Sunday, 11 March 2018

ভারতীয় খাবার

অনেকে ভাবতে পারেন আমরা ভারতীয় তো ভারতীয় খাবারের বিষয়ে এটুকু তো জানিই। হ্যাঁ তা ঠিক। কিন্তু ভারতীয় খাবারের বিষয়ে এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। এই তথ্যগুলি বেশ মজাদারও বটে।
ভারতীয় খাবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মশলা। শুকনো মশলা, বাটা মশলা, কত রং কত স্বাদ, কত সুগন্ধ।

--ভারতীয় খাবারে মূলত ৬ ধরণের স্বাদ পাওয়া যায়। মিষ্টি, টক, নোনতা, ঝাল, তেতো এবং কষাটে খাবার। কিন্তু সবচেয়ে মজাদার বিষয় হল কোনও একটি খাবারে আপনি এই ৬টি স্বাদই একসঙ্গে পাবেন না।
--প্রত্যেক ভারতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে মশলার ব্যবহার হয়। এই প্রত্যেক মশলার বিবিধ গুণাবলী রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যকে সুফল প্রদানকারী গুণও রয়েছে। ভারতের মতো কোনও দেশে এত রকমের এত রংয়ের মশলা পাওয়া যায় না।
--মিষ্টির ব্যবহার মিষ্টির ব্যবহার পর্তুগীজরা চিনির ব্যবহার প্রথম ভারতে শুরু করে তার আগে খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে মধু এবং মিষ্টি ফলের ব্যবহার করা হত।
Image result for indian food
--চিকেন টিক্কা মশলার রহস্য চিকেন টিক্কা মশলার রহস্য ভারতীয় এই অতি জনপ্রিয় খাদ্যটির উদ্ভব ভারতে হয়নি। যদিও এই চিকেন টিক্কা মশালার ইতিহাস নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন যুক্তরাজ্যের এক ভারতীয় রেস্তোরাঁর হেঁশেলেই প্রথম দুর্ঘটনাবশত আবিস্কার হয় এই পদটি। আবার অনেকে বলেন গ্লাসগো-য় এক মুসলিম শেফ নিজের রেস্তোরাঁয় পরীক্ষা নিরিক্ষা করে এই পদটির আবিষ্কার করেন।
--দম বিরিয়ানির উদ্ভব দম বিরিয়ানির উদ্ভব দম বিরিয়ানি হল বিরিয়ানি তৈরির একটি পদ্ধতি। অযোধ্যার নবাব নিজের রাজ্যে খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হলেন। তাই তিনি নির্দেশ দিলেন বড় বড় হাড়িতে ঢাকা দিয়ে আটা ডেলা দিয়ে আটকে গরম ভাপে রান্না করা হবে। এই পদ্ধতিতে রান্নার ফলে অনেক পরিমান খাবার একসঙ্গে কম জ্বালানি খরচ করে রান্না করা যাবে। তখন কে জানত এই পদ্ধতিই পরে 'দম' নামে রসনা জগতে শোরগোল ফেলে দেবে।
--ভারতীয় খাবারের ৩ বিভাগ ভারতীয় খাবারকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। সাত্ত্বিক (টাটকা, ফল সবজি ও জুস), রাজসিক (তেল, ঝাল, মশলায় পরিপূর্ণ খাবার) এবং তামসিক (মাছ, মাংস এবং সুরা)।
--সিঙাড়া ভারতের নয় সিঙাড়া ভারতের নয় সন্ধ্যেবেলা চায়ের সঙ্গে আলুর বা কিমা সিঙাড়ায় কামড় দিতে গিয়ে কখনও ভেবেছেন এই সিঙাড়া ভারতের নয়, ভারতের আমদানি মাত্র। দশম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম এই খাদ্যের উদ্ভব হয়। মধ্য এশিয়ার এক ব্যবসায়ী ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতে নিয়ে আসেন এই সিঙাড়া।

No comments:

Post a Comment