটি ছোট চাইনিজ ভূমি হিসাবে থেকে গিয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবে এই স্থানটি ধীরে ধীরে বিকশিত হতে শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে আরও মানুষ এখানে বসবাস করতে শুরু করেছিল। এই স্থানটি আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল তার কারণ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন এবং গ্রেট ব্রিটেন কারো কাছেই এই শহরটির উপর প্রভাব বিস্তার করার মত শক্তি বা ইচ্ছা কোনটি ছিল না; তাই চাইনিজ শরণার্থী যারা হংকংয়ে বসবাস করতে সমর্থ ছিলনা তারা এখানে বসবাস করতে শুরু করল।
কলুন শহরে পূর্বে বিদ্যমান বিল্ডিংগুলোর সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে আরো নির্মাণ গড়ে উঠেছিল। ফলে একসময় দেখা গেছে প্রায় 15 তলা উঁচু বিল্ডিংগুলির মাঝামাঝি দূরত্ব 2 মিটারের বেশি ছিল না। যার ফলে রাস্তা গুলিতে সূর্যের আলো প্রবেশ করতোনা এবং ঝুলন্ত বিভিন্ন তারের বান্ডিলের তলা দিয়ে মানুষকে ঝুকে ঝুকে চলতে হতো। 1990 সালে এই শহরে 500 টি বিল্ডিং পাওয়া গিয়েছিল যাতে মাত্র দুটি এলিভেটর ছিল এবং বিল্ডিং গুলির উপরের তলা গুলির মধ্যে একপ্রকার ব্রিজের মত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল ফলে বসবাসকারীদের পাশের বিল্ডিং গুলোর মধ্যে যাওয়ার জন্য নিচের তলায় নামতে হতো না।
এই শহরটি কোন পরিকল্পনা ও নিয়ম ছাড়া তৈরি করা হয়েছিল এবং পর্যাপ্ত জানালা এবং কোন প্রকার ভেন্টিলেশন সিস্টেম পরিকল্পনা করা হয়নি। কোন যুক্তি ছাড়া এ বিস্ময়কর স্থাপত্যটি এখনো নির্মাতা এবং স্থাপত্যবিদ্দের মনে কৌতূহল জাগায়। এখানকার অ্যাপার্টমেন্ট গুলির আয়তন 4 বর্গমিটার থেকে 16 বর্গ মিটার পর্যন্ত আয়তনের ছিল এবং একই সাথে বাসস্থান এবং কর্মস্থান হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
No comments:
Post a Comment