ভিক্টর লাস্টিগ তার পেশাটি এক সাধারণ মানুষ হিসেবে শুরু করেছিলেন; যিনি কয়েকজন মানুষকে একটি মেশিন দেখিয়ে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিলেন যে, এই মেশিনটি 100 ডলার বিল তৈরি করে।কেবলমাত্র একটি বাধা ছিল সেটি হলো, মেশিনটি ছয় ঘণ্টায় কেবলমাত্র একটি বিল তৈরি করতে পারে। তিনি এক একটি মেশিন কে 30,000 ডলারে বিক্রি করেছিলেন এবং তার সাথে আসল বিল ও দিচ্ছিলেন। এরপর যতক্ষণে তার খরিদ্দাররা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিল, ততক্ষণে তিনি টাকাগুলি নিয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছিলেন। তিনি মোট কতগুলি মেশিন বিক্রি করেছিলেন এবং কতজন কে করেছিলেন তা আজ অব্দি রহস্য থেকে গেছে।
1925 সাল নাগাদ যখন যুদ্ধ পরবর্তী কালীন ফ্রেঞ্চ অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর হয়ে পড়ে তিনি তার সবচেয়ে দুঃসাহসিক পরিকল্পনাটি কাজে লাগিয়ে বিশাল পরিমাণ অর্থ আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন। তিনি ফ্রেন্চ স্ক্রাপ মেটাল কোম্পানিগুলোকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, সরকার আর বিখ্যাত বিভিন্ন গঠন গুলির রক্ষণাবেক্ষণ বা দায়িত্ব নিতে পারছে না -- এই বলে তিনি আইফেল টাওয়ারের বিভিন্ন অংশের হিসাব করে তাদের বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এই ধারণাটা সেই সময়ে সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল যখন সবেমাত্র টাওয়ার টিকে জনসাধারণের জন্য সাময়িকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। লস্টিগ তার পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সাথে চুক্তি করেছিলেন যে 18 বছর বাদে কোম্পানি টাওয়ারটি খুলে বা ভেঙে ফেলতে পারবে। পরবর্তীকালে লাস্টিগের সাথে তার প্রেমিকা বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং আলকাত্রাজ জেলে তার 20 বছরের কারাদণ্ড হয়। সাজা চলাকালীন 12 বছরের মাথায় নিউমোনিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছিল।
আলকাট্রেজ |
No comments:
Post a Comment