'টেলিপোর্টেশন' - যার মাধ্যমে পলক ফেলার মধ্যে বিস্তৃত দূরত্ব অতিক্রম করা যায়। এটি বহুকাল ধরেই সায়েন্সফিকশন গল্পগুলোতে দেখানো হচ্ছে এবং কয়েক বছর ধরে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে কিন্তু হয়তো আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই প্রক্রিয়াটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আপনারা অনেকেই টেলিপোর্টেশনকে যেরকম ভাবেন এটা ঠিক তা নয়। সাধারণত টেলিপোর্টেশনকে দেখা হয় এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে যা তৎক্ষণাৎ একজন মানুষকে বহু দূরত্বে মুহূর্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। টেলিপোর্টেশন হয়তো বহু যুগ ধরে হয়ে আসছে কোন প্রযুক্তি র ব্যবহার ছাড়াই।
টেলিপোর্টেশন কথাটা কোন খামখেয়ালী গল্প বা কল্পবিজ্ঞানের জন্য আবিষ্কার করা হয়নি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সাইন্সল্যাবগুলিতে 'কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন' এখন একটি বাস্তব গবেষণার বিষয়। কিন্তু এটা বাস্তবে হচ্ছে; বিভিন্ন রহস্যময় জিনিসপত্র বা মানুষের কোন যুক্তি ছাড়া হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া হয়তো কোনো মহাজাগতিক শক্তি দ্বারা হতে পারে যা এই বস্তু গুলিকে টেলিপোর্ট করেছিল।
বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের লেখক চার্লস ফোর্ট 1931 সালে লিখেছিলেন, 'টেলিপোর্টেশন হচ্ছে একপ্রকার স্থানান্তর কারী শক্তি যেটা মহাবিশ্বে ইতিমধ্যেই আছে এবং তার মতে এটা প্রাকৃতিক। মাঝে মাঝে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন যে প্যারানরমাল এক্টিভিটির খবর পাওয়া যায় তার জন্য হয়তো এই শক্তি দায়ী।'
প্রথম এই শব্দটি তার 1878 সালের একটি আর্টিকেল এর ব্যবহার করা হয়।
এই টেলিপোর্টেশন এর ব্যবহার বিখ্যাত সাইন্স ফিকশন ছবি 'স্টার ট্রেক' এ দেখা গেছে।
8 মার্চ 2014 সালে, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স লাইট MH৩৭০ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এত বিশাল আকৃতির বস্তু এত মানুষের সাথে কোন চিহ্ন ছাড়া কিভাবে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে! এমনকি বিভিন্ন দেশের অবস্থিত অনুসন্ধানকারী দল তাদের খুঁজে পায়নি এবং বিভিন্ন চিহ্ন থেকে মনে করা হয়েছিল যে বিমানটি অক্ষত অবস্থায় ছিল। যেমন - যখন বিমানের যাত্রীদের কল করা হয়েছিল তখন সেই ফোনগুলি থেকে সিগনাল পাওয়া গিয়েছিল; কিন্তু সেখান থেকে কোন উত্তর আসেনি এবং এই সিগন্যাল কোত্থেকে আসছে তা অনুসন্ধানকারী অধিকর্তারা বের করতে সক্ষম হয়নি।
1880 সালে ডেভিড লাঙ নামক এক কৃষকের বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী মতে রীতিমত হাওয়ায় গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা শোনা যায়। তাকে আর কখনো দেখা যায়নি। গায়েব হয়ে যাওয়ার আগে তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার আশেপাশে একটি বৃত্তাকার আকৃতির সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানা যায়। কয়েক মাস বাদে তার স্ত্রী রিপোর্ট করেন যে, তার এখনো মনে আছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে তার স্বামী কাঁদতে কাঁদতে সাহায্য চাইছিলেন।
এছাড়াও বেশিরভাগ মানুষই তাদের জীবনে কখনো না কখনো কোন বস্তু হারিয়েছেন, যেমন - হয়তো কোন ওয়েডিং রিং হাত থেকে পড়ে গেছে; কিন্তু অবাক করা ভাবে তাকে পাওয়া যায়নি। এটা যদি বাইরে হতো তাহলে অনেক স্থান ছিল যেখানে এটি হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু একটি ঘরের মধ্যে যেখানে অন্য কোন মানুষের চুরি করার সম্ভাবনা নেই। হয়তো জানালাও বন্ধ। তার মধ্যে এটি কত দূরে হারিয়ে যেতে পারে? আবার অনেক সময় কিছুক্ষণ বাদে আমরা এটিকে অবাক হয়ে চোখের সামনেই দেখতে পেয়ে যাই। হতে পারে এইটা টেলিপোর্ট একটি উদাহরণ।
কার্টিস এলিস লিখেছিলেন, আকাশ থেকে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অর্গানিক এবং ইনোরগানিক বিষয়কে পরার ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। যেমন - ব্যাঙ, মাছ, স্যাপ, কৃমি, অ্যালিগেটর, রক্ত, মাংস, পাথর, বাদাম, আর্টিফ্যাক্ট এবং আরো অনেক বস্তু, যেগুলো কখনো ব্যাঙের বা মাছের বৃষ্টি বলে বিখ্যাত হয়েছে। কিন্তু কিভাবে এগুলো হয়েছিল তা বিজ্ঞানে সঠিকভাবে যুক্তি পাওয়া যায়নি। সবসময় হারিকেনকে এর জন্য দায়ী করা যায়নি।
আইনস্টাইন ও রসেন-ব্রীজের ওয়ার্মহোল থিওরিতে এর কিছুটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।
এই বিষয়বস্তুর দাঁড়া মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন স্থানকে মহাজাগতিক সময়ের মধ্যে যুক্ত করা যায় এবং বস্তুকে পরিবহন করা যায়। 'একটা বস্তু অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে তখনই যখন সেটি অন্য সময় বা অন্য স্থানে পুনরায় দৃশ্যমান হতে পারে'।
যদি আমরা বিশ্বাস করি যে, এই রকম ঘূর্ণন গতির অস্তিত্ব আছে তাহলে সেটি যে কোন স্থানে হতে পারে হয়তো সেগুলি ছোট ছোট পর্যায় আছে যার ফলে সহজে চোখে পরে না। সাধারণভাবে হয়তো ছোট ছোট পার্টিকেলকে সঞ্চয় করে এবং ছোট ছোট দূরত্বে পাঠিয়ে দেয় এবং কিছু কিছু বিরল সময় যদি এগুলো বড় হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কিছু বস্তু যেমন আপনার চাবি বা অন্যান্য ছোটখাটো জিনিস স্থানান্তর করে এবং খুব দুর্লভ কিছু ক্ষেত্রে এটি এত বড় হয়ে যায় যে কোন গাড়ি মানুষ বা হয়তো একটি পুরো বিল্ডিংকে গায়েব করে দেয় -- যাকে অনেক মানুষ প্যারানরমাল এক্সপেরিয়েন্স হিসাবে রিপোর্ট করেছেন।
যদি এই অদৃশ্য হওয়ার পিছনে ওয়ার্মহোল দায়ী হয়ে থাকে তবে সেগুলো নিশ্চয়ই অন্য কোন স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। হয়তো অন্য কোন গ্রহের বা মহাজগতের বা গভীর মহাকাশে। কারণ, ওয়ার্মহোলের বিস্তৃতির কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই।
প্রথম শতাব্দি কালীন অর্থাৎ এক থেকে একশ শতকের মধ্যে সময়কালীন দার্শনিক এবং ফিজিশিয়ান 'অ্যাপোলোনিয়াস অফ ট্যানা' অতি দূর দূর স্থানে প্লেগ রোগীদের চিকিৎসা করতে পৌঁছে যেতেন। এটিকে একটি টেলিপোর্টেশন এর উদাহরণ বলা হয়।
17 শতাব্দীতে এরকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি ঘটনা 1692 সালের স্কটিশ গল্পের বইতে লেখা আছে যার নাম 'দা সিক্রেট কম্মুনিয়ন ওয়েলথ' লেখক ছিলেন রবার্ট কীরক তিনি একটি মানুষের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যার টেলিপোর্ট এর মাধ্যমে ছোট ছোট দূরত্ব অতিক্রম করার ক্ষমতা ছিল। তার প্রতিবেশীরা মাঝে মাঝেই তাকে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখতেন এবং আবার একঘন্টা বাদে দেখতে পেতেন।
এক নানের বর্ণনা পাওয়া যায় যাকে 'অগ্রেডা এর শ্রদ্ধেয় মেরি জেসাস' বলা হত। দাবি করা হয় 1620 এবং 1631 সালের মধ্যে তিনি তার মঠ থেকে 500 এর উপর টেলিপোর্টেশন করেছিলেন এবং নিউ মেক্সিকোর মত বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন যা মহাসাগরের ওপারে ছিল। উদ্দেশ্য ছিল এই সকল অঞ্চলের 'জুমানো ইন্ডিয়ান'দের তার ধর্মে দীক্ষিত করা। প্রথম প্রথম ক্যাথলিক চার্চ থেকে এই দাবিগুলোকে সন্দেহজনক হিসাবে দেখা হয়েছিল। যার ফলে তার মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু 'নিউ ওয়ার্ল্ডের' মিশনারি এবং ইন্ডিয়ানরা নিজে এমন কিছু প্রমাণ ও সাক্ষ্য দেন যা এই ঘটনাকে বাস্তবায়িত করে তোলে।
যেমন 1622 সালে ফাদার আলঞ্জো দে বেনাভিডস স্পেনের পোপ আরবান-VIII এবং ফিলিপ-IV কে একটি চিঠিতে দাবি করেছিলেন, তিনি সেখানে পৌঁছানোর অনেক আগে কেউ সক্রিয়ভাবে জুমানো ইন্ডিয়ানদের কনভার্ট করেছিলেন। যখন ইন্ডিয়ানদের তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কোথায় তারা ক্রিশ্চিয়ানিটি বিষয়ে জানতে পারে, তারা বলেছিল যে, এটা তাদের এক ইউরোপিয়ান 'lady in blue' দেখিয়েছিল এবং এই রহস্যময় মহিলা তাদের 'crusifixes' এবং একটি 'Mary's convent' এর পাত্র দিয়েছিল। বেনেভিদ তখনো মেরীর ব্যাপারে কিছু জানতো না এবং তার টেলিপোর্টএর ব্যাপারেও কিছু শোনেনি এবং সে পরে যখন স্পেনে ফিরে গিয়েছিল তখনই সেগুলো জানতে পেরেছিল যার ফলে সে খুবই অবাক হয়ে গেছিল এবং ব্যক্তিগতভাবে মেরীর ইন্টারভিউ নিয়েছিল এবং সে খুব অবাক হয়ে গেছিল, যেভাবে তিনি জুয়ানো ইন্ডিয়ানদের এলাকা, তাদের সংস্কৃতি এবং জীবন সম্পর্কে বর্ণনা দেন। এগুলি বই দেখে বানিয়ে বলা অসম্ভব ছিল এবং মেরি তারি টেলিপোর্ট বৃত্তান্তগুলি একটি ডায়েরিতে লিখে রাখতেন; কিন্তু চার্চের চাপে এবং ভয়ের ফলে তাকে সেটি পুড়িয়ে ফেলতে হয়; নয়তো তাকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হতে পারত।
এছাড়া হাজার মাইল দূরে বিভিন্ন উপজাতি ও অভিযাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী মেরীর সাথে সেই ইউরোপিয়ান মহিলার গঠন ও পোশাক-আশাকের মিল পাওয়া যায় এবং সেই মঠের অন্যান্য নানরা দাবি করেছিল যে মাঝে মাঝে তিনি তার কোয়ার্টার থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতেন এবং সেই সময় ইন্ডিয়ানদের সাথে থাকতেন। বেনিভিদের এই দাবী যে ,তিনি মেরির এই রহস্যময় যাত্রার প্রমাণ পেয়েছেন তা 'মেরি জেসাস দে আগ্রেড' কে পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত করে দিয়েছিল। এটা কি কোন টেলিপোর্টেশন এর কারণে অথবা কেবলমাত্র ধার্মিক কোন পুরাকথা ছিল? উত্তর যাই হোক না কেন এটি একটি রহস্যময় ঘটনা হয়ে থাকবে।
পুরাতন কালের টেলিপোর্টেশন এর রিপোর্ট গুলিকে ডাকিনীবিদ্যা অথবা যাদুবিদ্যা বা ভৌতিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করে দেওয়া হতো।
1661 সালে আয়ারল্যান্ডের কর্ক এর ফ্লোরেন্স নিউটন নামক এক মহিলা এরকম চেষ্টা করেছিলেন এবং তাকে ডাইনি বলে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, বলা হয় নিউটন পৈশাচিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছিল; যার ফলে সে বিভিন্ন রকমের অদ্ভুত বস্তু যেমন - উল অথবা পিন জাতীয় বস্তু মুখ থেকে বমি করে বের করত এবং তার অস্বাভাবিক শক্তি ছিল যার ফলে সে বিশালকায় মানুষকেও পুতুলের মত ছুড়ে ফেলত পারতো। এছাড়াও বলা হয় তাকে পাথর মারার সময় কোথাও একটা থেকে তার সামনে আত্মরক্ষার জন্য বড় পাথর চলে আসে এবং তা আবার গায়েব হয়ে যায়। হয়তো তার এই রহস্যময় শক্তির পেছনে টেলিপোর্টেশন দায়ী ছিল কারণ এটাও শোনা যায় যে নিউটন মাঝেমাঝেই ঘর থেকে গায়েব হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ বাদে আবার ফিরে আসতো।
'পল্টারজেইস্ট' নামক এক প্রকার ভূতের বর্ণনা পাওয়া যায়। 1722 সালে পূর্ব জার্মানি ছোট ছোট গ্রামের পরিবারগুলি এদের দ্বারা আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিল। এরা নিয়মিতভাবে বাচ্চাদের তুলে নিত এবং ঘোরানোর পর তাদের মাঝ আকাশে ঝুলিয়ে দিত এবং বাচ্চারা মাঝে মাঝে আকাশে অদৃশ্য হয়ে যেত এবং কিছু সময় বা কয়েক ঘন্টা বাদে সম্পূর্ণ আলাদা স্থানে পুনরায় উদ্ভব হতো। এই ঘটনা গুলি খুব ভালোভাবে লিখে রাখা হয়েছিল।
ইউনাইটেড কিংডম এর বৃষ্টল শহরের একটি ঘটনা শোনা যায় যেখানে, রিচার্ড গিলস নামক এক ব্যক্তির সন্তানরা একটি অশরীরী আত্মা জাতীয় কিছুর দ্বারা খুবই ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছিল এই জিনিসটি তাদেরকে ঠেলা দিত, ধাক্কা মারতো, কামড়াতো, আঁচড় দিতো এবং মাঝে মাঝে পাথর ছুড়ে মারতো। এছাড়া তাদেরকে মাঝে মাঝেই একটি স্থান থেকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে অন্য স্থানে ছেড়ে দিত। রহস্যময় ব্যাপার হলো এই যে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় শিশুরা হঠাৎ করে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেত এবং আবার ফিরে আসতো। কিন্তু শিশুদের মতে, তাদেরকে এক জরাজীর্ণ পোশাক পরা ডাইনীর মত দেখতে মহিলা ধরে নিয়ে যেত।
পুরনো সময়ের এই ঘটনাগুলো হতে পারে কোন কল্পকাহিনী, ধর্মীয় অথবা ভয়ের কারণে অতিরঞ্জিত করা কিন্তু এগুলোর মধ্যে যে মিল গুলি পাওয়া যায় তা ধারণা দেয় যে, টেলিপোর্টেশন বহু আগে থেকেই ছিল।
1871 সালের 3 জুনে একটি উদ্ভট ঘটনা ঘটেছিল লন্ডনের একজন মনস্তত্ত্ববিদের সাথে যার নাম ছিল মিসেস গাপ্পি। তিনি তার বাড়ি থেকে তিন মাইল দূরে টেলিপোর্ট করে চলে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এটি সত্যিই অদ্ভুত এবং কমিক বইয়ের মত ছিল। মিসেস গাপ্পি হঠাৎ করে হাওয়া থেকে উদয় হয়ে পড়েন এবং তার পরনে কেবলমাত্র অন্তর্বাস ছিল।
1901 সালে পানসিনি পরিবার ইটালির রুভোতে চলে আসেন এবং তারপর থেকেই সেখানে এক অদ্ভুত রকমের ঘটনার সম্মুখীন হতে থাকেন।
এই অদ্ভুত ঘটনা গুলির মধ্যে একটি বিরক্তিকর বিষয় ঘটাতো তাদের সাত বছরের ছেলে আলফ্রেদো পানসিনি; সে মাঝে মাঝেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়তো এবং ফিরে এসে ভবিষ্যৎবাণী করত। এর কিছু সময় বাদে সে তার টেলিপোর্ট এর ক্ষমতা দেখাতে শুরু করলো। অনেক সময় অন্যান্য লোকের উপস্থিতিতেই আলফ্রেড হঠাৎ করে বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতো এবং শহরের অন্য কোন স্থানে পৌঁছে যেতো। এরপর আলফ্রেডের ভাই পাওলোও এই টেলিপোর্ট করতে শুরু করেছিল এবং কখনো কখনো দুই ভাই একসাথে ঘর থেকে অদৃশ্য হয়ে যেতো এবং কয়েক মাইল দূরে 'পোর্ট অফ ভ্যালেটা'তে মাছ ধরার নৌকায় উদিত হত।
এই অদ্ভুত ঘটনাগুলি পোপ লিও XII এবং পিউস X এর মেডিক্যাল অ্যাডভাইজার তদন্ত করেছিলেন তিনি এই দাবিগুলোকে পরীক্ষা করার জন্য গবেষণা করেছিলেন। তিনি পরিকল্পনামাফিক ছেলেদুটিকে তাদের ঘরে আটকে দিয়ে ছিলেন এবং জানলা ও দরজা সিল করে দিয়েছিলেন এবং বাড়ির অন্যান্য দরজা গুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন,যাতে তারা পালাতে না পারে। কিন্তু তবুও সকলের নাকের ডগায় তারা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং আবার কয়েক মাইল দূরে উদয় হয়েছিল।জানা গিয়েছে,এই টেলিপোর্টেশন প্রক্রিয়াগুলি বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে থেকেছিল এবং যখন তারা যৌবনে প্রবেশ করেছিল তারা তাদের এই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল।
এই টেলিপোর্টেশনএর ঘটনাগুলি বিংশ শতাব্দীতেও চলতে থাকে।
1920 সালের শেষের দিকে ভারতের পুনেতে ডক্টর কেটার কিছু অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হন।
তার দত্তক নেওয়া দুই সন্তান দাবি করতে থাকে যে, তারা বন্ধ করা গাড়ি অথবা ঘর থেকে হঠাৎ করে অন্যান্য স্থানে চলে যেতে পারে এরমধ্যে একটি ঘটনার সম্মুখীন মিসেস কেটার নিজে হন। তার সামনে থেকে হঠাৎ করে একদিন তার কনিষ্ঠ সন্তান গায়েব হয়ে যায় এবং কিছুদূরের 'কারজাত' শহর থেকে ফিরে আসে। মিসেস কেটার তার বিবরণ দেন যে, যেন কোন অদৃশ্য শক্তির হাত তাদেরকে যত্ন করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এবং ফিরিয়ে মেঝেতে রেখেছিল।
1952 সালের ডিসেম্বরে একজন বিখ্যাত দার্শনিক ও অতীন্দ্রিয়বাদী ওয়েলেসলি টুদর পোল দাবি করেন, সাসেক্সে তার বাড়িতে ফিরে আসার সময় তার ট্রেন লেট হয়ে যায় এবং তিনি এক বৃষ্টি, ঝড় ও খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে স্টেশনে ফেঁসে যান এবং বাড়ি যাওয়ার জন্য কোন ট্যাক্সি বা অন্যান্য পরিবহন পাচ্ছিলেন না। এরমধ্যে আরো চিন্তা বাড়িয়ে দেয় যখন তিনি দেখেন, সেখানকার টেলিফোন বুথ আউট অফ অর্ডার হয়ে আছে। এটা সত্যি খুব বিরক্তিকর এবং অসহায় অবস্থা ছিল। তার মনে হচ্ছিল সেই বৃষ্টি রাতে হয়তো তাকে স্টেশনে কাটাতে হবে। কিন্তু বাড়িতে ফিরে তার একটা দরকারি কল বাকি ছিল। পল বলেছিলেন যে, তিনি বসে পড়েন এবং তার ঘড়িকে স্টেশনের ঘড়ির সাথে মিলিয়ে দেখেন দুটোতেই বিকাল 5টা বেজে 57 মিনিট। এরপর যা ঘটেছিল, তা অস্পষ্ট ছিল কিন্তু পোল দাবি করেন যে, হঠাৎ করে তিনি অবাক হয়ে যান, বিভ্রান্ত হয়ে যান এবং তাকে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আবিষ্কার করেন তার জামা কাপড় ভিজে ছিল না, এমনকি তার জুতোগুলোও কাদা মাখা ছিল না। তারমানে, তিনি বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আসেননি এবং যখন তিনি এসেছিলেন তখন ঘড়ির কাটায় ছয়টা বাজে - যেটা অসম্ভব ছিল। স্টেশন থেকে বাড়ির এতটা দূরত্ব দু মিনিটে না ভিজে পৌঁছনো অসম্ভব ব্যাপার ছিল। তিনি বলেছিলেন যে হয়তো কোন ভাবে অজান্তে নিজেকে টেলিপোর্ট করে ফেলেছিলেন। তবে তার কোনো ধারণা ছিল না কিভাবে এবং কেন।
1956 সালে টমাস.আর.কেসেল নামক এক ব্যক্তি নিউইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ করে যেন হাওয়া থেকে উদয় হলেন। তিনি পরে বলেছিলেন যে, তার শেষ মনে আছে তিনি জোহান্সবার্গ সাউথ আফ্রিকায় একটি বারে বসে ছিলেন। তার কাছে কোন পাসপোর্ট ছিলনা। তাই এত দূর থেকে কীভাবে তিনি রাতারাতি এইভাবে চলে এলেন - সেটা রহস্য থেকে গেছে। তিনি বলেছিলেন তার কিছুই মনে পড়ছে না যে, কীভাবে তিনি এতদূর চলে এসেছিলেন।
একটি খুব বিতর্কিত এবং বিখ্যাত টেলিপোর্টেশন হয়েছিল 1968 সালে, যখন ডক্টর গেরাল্ড ভিদাল তার স্ত্রীর সাথে এবং পুরো একটি গাড়ি নিয়ে অনেক দূর অব্দি টেলিপোর্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তথ্য অনুযায়ী 1968 সালের মে মাসে এই দম্পতি তাদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর্জেন্টিনার বুনোস এয়ারস এর গ্রাম্য অঞ্চল কস্কোমাস দিয়ে তাদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন।তারা বলেছিলেন, ঠিক এই সময় একটি ঘন কুয়াশা তাদের ঘিরে ধরে ছিল এবং তারা সময়মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি এবং চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা যখন এলাকার অধিকারিকদের কাছে পৌছলেন, তারা রাস্তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন। তাঁরা কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। 48 ঘন্টা বাদে গেরাল্ড ভিদাল তার পরিবারকে ফোন করে বলেছিলেন যে, তারা নিরাপদ আছেন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তারা প্রায় 6,400 কিলোমিটার দূরে মেক্সিকো সিটিতে পৌঁছে গেছেন।ভিদাল পরের দিকে বলেছিলেন যে, সেই 48 ঘন্টা জুড়ে কি ঘটেছিল তার কিছুই মনে নেই। তার কেবলমাত্র মনে আছে যে, তারা একটি রহস্যময় ঘন কুয়াশার সম্মুখীন হয়েছিলেন যার পর সবকিছু কালো হয়ে গিয়েছিল বা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। যখন তাদের জ্ঞান ফিরেছিল, তারা তাদেরকে একটি অজানা রাস্তার ধারে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে পেয়েছিলেন। তারা দুজনেই অভিযোগ করেছিলেন যে এই সময়ে তাদের ঘাড়ে যন্ত্রণা অনুভূত হয়েছিল এবং মনে হয়েছিল যেন অনেকক্ষণ ধরে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। তাদের গাড়িটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন পুড়ে গেছে, ঠিক যেন আলোয় ঝলসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও গাড়িটি কাজ করছিল এবং বিভ্রান্ত এই দম্পতি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন পথিককে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তারা কোথায় আছেন এবং জানতে পেরেছিলেন তারা মেক্সিকোয় এসে গেছেন।
একটি খুব বিতর্কিত এবং বিখ্যাত টেলিপোর্টেশন হয়েছিল 1968 সালে, যখন ডক্টর গেরাল্ড ভিদাল তার স্ত্রীর সাথে এবং পুরো একটি গাড়ি নিয়ে অনেক দূর অব্দি টেলিপোর্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তথ্য অনুযায়ী 1968 সালের মে মাসে এই দম্পতি তাদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর্জেন্টিনার বুনোস এয়ারস এর গ্রাম্য অঞ্চল কস্কোমাস দিয়ে তাদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন।তারা বলেছিলেন, ঠিক এই সময় একটি ঘন কুয়াশা তাদের ঘিরে ধরে ছিল এবং তারা সময়মতো তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি এবং চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা যখন এলাকার অধিকারিকদের কাছে পৌছলেন, তারা রাস্তায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন। তাঁরা কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। 48 ঘন্টা বাদে গেরাল্ড ভিদাল তার পরিবারকে ফোন করে বলেছিলেন যে, তারা নিরাপদ আছেন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তারা প্রায় 6,400 কিলোমিটার দূরে মেক্সিকো সিটিতে পৌঁছে গেছেন।ভিদাল পরের দিকে বলেছিলেন যে, সেই 48 ঘন্টা জুড়ে কি ঘটেছিল তার কিছুই মনে নেই। তার কেবলমাত্র মনে আছে যে, তারা একটি রহস্যময় ঘন কুয়াশার সম্মুখীন হয়েছিলেন যার পর সবকিছু কালো হয়ে গিয়েছিল বা অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। যখন তাদের জ্ঞান ফিরেছিল, তারা তাদেরকে একটি অজানা রাস্তার ধারে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে পেয়েছিলেন। তারা দুজনেই অভিযোগ করেছিলেন যে এই সময়ে তাদের ঘাড়ে যন্ত্রণা অনুভূত হয়েছিল এবং মনে হয়েছিল যেন অনেকক্ষণ ধরে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। তাদের গাড়িটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন পুড়ে গেছে, ঠিক যেন আলোয় ঝলসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরও গাড়িটি কাজ করছিল এবং বিভ্রান্ত এই দম্পতি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন পথিককে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তারা কোথায় আছেন এবং জানতে পেরেছিলেন তারা মেক্সিকোয় এসে গেছেন।
অবাক করা বিষয় যে মেক্সিকো সিটির আর্জেন্টিনা দূতাবাস এ বিষয়ে খুব শান্ত ছিল এবং যা ঘটেছিল সে বিষয়ে তাদেরকেও চুপ থাকতে বলেছিল। ঠিক যেন এই ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এছাড়া সেই দম্পতিকে খুব দ্রুত তাদের ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির পরিবর্তে অন্য একটি নতুন গাড়ি দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের গাড়িটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ও গবেষণার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও তাদের চুপ করে থাকতে বলা হয়েছিল কিন্তু যা ঘটেছিল এটা ছড়িয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বহু সংবাদমাধ্যম এই ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট করতে শুরু করেছিল। যার মধ্যে অনেক খবরের কাগজ টিভি নিউজ এবং রেডিও শো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমএর এই তৎপরতা সপ্তাহ খানেক বাদে হঠাৎ করে শান্ত হয়ে গেল। হঠাৎ করে সকল খবরের মাধ্যমগুলোকে এই ঘটনাটি প্রচার করা থেকে বল প্রয়োগ করে ব্যান করে দেওয়া হলো এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত আর কোন তথ্য সংগ্রহ করতে দেওয়া হলো না। এই ঘটনা ঘটার একবছর পরে ভিদালের নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়েছিল। সূত্র অনুযায়ী বলা হয় যে, দুজনেই রহস্যময়ভাবে লিউকেমিয়ার কারণে মারা গেছিল। এই ঘটনাটি সবচেয়ে অবাক করা এবং রহস্যময় ঘটনার মধ্যে একটি ছিল এবং সবচেয়ে বেশি চর্চা করা হয়েছিল যেটি পরবর্তীকালে ইউ এফ ও লজির মধ্যেও আনা হয়েছিল এবং অসংখ্য আর্টিকেল ও পাবলিকেশনএর সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল।
ভিদালের এই ঘটনায় অনেক বিতর্ক ঘটেছিল। যেখানে অনেক বিতর্কিত তথ্য এবং রিপোর্ট ছিল যেগুলি একে অপরের সাথে বিরোধিতা করছিলো এবং অনেকগুলো থিওরির তৈরি হয়েছিল যেমন কোথাও কোথাও বিতর্ক দেখা গিয়েছিল এটি টেলিপোর্টেশন এর কারণে হয়েছিল না এটি একটি ইউ এফ ও অপহরণের ঘটনা ছিল।
1971 সালে অল কেসিগ নামক ইউ এস স্টেটস অফ মিসৌরি এন্ড আরকানসাস এর এক ব্যক্তি বলেছিলেন যে, তিনি বেশকিছু দরজা এবং ঘূর্ণির মত একপ্রকার কিছু খুঁজে পেয়েছেন, যার মধ্যে দিয়ে তিনি টেলিপোর্টেশন পদ্ধতিতে অন্য ডাইমেনশনএর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছতে পারেন। এই দরজাগুলো আলাদা আলাদা রকমের হয়; কিন্তু কেউ যদি এগুলিকে চিনতে পারে তাহলে সে বহু দূরে কোথাও চলে যেতে পারে আবার ফিরেও আসতে পারে। এই দরজা কখনো কখনো এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে যেখানে কোন প্রাণের অস্তিত্ব নেই; আবার কোন কোন দরজা দিয়ে অতীতকালে বা ভবিষ্যৎকাল যাওয়া যেতে পারে। আবার কোনো কোনো দরজা মানুষের দেহকে দূরবর্তী কোন নক্ষত্রে পৌঁছে দিতে পারে।
1993 সালের আগস্টে ফোর্টিয়ান রিসার্চার আয়ন এ্যালেক্সিস উইল একটি আইভরিকোস্টের গৃহহীন ছেলেকে খুঁজে পেয়েছিল। তিনি যখন আফ্রিকায় গ্রাম অঞ্চল ইয়োমাসুক্রো দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং সেন্ট অগাস্টিন নামেরএকটি ক্যাথলিক চার্চের কাছে এসেছিলেন, সেখানের পাদ্রী তাকে জানিয়েছিল যে একটি নয় বছর বয়সের ছেলে অদ্ভুত রকম আচরণ করছে। সে তার লক করা কোয়াটার থেকে অদৃশ্য হয়ে আবার কোন অদ্ভুত রকম জায়গা যেমন লক করা গাড়ির ভেতর বা অন্য কোন স্থানে পুনরায় উদয় হচ্ছে যেখানে তার থাকা অস্বাভাবিক। একদিন যখন সে প্রাতরাশ করছিল তখন হঠাৎ করে অনেকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে সে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল এবং তাকে চার্চের বাইরে একটু দূরে ভীত এবং বিভ্রান্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল; আরো একটু খোঁজ নিয়ে জানা গেল যে বালকটিকে প্রায় 155 মাইল দূরের একটি শহর থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
এই বালকের আসল নাম ছিল 'N'Doua Kouname Serge' তার এই রহস্যময় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা পাঁচ বছর বয়স থেকেই হয়ে এসেছিল। যেমন- হঠাৎ করে আইভরিকোস্টের একটি হসপিটাল থেকে অদৃশ্য হয়ে প্রায় 200 মাইল দূরে সান পেরোতে উদিত হয়েছিল। শোনা যায় দেশজুড়ে বিভিন্ন শহরে সে এরকমভাবে চলে যেতএবং এই সময় অনেকে বলত কোনো অশুভ শক্তি এই ঘটনাটা ঘটাচ্ছে। যখন এক সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কিভাবে হঠাৎ করে বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে পারে তখন বালকটি বলেছিলে, "আমি জানিনা আমি এখানে আছি এবং হঠাৎ করে আমি নিজেকে অন্য শহরে খুঁজে পেয়ে যাই।"
2009 সালে 'Pravda report' এ একটি আর্টিকেল পাওয়া যায় যার নাম ছিল "বজ্রপাত প্যারালাল দুনিয়ার দরজা খুলে দিতে পারে"।এই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তাতিয়ানা ফেমিন নামক এক ইউএফও রিসার্চার দুইবার এই ভাবে টেলিপোর্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, এই সময়ে তিনি কিছু অনুভব করতে পারেনি কিন্তু যখন জেগে উঠেছিলেন তখন তিনি অন্য স্থানে ছিলেন।
লিডিয়া নিকলাভি নামক একজন মহিলা যিনি রাশিয়ার নাভির গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি বলেছিলেন, তিনি যখন মাশরুম তুলতে গিয়েছিলেন, হঠাৎ করে তার মনে হলো যেন তার বুকে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যখন তার জ্ঞান ফিরল তিনি নিজেকে প্রায় 3.3 মাইল দূরে একটি পরিতেক্ত চার্চে খুঁজে পেয়েছিলেন।
লিডিয়া নিকলাভি নামক একজন মহিলা যিনি রাশিয়ার নাভির গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি বলেছিলেন, তিনি যখন মাশরুম তুলতে গিয়েছিলেন, হঠাৎ করে তার মনে হলো যেন তার বুকে কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যখন তার জ্ঞান ফিরল তিনি নিজেকে প্রায় 3.3 মাইল দূরে একটি পরিতেক্ত চার্চে খুঁজে পেয়েছিলেন।
এই ঘটনাগুলি শুনে আপনার কি মনে হয় এগুলি কি কেবলমাত্র মনের বিভ্রম অথবা অতিরঞ্জিত গল্প হতে পারে নাকি এর থেকে অনেক বড় এবং বেশি কিছু যা আমাদের ধারণার বাইরে। যদি এই মানুষগুলো কোনভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছনোর সেই সীমা অতিক্রম করতে পারেন তবে কিভাবে সেটা করেছিলেন? হয়তো ভবিষ্যতে বিজ্ঞান এটি আবিষ্কার ও এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে। পরবর্তী পর্বে টেলিপোর্টেশন নিয়ে আরো কিছু উদাহরণ নিয়ে আসব।
No comments:
Post a Comment