Wednesday, 8 April 2020

রাশিয়ান স্পেস স্টেশনের রহস্যময় ভিনগ্রহী ঘটনা--

সাহসী মহাকাশচারী বা নভশ্চররা যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকি রেখে মহাকাশে যায় এই জন্য, যাতে আমাদের বহির্জগৎ সম্পর্কে বুঝতে আরো সাহায্য হয়। এইসব মানুষেরা বেশকিছু বিশ্বাসযোগ্য এবং রহস্যময় ইউ এফ ও সংক্রান্ত ঘটনার উল্লেখ করেছেন। মহাকাশচারীদের এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হওয়া নতুন নয় অতীতে প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটেছে; যদিও এরমধ্যে অনেকগুলোই ইতিহাসে হারিয়ে গিয়েছে। এরকম কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা রাশিয়ান মহাকাশচারীদের সাথেও হয়েছিল যেই রাশিয়া, স্পেস প্রোগ্রাম বা মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার বহু তথ্য লুকানোর জন্য অভিযুক্ত এবং যার মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মহাকাশচারী নিয়ে পূর্ববর্তী ব্লগে আলোচনা করেছি।
রাশিয়ার স্পেস স্টেশনের থেকে সেখানকার মহাকাশচারীরা দিন দুপুরে ইউ এফ ও সংক্রান্ত বেশ কিছু রহস্যময় রিপোর্ট করেছেন; এরকমই কিছু রিপোর্ট নিয়ে আজ আলোচনা করব।

রাশিয়ান স্পেস স্টেশন প্রজেক্ট এর মধ্যে 'স্যালুট-৬' একটি খুবই বিখ্যাত প্রজেক্ট যা 1977 সালের 29 সেপ্টেম্বর লঞ্চ করে যেখানে প্রযুক্তির বিশেষ উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায় যা অতীতের থেকে অনেকটা এগিয়ে রাখে। যেমন- এর প্রপালশন সিস্টেম, 1 সেকেন্ড ডকিং পোর্ট, এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রযুক্তির কারণে। এই স্যালুট সিক্স ছিল নিউ ওয়েভ সেকেন্ড জেনারেশন স্পেস স্টেশনগুলির মধ্যে প্রথম সারির যা আমাদের ভবিষ্যতের দিকে অনেকটা নিয়ে গিয়েছিল এবং এটি প্রথম যাতে রি-সাপ্লাই মিশনের জন্য মনুষ্যবিহীন মহাকাশযানের অবতরণ করানো যেত এবং একে ঘিরেই ইউএফওর রহস্যময় ঘটনা ঘটে। এরকমই একটি ঘটনা 'ফেট ম্যাগাজিনে'র  একটি প্রবন্ধে প্রকাশ পায় যা লাস ভেগাসের 'ক্লাস টিভি' এর সাংবাদিক' জর্জ ন্যাপ 1992 সালে পুরানো সোভিয়েত মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স এর সংগ্রহশালা থেকে প্রাপ্ত 'থ্রেড-3' নামক ডকুমেন্ট থেকে সংগ্রহ করেন।
এই ডকুমেন্টটি বিভিন্ন রকম রহস্যময় ইউএফও সংক্রান্ত ঘটনার বিবরণ পূর্ণ ছিল; যার মধ্যে একটি 1978 সালের 17 জুন মহাকাশচারী ভ্লাদিমির কভালেনোক এবং আলেকজান্ডার ইভানচেঙ্ক সম্মুখীন হয়েছিলেন। এদিন একটি বস্তু স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সঙ্গে উড়ে চলেছিল এবং তাদেরই মত গতি বজায় রেখে যেন তারা স্পেস স্টেশন কে লক্ষ্য রাখছে। এই সময় কভালেনোক কন্ট্রোল সেন্টার এর উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, "ডান দিকে 30 ডিগ্রী কোণে আমাদের সাথে একটি বস্তু উড়ছে এটা অনেকটা টেনিস বলের মত দেখতে এবং তারার মত উজ্জ্বল এটার রেট আমাদের থেকে কিছুটা কম।"
পরবর্তীকালেও কভালেনক ইউ এফ ও সংক্রান্ত আরেকটি ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েন যা 1981 সালের মে মাসে স্যালুট ছয়-তে হয়েছিল। তিনি একটি বস্তুকে স্পেস স্টেশন এর কাছাকাছি এঁকেবেঁকে তাদের দিকে অনুসরণ করতে দেখেন। তিনি যেগুলো দেখেছিলেন তা পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে ইটালিয়ান সাংবাদিক জর্জিয়া বন জিওভানি কে বলে থাকেন--
"1981 সালের 5 মে, আমরা স্যালুট ছয়-তে ছিলাম। আমি একটা অচেনা বস্তুকে আসতে দেখলাম; এটা তরমুজের মতো গোলাকার ছিল এবং এটির সামনে কিছুটা ছুঁচালো রকমের বিষয় ছিল আমি এটাকে কেবল অঙ্কন করে বোঝাতে পারবো কারণ এটার বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে কঠিন হবে। এটা অনেকটা স্বচ্ছ একটি দেহের ভেতর আরেকটি দেহর মত বিষয়। এর আরেকদিকে আমি গ্যাস বেড়াতে দেখছি অনেকটা রিঅ্যাক্টরের মত। তারপরে এমন কিছু হলো যেটার ব্যাখ্যা আমার পক্ষে বৈজ্ঞানিকভাবে বলা খুবই অসম্ভব। আমি বুঝতে পারলাম, এটা কোন কৃত্রিম ভাবে তৈরি বিষয় না কারণ কৃত্রিম বস্তুতে এই ধরনের আকৃতি হতে পারেনা। আমি এমন কিছু জিনিস আজ অব্দি দেখিনি যা এরকম ভাবে চলাচল করতে পারে। সংকুচিত হওয়া, তারপর প্রসারণ করা এবং স্পন্দিত হওয়া তারপরই আমি দুটো বিস্ফোরণ দেখতে পেলাম একটা বিস্ফোরণ এবং তারপর প্রায় হাফ সেকেন্ড বাদে আরেকটি; আমি আমার সহকারি ভিক্টর কে ডেকে ছিলাম কিন্তু সে সময়মতো আসতে পারেনি যার ফলে কিছু দেখতে পাইনি।

 এই বস্তুগুলো কি হতে পারে? প্রথমত বস্তুটি একটা নির্দিষ্ট পথে চলছিল না হলে আমি এটাকে লক্ষ্য করতে পারতাম না; সেখানে দুটো মেঘের আকৃতি ছিল অনেকটা ধোঁয়াশার ও বারবেল এর মত আকৃতি তৈরি করেছিল সেটি আমার কাছাকাছি এসেছিল এবং আমি তখন এগুলোকে লক্ষ্য করেছিলাম, কিছু সময়ের জন্য আমরা পাশাপাশি একসাথে চলছিলাম।"
আরেকটি রহস্যময় ঘটনার 1980 সালে স্যালুট ছয়-তে মহাকাশচারী ভ্যালেরি রুমিন এবং লিওনিড পপোভতারা দাবি করেন, তারা একটি চকচকে সাদা বস্তুকে মস্কোর একটি অঞ্চল থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখেন যার ফটোও তুলে রেখেছিলেন। মনে করা হয়, এই তথ্যটি রাশিয়ান অধিকারীকরা পুরোপুরিভাবে লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং যখন 1991 সালে রাশিয়ান সংবাদপত্র আর.টি প্রথম এর উপর পুরো একটি বিবরণ প্রকাশ করে তখন, এটি সবার সম্মুখে আসে এবং এটিকে ফরেন ব্রডকাস্ট ইনফরমেশন সার্ভিস(fbis) এর তরফ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং বলা হয় ভ্লাদিমির আলেক্সান্দ্রভ, যিনি কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার তিনি ইউএফওর একটি ফটো আর.টির এডিটোরিয়াল অফিসে নিয়ে আসেন; আলেক্সান্দ্রভ দাবি করেন, তার এই উড়ন্ত বস্তুটির ফটো যা 28 ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়, যা মহাকাশচারী ভ্যালেরি এবং লিওনিড 1980 সালের 14 এবং 15 জুন রিপোর্ট করেন, তা ধামাচাপা দেয়া হয় কিন্তু তিনি বলবেন সেদিন কি হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, "সেদিনকে সত্যিই একটি সাদা উজ্জ্বল বস্তু মস্কোর একটি অঞ্চল থেকে মহাকাশে তাদের স্পেসক্রাফট স্যালুট 6 থেকেও উঁচুতে উড়ে গিয়েছিল এবং ইউ এফ ও  টি মাঝরাতের দিকে দেখা গিয়েছিল।"

দুর্ভাগ্যবশত ভাবে পরবর্তীকালে এই ফটোটি কোন ভাবে হারিয়ে যায় এবং তা আর পাওয়া যায় না। পরবর্তীকালে রাশিয়ান অধিকারীরা দাবি করেন যে এটি একটি কেবলমাত্র সাধারণ স্যাটেলাইট লঞ্চ ছিল কিন্তু তাই যদি হয় তাহলে সেটার ব্যাপারে এই দুই মহাকাশচারী ও প্রধান ইঞ্জিনিয়ার কেনো জানবেন না? পরবর্তী কালের স্যালুট প্রোগ্রাম এ এই ধরনের আরো রহস্যময় ঘটনা ঘটেছিল। 
1982 সালের এপ্রিলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী 'স্যালুট সেভেন' স্পেস স্টেশন লঞ্চ করেন যা সোভিয়েত সেলুট প্রোগ্রামের পরবর্তী ধাপ ছিল। এটা 1971 সালে শুরু হয়েছিল এবং উদ্দেশ্য ছিল চারজন যাত্রী বিশিষ্ট রিসার্চ স্পেস স্টেশন এবং দুই জন যাত্রী বিশিষ্ট মিলিটারি স্পেস স্টেশন পাঠানো। স্যালুট সেভেন মনুষ্য সৃষ্ট 10 নম্বর স্পেস স্টেশন ছিল। এটা তৈরি করা হয়েছিল যাতে মডিউলার স্পেস স্টেশন এর নতুন প্রযুক্তির সব রকম পরীক্ষা করা যায়, যার মধ্যে নতুন মডিউল যুক্ত করা অথবা স্পেস স্টেশন সম্প্রসারণ করা করা এবং বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।এই স্যালুট সেভেন পৃথিবীতে প্রায় আট বছর 10 মাস ধরে প্রদক্ষিণ করে ছিল, যা কোন মহাকাশযানের মধ্যে দীর্ঘতম ছিল। এখানেও যাত্রীরা বিভিন্ন রহস্যময় অযৌক্তিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

1984 সালের জুলাই যখন স্যালুট সাত তার মিশনের 155 তম দিন সম্পন্ন করে ছিল সবকিছুই নিয়মমাফিক চলছিল, হঠাৎ করে মহাকাশচারী কমান্ডার অলেগ আটকোভ, লেওনিদ কিজিম এবং ভ্লাদিমির সলোভোভ এর থেকে একটি ট্রান্সমিশন আসে যাতে তারা দাবি করেন, স্পেস স্টেশন কে হঠাৎ করে এক ধরনের কমলা আলো ঘিরে ধরেছে এবং কিছু দেখা যাচ্ছে না। তারা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করেন এটা বোঝার জন্য যে, এই অসম্ভব উজ্জ্বল আলো কোত্থেকে আসছে। ঠিক সেই সময় তারা এক অবর্ণনীয় ঘটনার সম্মুখীন হন। তারা বর্ণনা দেন যে, তারা সাতটি লম্বা ডানাযুক্ত এবং শান্ত, হাস্যমুখ  জীবন্ত কিছু কে তাদের স্পেস স্টেশনের সামনে প্রদক্ষিণ করতে দেখেন এবং এদের থেকেই আলোটি আসছিল। তারা আরও বলেন যে, এই সময়ে তারা খুবই অবাক হয়েছিল যে তাদের দেখে তাদের মনে কোন ভয় অনুভব হচ্ছিলো না বরং একটা অদ্ভুত রকমের শান্তি ও ঠান্ডা ভাব আসছিল। তাদের মতে এই পরির মতো দেখতে বিষয়গুলি তাদের স্পেস স্টেশন এর সাথে সম গতি ও সহবস্থান রেখে প্রায় দশ মিনিট ধরে চলেছিল এবং তারপর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

 যদি তর্ক করা যায় যে মহাকাশযানে চাপ ও ধকল এর কারণে তাদের মনে এই সকল ভ্রম সৃষ্টি হয়েছিল, তাহলে এত বছর বাদে তাদের বর্ণনা একে অপরের সাথে এতটা মিল ও একই রকম কি করে থাকবে এবং এই ধরনের ঘটনা এটাই শেষ ঘটেনি এরপরেও 167 তম দিনে স্যালুট এ আরো তিনজন মহাকাশচারী যোগদান করেন এই তিনজন যোগদান করার কিছুদিন বাদেই আবার একটি উজ্জ্বল আলো এবং এই সময় সকল 6 জন মহাকাশচারী এই ধরনের পরীর মতো দেখতে বিষয়কে কালো মহাকাশে ঘুরে বেড়াতে দেখেছিল এবং তখনও সেই প্রাণীগুলোর একই রকম হাসিমুখ ছিল। এই ঘটনা ঘটার পর বিষয়টিকে আর ভ্রম হিসাবে ব্যাখ্যা করা যায় না।স্যালুট সেভেন মহাকাশচারীদের অভিজ্ঞতা রহস্যময় ঘটনার বর্ণনায় অন্যতম থেকে যাবে।

পরবর্তীকালীন রাশিয়ান স্পেস স্টেশন 'দা-মীর' 1986 সালে অবতরণ করে, এটা একটি লো-অরবিট স্টেশন ছিল যেটার পুরোপুরিভাবে 1996 সালে গঠন সম্পূর্ণ হয়। এটি এই সময়ে সবচেয়ে বড় কৃত্রিম উপগ্রহ ছিল এবং এখানে দীর্ঘতম সময়-- প্রায় 3644 দিন ধরে মানুষ থাকার রেকর্ডটি গড়ে ওঠে। কিছু কিছু তথ্য অনুযায়ী এই মীরের মহাকাশচারীরা প্রায় সবসময়ই ইউএফও দেখতে পেতেন এবং এর মধ্যে একটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটে, যা রিপোর্ট করেন মহাকাশচারী জেনেডি মানাকোভ ও জেনেডি স্ট্রেকালোভ । 1990 সালের 27 সেপ্টেম্বর তারা বেশ কয়েকটি রুপোলী বস্তুকে উত্তর মেরুর উপরের কক্ষে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এবং কিছুক্ষণ বাদে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়।
এরপর 1993 সালের মার্চে মহাকাশচারী মশা মনোরোভ অবশেষে ইউএফওর একটি ভিডিও ফুটেজ তুলতে সক্ষম হন। তিনি যখন একটি মালবাহী মহাকাশযান অবতরণের সময়, একটি ভিডিও তৈরি করছিলেন; ঠিক সেই সময়ে কিছু ত্রিকোণাকার বস্তুকে মহাকাশে ঘুরতে দেখা যায়। এগুলো ছাড়াও অনেক কাল ধরেই বহু মহাকাশচারীর এই ধরনের ইউএফও সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি পরবর্তীকালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন(iss) থেকেও কিন্তু এটা সত্যি উল্লেখযোগ্য বিষয় যে কিভাবে সেগুলি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল এবং কোথাও কোথাও সম্পূর্ণভাবে তথ্য উড়িয়ে দেওয়া বা গায়েব করে দেওয়া হয়েছিল।

 যে পরিমাণে গোপন রাখার প্রবণতা দেখা যায় তাতে কোল্ড ওয়ার বা শৈত্য যুদ্ধকালীন সময়ে অথবা রাশিয়ান দস্তাবেজ থেকে কোন ইউএফও সংক্রান্ত তথ্য খুঁজে বের করা খুবই কঠিন বা হতাশাজনক বিষয়। এই সকল ঘটনাগুলি যা রাশিয়ান অধিকারীরা আমাদের কেবলমাত্র মহাকাশের পরিতক্ত ভাঙাচোরা জিনিস, মহাকাশযান অবতরণ এবং অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কারণে সৃষ্ট ভ্রম হিসেবে বিশ্বাস করতে বলেছেন এগুলো কি সত্যিই তাই না অন্য কিছু? একজন   যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহাকাশচারী কি এতই বোকা, যে তিনি বুঝবেন না সেগুলো কোন প্রাকৃতিক কারণে বা দৃষ্টিভ্রম এর কারনে হতে পারে ? এখানে যে রিপোর্টগুলো দেখেছি সেগুলিকে আমরা কিভাবে ব্যাখ্যা করব এটা সত্যিই আলোচ্য বিষয়। অন্যরা যাই ভাবুক না কেন এই ঘটনাগুলোকে হিমশৈলর চূড়া হিসাবে বর্ণনা করা যায় এবং অবশ্যই এর থেকে বড় এবং রহস্যময় বিষয়ে মহাকাশে ঘটে চলেছে।

No comments:

Post a Comment